এ বছর বলিউডের সবচেয়ে তারকাবহুল সিনেমা রোহিত শেঠীর ‘সিংহাম এগেইন’-এর ট্রেইলার প্রকাশিত হয়েছে। আসল সিংহাম অজয় দেবগন থেকে শুরু করে কারিনা কাপুর, অক্ষয় কুমার, দীপিকা পাড়ুকোন, রণবীর সিং, অর্জুন কাপুর, টাইগার শ্রফ, রবি কিষাণ, শে^তা তিওয়ারি- এতো এতো বড় তারকা এক ছবিতে অভিনয় করেছেন। এতে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে মেগাস্টার সালমান খানকেও।
গতকাল (৮ অক্টোবর) মুম্বাইয়ের নীতা মুকেশ আম্বানি কনভেনশন সেন্টারে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘সিংহাম এগেইন’-এর ট্রেলার উন্মোচন করা হয়। প্রথমে গুঞ্জন ছড়ায়, দীপিকা পাড়ুকোনকে মা হওয়ার পরে এই অনুষ্ঠানেই প্রথম ক্যামেরার সামনে দেখা যাবে। কিন্তু এদিন আসেননি অভিনেত্রী। এসেছিলেন তার স্বামী রণবীর সিংসহ ছবির অন্য তারকারা।
বিজ্ঞাপন
এ অনুষ্ঠানে রণবীর জানিয়েছেন ‘সিংহাম এগেইন’-এর এক তারকার প্রতি তার ক্রাশ খাওয়ার কথা। তবে তিনি তার স্ত্রী দীপিকা নন! সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই নেটাগরিকেরা রসিকতা করে বলেছেন, ইনিই কি তা হলে দীপিকার সতীন?
রণবীর জনসমক্ষে জানান, প্রথমবার আমি আমার ম্যান-ক্রাশের সঙ্গে অভিনয় করেছি। তিনি টাইগার শ্রফ। ও আমাকে বিস্মিত করে। আমি ওর বড় ভক্ত। টাইগারের মতো দক্ষ আর কেউ নেই এই পৃথিবীতে। ও মাইকেল জ্যাকসনের মতো নাচতে পারে আর ব্রুস লির মতো লড়াই করতে পারে। আমি ওর সঙ্গে একই পর্দায় আসতে পেরে খুব সম্মানিত বোধ করছি।
রণবীরের মুখে টাইগারের এই ভূয়সী প্রশংসা শুনে অবাক নেটাগরিক। অভিনেতাকে প্রায়ই নিজের স্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায়। তাই নেটাগরিকেরা মজা করে লিখেছেন, ‘দীপিকা আসেননি। তাই অন্য কারও প্রশংসা? দীপিকার কপালে হয়তো একজন সতীন জুটল।’
‘সিংহাম এগেইন’-এ পুলিশ অফিসার সত্যের চরিত্রে অভিনয় করেছন টাইগার শ্রফ। অজয় রয়েছেন বাজিরাও সিংহাম চরিত্র, কারিনা তার স্ত্রীর ভূমিকায়, লেডি সিংহাম হয়েছেন দীপিকা, অক্ষয়কে দেখা যাবে সূর্যবংশী চরিত্রে আর রণবীর কাপুর আগের মতো সিম্বা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ভিলেন হিসেবে দেখা যাবে অর্জুন কাপুরকে।
প্রায় প্রতিদিনের মতো আজও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার ফেসবুকে চলমান ঘটনা নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তার আজকের বিষয়, ‘চলচ্চিত্রবিষয়ক কমিটি’। এক কথায় বলতে গেলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আওতায় সম্প্রতি গঠিত হওয়া চলচ্চিত্র বিষয়ক যতগুলো কমিটি হয়েছে তার গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন এই নির্মাতা।
বলে রাখা ভালো, এই কমিটিগুলোতে মূলত ফারুকীর অনেক কাছের মানুষজন রয়েছেন। তারপরও তিনি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে কমিটিগুলোর সমালোচনা করায় পোস্টের কমেন্ট বক্সে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
