পড়াশুনা ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে লম্বা সময় সংগীত ও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আজমেরী নির্ঝর। যিনি হাবিবের সংগীতে ‘একটা দেশলাই কাঠি জালো’, হৃদয় খানের সঙ্গে ‘জানি একদিন আমি চলে যাবো’সহ বেশকিছু গানের জন্য এখনো শ্রোতামনে জায়গা করে রেখেছে।
ফ্রান্স প্রবাসী এই কণ্ঠশিল্পী এবার আবদ্ধ হলেন বিয়েবন্ধনে। গত ১৫ নভেম্বর প্যারিসে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা হয়েছে বলে জানান নির্ঝর নিজেই। বর ফেনীর ছেলে জাহেদ আহমেদ মামুন। যুক্তরাজ্যে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে ফ্রান্সে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মূলত তিনি ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক।
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে আজমেরী নির্ঝর গেল কয়েক বছর ধরে প্যারিসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বর্তমানে ফ্রান্সের ইমিগ্রেশন বিভাগে ৪টি ভাষার ট্রান্সলেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।
নির্ঝর প্যারিস থেকে বলেন, ‘সবার কাছে দোয়া চাই আমাদের নতুন জীবনের জন্য। দ্রুতই আমরা দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি। তখন বড় করে আনুষ্ঠানিকতার ইচ্ছে আছে।’
বিজ্ঞাপন
বলা দরকার, আজমেরী নির্ঝর নতুন গান প্রকাশের চেয়েও যুক্তরাজ্য, সুইডেন, ফ্রান্সে ছুটেছেন উচ্চশিক্ষার জন্যে। অবশেষে থিতু হলেন প্যারিসে।
ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে যুক্ত আছেন নির্ঝর। খুলনা নজরুল একাডেমিতে ১০ বছর নজরুলসংগীতের তালিম নিয়েছেন। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ, নতুন কুঁড়ি, জাতীয় শিশু পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারই পেয়েছেন এই শিল্পী। এ পর্যন্ত তিনটি একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে নির্ঝরের। এগুলো হচ্ছে ‘পোড়ামুখী’ (২০০৩), ‘সূর্যমুখী’ (২০০৫) ও ‘স্বপ্নমুখী’ (২০১২)।
সিঙ্গেল গানের মধ্যে ‘জানি একদিন’ ও ‘আজকের এই নিশি’ গান দুটি দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, ২০১৫ সালে দেশ ছাড়ার আগে আগে। জানা গেছে, বেড়ানোর জন্য আসছে বছরে দেশে ফিরলেও গানে ফেরার ইচ্ছা নেই আজমেরী নির্ঝরের।
বাংলা সিনেপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত দুঃখের খবর! অস্কারজয়ী একমাত্র বাঙালী নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের কালজয়ী সিনেমা ‘পথের পাঁচালি’ দেখেননি বা এই সিনেমার কথা শোনেননি এমন দর্শক খুব কম আছে।
এই ছবি যারা দেখেছেন তারা নস্টালজিয়ায় ভোগেন ক্ল্যাসিক ‘দূর্গা’ চরিত্রটি নিয়ে। হাত ধরে ক্ষেত দিয়ে ছুটে যাচ্ছে দুই ভাই-বোন। অথবা সেই বৃষ্টিতে ভেজার দৃশ্য, গ্রামের বৃষ্টিতে মন জুড়নো সেই ছবি। অথবা সেই মায়ের কাছে মার খাওয়ার দৃশ্য। প্রত্যেকটা দৃশ্যকেই জীবন্ত করে তুলেছিলেন ‘দুর্গা’ চরিত্রের শিশুশিল্পী উমা দাশগুপ্ত। সেই ছোট্ট দূর্গা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড় হয়েছেন, বার্ধক্য তাকে ঘিরে ধরেছিলো।
কিন্তু আজ একেবারেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন প্রয়াত হয়েছেন পথের পাঁচালির ‘দুর্গা’, উমা দাশগুপ্ত। আজ (১৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে আটটার পর একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
সপ্তাহখানের ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই থিয়েটার করতেন উমা দাশগুপ্ত। স্কুলে পড়ার সময় তার অভিনয় দেখেই সত্যজিৎ রায় তাকে। বেছে নিয়েছিলেন পথের পাঁচালির দুর্গার চরিত্রটির জন্য। প্রথম ছবিতে অভিনয় করেই বাংলা সিনেমার ইতিহাসে জায়গা করে নেন তিনি। তবে সিনে-দুনিয়ার লাইম লাইট থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করতেন উমা দাশগুপ্ত।
