ব্যাংককে সময় কাটাতে গিয়ে ক্যামেরাবন্দি রাফসান-জেফার
গতবছর সানিয়া এশার সঙ্গে রাফসান সাবাবের বিবাহ বিচ্ছেদের পর আঙুল উঠেছিল সঙ্গীতশিল্পী জেফারের দিকে। রাফসানের সঙ্গে বন্ধুত্বের ঘনিষ্ঠতাই নাকি বিচ্ছেদ কারণ- এমন রোল উঠেছিল। তখন জোর গলায় এই গুঞ্জনকে মিথ্যা দাবি করেছিলেন জেফার।
তবে জোর গলায় তার বলা সেই কথার ভিত্তি এখন কেমন যেন নড়বড়ে ঠেকছে। সম্প্রতি রাফসান এবং জেফারকে একান্ত সময় কাটাতে দেখা যায়। তাও দেশে নয়, বরং ব্যাংককে। গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ব্যাংককের বিখ্যাত সিয়াম প্যারাগন শপিং মল‘এ একসঙ্গে ক্যামেরাবন্দী হয়েছেন রাফসান-জেফার। ‘পেরি পেরি ফুড শপ’ নামক খাবারের দোকানে পাশাপাশি বসে নিজেদের মতো সময় কাটাচ্ছেন তারা।
বেশ অনেক্ষণ একত্রে বসেছিলেন তারা। রাফসানের পরনে লাইট অলিভ শ্যেডের টিশার্ট আর জেফার পরেছেন কালো স্লিভলেস টপ। শুধু তারা দুজনেই ছুটি কাটাতে যাননি। জেফারের পরিবারের সদস্যদেরও দেখা গেছে ব্যাংককে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের সঙ্গে ছবিও শেয়ার করেছিলেন জেফার। সেই ফুডশপে খাবার অর্ডার দেওয়ার সময় দূর থেকে ক্যামেরা বন্দী হয়ে যান তারা। রাফসান-জেফারকে বেশ ফুরফুরা মেজাজে দেখা যায় এসময়।
দেশের মিডিয়া সংশ্লিষ্ট অনেকেরই দাবি, রাফসান-জেফারের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সানিয়া এশার সঙ্গে রাফসানের বিচ্ছেদের কারণ জেফার। তারা এই ব্যাপার সহসা অস্বীকার করলেও, সম্ভাবনা রয়েছে যে এই তারকা দম্পতি গোপনে বিয়ে করেছেন।
আলাদা আলাদাভাবে যার যার স্যোসাল মিডিযা একাউন্ট থেকে ছবি শেয়ার করেছিলেন রাফসান এবং জেফার। রাফসানের একার ছবি প্রকাশ করলেও, জেফার তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথেও ছবি শেয়ার করে। কেউ যেন ধরতে না পারে তারা একসঙ্গে ছুটি কাটাতে গেছেন, সেজন্য বেশ বুদ্ধি খাটিয়েছেন রাফসান-জেফার। তবে, অবশেষে ধরা পরেই গেলেন।
২০২০ সালে এশাকে বিয়ে করেছিলেন রাফসান। ৩ বছর সংসার করার পর সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। এশার হৃদয়ব্যথা প্রকাশ করা পোস্ট পড়ে বোঝা গিয়েছিল রাফসানের আগ্রহ এই বিচ্ছেদের কারণ ছিল। তারপরই নেটিজেনদের ক্ষুব্ধ হয় রাফসান ও জেফারের উপর।
২০২৩ সালে রাফসানের বিচ্ছেদের পর তোপের মুখে পরেছিলেন জেফার। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এটা খুবই হাস্যকর। মানুষ এগুলো কোথা থেকে পায় আমি জানি না। আমরা (জেফার আর রাফসান) একসঙ্গে শো করেছি, বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছি। যেমনটি আমরা আরও অনেক সহকর্মীর সঙ্গেই করি। এর বাইরে তার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।’