ফারুকী লিখেছন, ‘‘চলচ্চিত্রবিষয়ক যতগুলো কমিটি হয়েছে তার মধ্যে ‘পরামর্শক’ কমিটিই আমার বিবেচনায় সবচেয়ে ভালো হয়েছে। বাকী কমিটিগুলোতে (চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জুরি বোর্ড, শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদান কমিটি, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র অনুদানের স্ক্রিপ্ট বাছাই কমিটিসহ একাধিক কমিটি সম্প্রতি গঠিত হয়েছে) যোগ্য লোক যেমন আছে, কিছু বিস্ময়কর নামও আছে। এই সমালোচনাটা করে রাখা দরকার যাতে সরকার বুঝতে পারে। না হলে আগের আমলের মতো ‘কর্তা যা করেছেন মাইরি’ সিচুয়েশন বানিয়ে ফেলবো আমরা।’’
এইসব কমিটিতে আরও কারা থাকতে পারতো না উল্লেখ করে ফারুকী লিখেছেন, ‘আমার বিবেচনায় এখানে আরো কিছু অংশীজন থাকা উচিত ছিলো। যেমন ফাহমিদুল হক, বিধান রিবেরু, অমিতাভ রেজা চৌধুরী, মেজবাউর রহমান সুমন, নুহাশ হুমায়ুন। স্বচ্ছতার জন্য বলে নেয়া ভালো, আমাকে অনুরোধ করা হয়েছিলো পরামর্শক এবং আরেকটা কমিটিতে থাকার জন্য। আমি ব্যক্তিগত কারণে থাকতে চাইনি। এখন যাদের নাম উল্লেখ করলাম তারা থাকতে অপারগতা জানিয়েছে কিনা আমি জানি না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমার বক্তব্য থাকবে- এই পরামর্শক কমিটি থেকে পরামর্শ যা যাবে তা যেনো অংশীজনরাই তৈরি করে দেন। সরকারী কর্মকর্তারা কেবল এক্সিকিউশনের দিকটা দেখা উচিত। নীতি প্রণয়নে তারা হাত না দেয়াই ভালো হবে কারন তারাতো আমাদের সমস্যা এবং প্রয়োজনটা জানেন না।’
এরপর কিছু পরামর্শ দিয়েছেন এই নির্মাতা। তিনি লিখেছেন, ‘এখানে আরেকটা কথা যোগ করতে চাই। শিল্পকলা একাডেমির জমি আছে মোটামুটি দেশ জুড়েই। কমপক্ষে ৩০ জেলায় শিল্পকলার জায়গায় মাল্টিপ্লেক্স করে সেটা দরপত্রের ভিত্তিতে প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেয়া যেতে পারে। যেহেতু আমাদের জাতিগত দুর্নাম ‘আমরা শুরু করি, অব্যাহত রাখি না’, সেহেতু এই সব মাল্টিপ্লেক্সকে মনিটরিংয়ে রাখতে হবে এর মেইনটেনেন্স ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা। না হলে লিজ বাতিলের শর্ত থাকতে হবে। এখন ঝামেলা হলো শিল্পকলা সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের অধীন আর সিনেমা-টিভি-ওটিটি তথ্য ও সম্প্রচারে। এই দুই মন্ত্রনালয়ের সমন্বয় করে হলেও এটা করা দরকার।’
ফারুকী যেহেতু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্জার করেছেন তারই প্রেক্ষিতে লিখেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর একটা হচ্ছে ফিল্ম ফান্ড এবং সাপোর্ট সিস্টেম। আমাদের সামনে বুসান, সানড্যান্স, বার্লিন, রটারডাম, ফিল্মবাজার স্ক্রিন রাইটার্স ল্যাবের উদাহরণ আছে। আমি মনে করি পরামর্শক কমিটির উচিত অনুদান প্রথাতে আমূল পরিবর্তন আনা। ৫০ ভাগ ছবি ফার্স্ট এন্ড সেকেন্ড টাইম ফিল্মমেকারদের জন্য বরাদ্দ থাকা উচিত। এই ৫০ ভাগের মাঝে কমপক্ষে অর্ধেক নারী ফিল্মমেকারদের জন্য থাকা উচিত। তো এই নতুন পরিচালকদের স্রেফ ফান্ড দিয়েই হাত গুটিয়ে ফেলা যাবে না। স্ক্রিন ল্যাবের মতো ইনকিউবিটরে লোকাল এবং ইন্টারন্যাশনাল মেন্টর দিয়ে এদের সহায়তা করতে হবে।’
