গবেষণা হওয়া উচিত দেশ ও মানুষের জন্য: বাকৃবি উপাচার্য

  • বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশের কৃষি সেক্টরে খামারিরা আগের চেয়ে যে অনেক বেশি ইনোভেটিভ হয়েছে, তাতে বাকৃবির বিশেষ অবদান রয়েছে যেটা জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করে। আর সেই তাড়না থেকেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আজ অনেক গবেষণামুখী। এই গবেষণা হওয়া উচিত মানুষের জন্য, দেশের জন্য।'

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় বাকৃবি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের উদ্যোগে মাঠ পর্যায়ে গাজর ও টমেটো উৎপাদন বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য আরও বলেন, 'কৃষক ও খামারিদের রপ্তানিমুখী বাণিজ্যিকরণ করতে হবে। গাজর-টমেটো হতে শুরু করে সকল কিছুতে আমাদের আরও গবেষণা বাড়াতে হবে। আর সেই গবেষণার মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সহযোগিতা করবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।'

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সেন্টারের (বাউরেস) পরিচালক অধ্যাপক ড. মো: হাম্মাদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রজেক্ট ইনভেস্টিগেটর ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ, বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম।

গাজর ও টমেটো গবেষণার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশে খরা একটি বড় সমস্যা হয়ে উঠেছে। এটি গাজর ও টমেটোর উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে। বর্তমানে গাজর ও টমেটোর চাহিদা বেশি, কিন্তু সরবরাহ কম। এর ফলে, মানুষের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ এবং সি এর ঘাটতি হচ্ছে। তাই, বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য প্রতিকূল পরিবেশে পুষ্টিকর রঙিন গাজর ও টমেটো উৎপাদন এবং প্রসারণ এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য।’

তিনি আরও বলেন, 'গত বছর অক্টোবর মাসে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও বিনামূল্যে গাজর- টমেটোর বীজ ও চারা বিতরণ করা হয়েছে। সেই চারা ও বীজের ফলন আশানুরূপ হয়েছে। চর এলাকায় কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ফলন আরও বৃদ্ধি করাও এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব খামারে ময়মনসিংহের প্রায় অর্ধশত কৃষক ওই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।

প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া কৃষক জিলানী বলেন, 'আমি গাজর ও টমেটো চাষ করে সফল হয়েছি। চর এলাকায় গাজরের ফলন খুব সুন্দর হয়েছে।'