কয়েক বছর আগে ক্যানসার হয়েছিল উমা দাশগুপ্তের। চিকিৎসা চলছিল। প্রাথমিকভাবে তিনি সাড়াও দিয়েছিলেন চিকিৎসায়। সুস্থ হয়ে ফের শুরু করে স্বাভাবিক জীবন যাপন। তবে কয়েক বছর আগেই আবার ফিরে আসে মারণ-রোগ। আর লড়াইয়ে পেরে ওঠেননি উমা। ক্যান্সারের কাছে হার মানলেন তিনি। প্রথম ছবির পরে আর রুপোলি পর্দায় দেখা যায়নি তাকে। রূপোলি পর্দা থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করতেন অভিনেত্রী। নিজের মতো করে জীবন সাজিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। সংসার করতেন। কন্যসন্তান ছিল তার।
এর আগে একাধিকবার উমা দাশগুপ্তের মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়িয়েছে। শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন। তবে সেই সমস্ত খবর বানোয়াট। কিন্তু এবার সত্যি হল তার মৃত্যুর খবর। যে অভিনেত্রী মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়ার জন্য কেবল একটি সিনেমাই যথেষ্ট, আজ প্রয়াত হলেন সেই কিংবদন্তি।
আবারও প্রেমে পড়েছেন আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি। ফেসবুকে ছোট্ট এক ভিডিও ক্লিপে নিজের নতুন ভালোবাসার কথা জানান দিয়েছেন তিনি।
ভিডিওতে দেখা গেছে, চলন্ত গাড়িতে কারো হাতের ওপর হাত রেখেছেন অভিনেত্রী। যদিও পাশে থাকা ব্যক্তির চেহারা প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। সেই ভিডিও শেয়ার করে পরী লিখেছেন, ‘হ্যাঁ আমি আবারও প্রেমে পড়েছি’।
তার শেয়ার করা ভিডিওতে শুভাকাঙ্খী-সহকর্মীরাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। কেউ লিখেছেন, ‘পরীরা উঠতে বসতে প্রেমে পড়ে।’
কারো মন্তব্য, ‘এইবার আর ভুল করো না। আশা করছি সঠিক মানুষকে বেছে নিয়েছেন।’
তবে কেউ কেউ আবার বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন। একটুতেই প্রাণ খুলে হেসে ওঠা পরীকে সাধারণ দর্শক একভাবে নিলেও তার সমালোচকরা নেন অন্যভাবে। তারা ওই হাসির মধ্যে খুঁজে পান কুটিলতা! তাইতো কেউ কেউ পরীকে অত্যন্ত বুদ্ধিমতি বলে মন্তব্য করেছেন। ফলে পরীর এই নতুন প্রেমের খবর নিজেই দেওয়ার ব্যাপারটাকে তারা স্বাভাবিকভাবেই স্ট্যান্টবাজি মনে করছেন। কারণ, তাদের ধারণা পরী ভালো করেই জানেন কিভাবে শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে হয়, কিভাবেই বা নিজের ব্র্যান্ড ইমেজ বজায় রাখতে হয়।
অনেকেই এর মধ্যে জেনে গেছেন যে গত ১৬ নভেম্বর রাজধানীর একটি শপিংমলে শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, শোরুম অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা কর্মী, আয়োজক ও দর্শকদের মাঝে বিশৃঙ্খলা থেকে হট্টোগোল সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আয়োজক ও পরীমণিকে উদ্দেশ করে দর্শকরা ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে শুরু করেন।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন অভিনেত্রী। এরপরে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পুরো আয়োজনে বিশৃঙ্খলার জন্য আয়োজকদের দায়ী করেছেন তিনি।
এতে পরীর জনপ্রিয়তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই তিনি চান না এই বিষয়টি নিয়ে আর কোন আলোচনা-সমালোচনা হোক। তাই সবার মনোযোগ অণ্য দিকে নিতেই নিজেই নিজের ‘নতুন প্রেম’-এর খবর জানিয়েছেন, এমনটাই মনে করছেন কেউ কেউ।
যাই হোক, এ ঘটনা নিয়ে শনিবার রাতে এক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য আয়োজকদের দিকে আঙুল তুলে তিনি লেখেন, ‘যেখানে আমার সামনে আমার সাংবাদিক ভাই, বন্ধু, কলিগরা অসম্মানিত হয়; সেখানে আমি কী করে সম্মানিত বোধ করব! সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে কোনো আয়োজন না করতে পারলে সেই ব্যর্থতা কারোর কোনো ক্ষমতা দিয়ে ঢাকতেই পারবেন না। অবশ্যই নিজ সম্মান বজায় রাখতে সংবেদনশীল হবেন আশা করি।’