পাশাপাশি অনুদান পলিসি নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবার পরামর্শ ফারুকীর। তিনি এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘আমরা কোন ধরনের ছবিকে অনুদান দিবো? ইরানের মতো সোশ্যালি রিলেভ্যান্ট এবং ইমপ্যাক্টফুল স্টোরিটোলিং? নাকি কোলকাতা আর্টহাউজের দুর্বল ফটোকপি? নাকি বেলা তারের মতো ছবি? আমার বিবেচনা হচ্ছে আমাদের এখানকার মানুষ, তাদের সম্পর্ক, আবেগ, পাগলামো এসব মিলিয়ে আমাদের আশেপাশে নিজস্ব গল্প এবং চরিত্রেরা হেঁটে বেড়াচ্ছে। এইসব নিয়ে সোশ্যালি রিলেভ্যান্ট ছবির সংখ্যা বাড়লেই আমরা সত্যিকারের বাংলাদেশী নিউ ওয়েভ হতে পারবো।
একই সাথে পরামর্শক কমিটির উচিত অনুদান কমিটি পূনর্গঠন করা। নতুন পলিসির আলোকে যারা এটা এক্সিকিউট করতে পারবে তাদের রাখা উচিত। দেখেন ব্যক্তি খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন যে অনুদান কমিটি করা হয়েছে সেখানে এক দুই জন যোগ্য লোক থাকলেও এটা অনেকটাই আওয়ামী লীগ আমলের মতোই ব্যাকডেটেড কমিটি। আর এই কমিটির কে কিভাবে ফ্যাসিবাদের কালচারাল উইংয়ের ফুটসোলজার ছিলো সেই আলাপে গেলাম না।
আমি মনে করি এই কমিটিতে থাকা উচিত ছিলো তাদের যাদের সারা দুনিয়ায় এই কাজগুলো কিভাবে হচ্ছে সেটার ফার্স্ট হ্যান্ড অভিজ্ঞতা আছে। বিদ্যমান কমিটির যোগ্য দুয়েকজনের পাশাপাশি আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ, নুহাশ হুমায়ুন, আরিফুর রহমান, তানভীর হোসেন, সালেহ সোবহান অনীম, আদনান আল রাজীব, কামার আহমেদ সায়মন, হোমায়রা বিলকিস এদের মধ্য থেকে কেউ কেউ থাকলে আমরা একটা ফরওয়ার্ড লুকিং ভিশন পেতাম।
অনেকে ভাবতে পারেন আমি ব্যক্তির উপর কেনো গুরুত্ব দিচ্ছি। দিচ্ছি কারণ ব্যক্তির কারনেই আকাশ পাতাল পার্থক্য রচিত হয়। মোহাম্মদ আযম আর মিডিওকার কোনো রাম-শ্যাম এক জিনিস না। সৈয়দ জামিল আহমেদ আর লাকী এক জিনিস না।’
দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোর কোন খবর নেই। তাই সম্প্রতি অনেক গণমাধ্যম প্রচারও করেছে নিশো কি তবে হারিয়ে গেলেন শিরোনামের খবর।
রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা দিয়ে গত বছর বড় পর্দায় অভিষেক হয় আফরান নিশোর। সিনেমাটি পাল্লা দিয়েছিল শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’র সঙ্গে। ফলে সিনেমায় নিয়মিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। তবে এরপর এই নায়ককে আর কোন ছবিতে যুক্ত হতে দেখা যায়নি। নাটক আর ওটিটির কাজ থেকেও ছিলেন দূরে।
এই যখন পরিস্থিতি তখনই এই তারকার নতুন কাজের খবর সামনে এলো। এ বছরের নভেম্বর বা ডিসেম্বরে নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করবেন নিশো। সিনেমাটি মুক্তির আলো দেখবে আগামী কোরবানির ঈদে।
এ বছরের মে মাসে ভারতের এসভিএফ-আলফা আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড সঙ্গে যৌথ আয়োজনে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ঘোষণা আসে। সেই প্রতিষ্ঠানে দুটি সিনেমার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন আফরান নিশো। নিশোর নতুন সিনেমাটি সেই দুই সিনেমার একটি পরিচালনা করবেন শিহাব শাহীন।
তবে সিনেমার নাম এখনো জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সপ্তাহখানেক পরেই আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে সিনেমা, অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য কলাকুশলীর নাম।
