ভারতে দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল

  • জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল

ভারতে দূতাবাসে হামলার প্রতিবাদে জাবিতে মশাল মিছিল

ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হামলার প্রতিবাদে মশাল-মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা নামক স্থান থেকে একটি মশাল মিছিল বের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বটতলায় গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

মিছিলে শিক্ষার্থীদের 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও', 'তুমি কে আমি কে, বাংলাদেশ বাংলাদেশ', 'দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ', প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম নাইনের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির, জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান বলেন, আজকে আমরা এমন এক পরিস্থিতিতে এখানে এসে সমবেত হয়েছি যখন আগরতলায় বাংলাদেশি দূতাবাসে উগ্র ভারতীয়রা হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশের পতাকাকে তারা পদদলিত করেছে, সেই সাথে ভারতীয় মিডিয়া ক্রমাগত অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা ভারতকে বলে দিতে চাই, আমরা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্নে আপোষহীন, অস্তিত্বের প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ। কোন প্রকার উপনিবেশিক শাসক আমাদের বেশিদিন শাসন করতে পারেনি, যত ধরনের আগ্রাসী শক্তি এখানে এসেছে তাদেরকে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়া হয়েছে, তোমাদের ও দাঁত ভাঙ্গা জবাব আমরা দেব।

বিজ্ঞাপন

'বাংলাদেশ আর ভারতের সম্পর্ক শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক সমতার নীতির বাইরে কিছুই না' মন্তব্য করে সমাবেশে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, যখনই আমরা ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং হিন্দুত্ববাদের কথা মনে করি তখনই আমাদের মনের পড়ে আমার ভাই আইনজীবী সাইফুল এবং আবরারের কথা। আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রী বলেছিলেন বাংলাদেশ আর ভারতের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর মতো। আমরা বলে দিতে চাই, বাংলাদেশ আর ভারতের সম্পর্ক শুধুমাত্র দ্বিপাক্ষিক সমতার নীতির বাইরে কিছু না। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা দল, মত, ধর্মীয় মতাদর্শ, রাজনৈতিক মতাদর্শ ভুলে গিয়ে এক হতে একমুহূর্ত দেরি করব না। ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে হামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। বাংলাদেশের কোনো একটি অঞ্চলে যদি অন্যায়ভাবে হামলা করা হয় তাহলে বাংলার জনগণ সেটা সহ্য করবেনা।