নিজের প্রথম সিনেমা ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ দিয়ে সিনেমা পরিচালক হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন শিহাব শাহীন। এবার তিনি হাত দিয়েছেন দ্বিতীয় সিনেমায়।
জানা গেছে, কয়েক মাস ধরে নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরিচালক ও তার দল। যেকোনো সময় শুটিংয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত তারা।
তবে সিনেমাটি নিয়ে তাদের কিছু পরিকল্পনা আছে জানিয়ে শিহাব শাহীন বলেন, ‘আমাদের কিছু পরিকল্পনা আছে। কয়েক দিনের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সেসব জানাব।’
জানা গেছে, এ বছর সিনেমার শুটিং শুরু হবে। শুটিং শেষ করেই পোস্ট প্রোডাকশনের কাজে নেমে পড়বেন নির্মাতা ও তার দল। কারণ, আগামী বছর কোরবানির ঈদে সিনেমাটি মুক্তি দিতে চান তারা।
এর আগে একাধিকবার মৌখিকভাবে ‘দরদ’ মুক্তির কথা শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। এবার প্যান ইন্ডিয়ান ছবি ‘দরদ’-এর গ্র্যান্ড রিলিজ উপলক্ষে একটি অ্যানাউন্স টিজার প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে অফিশিয়ালি জানা গেল, ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, মধ্যপ্রাধ্য, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে একযোগে চলবে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবি।
দুদিন আগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে প্রদর্শিত হয় ‘দরদ’। সেখান থেকে কোনো রকম আপত্তি ছাড়াই মুক্তির অনুমতি লাভ করে ছবিটি।
গেল ঈদুল আযহার দিন ‘দরদ’-এর টিজার প্রকাশ হয়েছিল। সাইকো-থ্রিলার ধাঁচের গল্পে সেই টিজার দুই বাংলার দর্শকদের নজর কাড়ে। দেড় মিনিটে টিজারে শাকিবের সঙ্গে বলিউড নায়িকা সোনাল চৌহানের ভরপুর রোমান্স ও দুর্দান্ত সাসপেন্স চোখে পড়ে।
৪ বছর পর ‘দরদ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ঈদ ব্যতিত শাকিব খানের কোনো ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
এদিকে, ‘দরদ’ মুক্তির খবর পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন হল মালিকরা। তারা বলছেন, ভালো ছবির সংকটে দর্শক হলে আসছে না। ‘দরদ’ দিয়ে সেই দর্শক খরা দূর হবে।
শাকিব খান ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান, পশ্চিম বাংলার পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজেশ শর্মা, অলোক জৈন ও বলিউডের রাহুল দেব। বাংলাদেশ থেকে আছেন এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, সাফা মারোয়াসহ অনেকে।
বলিউড ভারতের সবচেয়ে বড় মিডিয়া ইন্ড্রাস্ট্রি হলেও, তাদের কুখ্যাতিও কম নেই। একাধিকবার বলিউড নেপোটিজমের কারণে বদনাম হয়েছে। বিশেষ করে অর্জুন কাপুর এবং টাইগার শ্রফ তাদের অভিব্যক্তিহীন অভিনয়ের জন্য বার বার নেটিজেনের তোপের মুখে পড়েন। তবে অর্জুন আর টাইগার একই ছবিতে আছেন, তবুও তাদের চেয়ে অন্য এক সুপার স্টারের অভিনয় নিয়ে ভক্তদের হতাশা - এমন এই প্রথমবার হলো। তাও বাজিরাও মাস্তানি, রামলীলা, পদ্মাবত, পিকু- এর মতো সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন!
কালী পূজাকে উপলক্ষ্য করে প্রকাশ করা হবে রোহিত শেঠির সিনেমা সিংহাম এগেইন। দীপাবলির পরদিন ১ নভেম্বর সিনেমা হলে প্রকাশ করা হবে সিনেমাটি। সোমবার (০৭ অক্টোবর) প্রকাশ পেয়েছে রোহিত শেঠি কপ ইউনিভার্সের আসন্ন সিনেমা ‘সিংহাম এগেইন’ এর ট্রেইলার। ট্রেইলারে দীপিকার অভিনয় দেখে সন্তুষ্ট হন নি ভক্তরা। ইউটিউব, টুইটার সহ বিভিন্ জায়গায় ট্রেইলারের কমেন্ট বক্সে ভক্তদের তেমন প্রতিক্রিয়াই দেখা যায়। সকলে দীপিকার অভিনয় দেখে হতাশা প্রকাশ করেছে।
শুধু তাই নয়, দীপিকার প্রথম সিনেমার পরিচালক ফারা খানের একটি পুরানো সাক্ষাৎকারের অংশ টেনে এনে দীপিকার সমালোচনা করা হয়। সেখানে ফারা খান দীপিকার সংলাপে আঞ্চলিক টান থাকা নিয়ে কথা বলছিলেন। তাছাড়াও বেশি ভালো করতে গিয়ে সিনেমাতে একাধিক তারকা রাখলে হিতে বিপরীত না হয়, তা নিয়েও চিন্তিত ভক্তরা। কেউ আবার মন্তব্য করেছে, এত সুপার স্টারদের সামনে অর্জুন কাপুরকে খল চরিত্রে বেশি প্রভাবশালী মনে হচ্ছে না।
ভারতীয় সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রির সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা ইউনিভার্স ইতোমধ্যে গড়ে তোলার জন্য প্রশংসিত পরিচালক রোহিত শেঠি। এই সিনেমায় অজয় দেবগণ মূখ্য ভূমিকায় থাকলেও একাধিক নাম করা তারকা অভিনয় করেছেন। সিংহাম এগেইনে অজয় দেবগণ, কারিনা কাপুর, দীপিকা পাডুকোন, টাইগার শ্রফ এবং খল চরিত্রে অর্জুন কাপুর অভিনয় করেছেন। ছাড়াও অতিথি শিল্পী হিসেবে থাকবেন রণবীর সিং-য়ের সিম্বা চরিত্রে এবং অক্ষয় কুমার সূর্যবংশী চরিত্রে। সিংহাম এগেইনের মাধ্যমেই প্রথম নারী পুলিশ অফিসার ‘লেডি সিংহাম’ ওরফে শক্তি শেঠি চরিত্রে অভিনয় করছেন দীপিকা পাডুকোন।
অজয় দেবগণ অভিনীত ‘সিংহাম’ ছিল এই ইউনিভার্সের প্রথম সিনেমা। এরপর অক্ষয়ের সিনেমা ‘সূর্যবংশী’, রণবীরের সিনেমা সিম্বা এবং অজয়ের আরেক সিনেমা সিংহাম রিটার্নস প্রকাশ করা হয়। এবার আসছে তার পরবর্তী সিনেমা ‘সিংহাম এগেইন’। এই গল্পে রামায়ণের বেশ প্রভাব ট্রেইলারের লক্ষ্য করা যায়।
রামায়ণে রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত করতে দেবী দুর্গার অকালবোধন করেন শ্রীরাম। সেই থেকে বসন্তে নয়, বরং শরৎকালে শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজার প্রান্তলগ্নে প্রকাশিত হলো রামায়ণ গল্পের অনুপ্রেরণায় তৈরি সিনেমা সিংহাম এগেইন। সিনেমার চরিত্রে সাথে রামায়ণের বিভিন্ন চরিত্রে সাদৃশ্য রেখে গল্প লেখা হয়েছে।