রক্ষণশীলতার ঘেরাটোপ থেকে সৌদি সমাজকে বের করে আনতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ভিশন ২০৩০ পরিকল্পনার আওতায় ২০১৮ সালে বিনোদন জগৎ থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, খুলে দেওয়া হয় সৌদির সিনেমা হলগুলো। আয়োজন করা হয় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে শুরু করে কনসার্ট, ফ্যাশন শো ইত্যাদির। এরই ধারাবাহিকতায় আরেকটি উদ্যোগ ‘রিয়াদ সিজন’।
আর সেই আয়োজনের অংশ হিসেবেই সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে রিয়াদে যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত ব্যান্ড তারকা জেমস। ২২ নভেম্বর রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্কে গান শোনাবে তার ব্যান্ড ‘নগরবাউল’। আয়োজনটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ কালচার’।
সৌদির মিনিস্ট্রি অব মিডিয়ার আমন্ত্রণে এবারের রিয়াদ সিজনে অংশ নিচ্ছে ৯টি দেশ। এর মধ্যে আছে দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান। ১২ অক্টোবর শুরু হওয়া ৪৫ দিনের এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এ উৎসবের লক্ষ্য সৌদি আরব ও অংশগ্রহণকারী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়। উৎসবটি শীতকালীন বিনোদনের অন্যতম আয়োজন হিসেবে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে আশা করছে সৌদি সরকার।
আমন্ত্রিত প্রতিটি দেশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে এক সপ্তাহ। সেখানে এসব দেশের সংগীত, নৃত্য, ঐতিহ্যবাহী খাবার তুলে ধরা হচ্ছে। আয়োজনের সপ্তম সপ্তাহকে ‘বাংলাদেশ উইক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে।
নগরবাউল ব্যান্ডের ব্যবস্থাপক রুবাইয়াৎ ঠাকুর বলেন, ‘২০ নভেম্বর সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে আমরা প্রথমবারের মতো রিয়াদে যাচ্ছি। আয়োজনটিতে বিনা মূল্যে গান শুনতে পাবেন দর্শক। আশা করি, ভালো একটা শো হবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
শেষ গত শুক্রবার ঢাকার মাটিকাটা রোডের সেনাপ্রাঙ্গণ মিলনায়তনে গান শুনিয়েছেন নগরবাউল জেমস। এদিন ‘কবিতা তুমি স্বপ্নচারিণী হয়ে খবর নিয়ো না’ গান দিয়ে কনসার্ট শুরু করেন জেমস। একে একে তিনি শোনান ‘দিওয়ানা মাস্তানা’, ‘গুরু ঘর বানাইলা’, ‘মা’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘মীরাবাই’, ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব’ ও ‘পাগলা হাওয়া’। গানের পাশাপাশি গিটারেও নৈপুণ্য দেখিয়েছেন নব্বইয়ের জনপ্রিয় এই রকস্টার।
জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন বর্তমান সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ভাই-ব্রাদার, এ কথা প্রায় সবাই জানেন। তারা একই রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী এ কথা বলাই যায়। বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে তাদের যে রাজনৈতিক অবস্থান দেখা গেছে, তাতে এ কথা স্পষ্ট। ফারুকী সংস্কৃতি উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গুঞ্জন এ পর্যন্ত ছড়িয়েছে যে, তিনি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন! এমন প্রেক্ষাপটে বড় ভাইতূল্য ফারুকীকে নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন আশফাক নিপুন। তিনি আজ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস পোস্ট করেছেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-
মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে আওয়ামী দোসর বলা হাস্যকর। দু:খজনক না বলে হাস্যকর বললাম কারণ খোদ কট্টর আওয়ামী শিল্পী সমাজ থেকে শুরু করে ক্যাডার বাহিনী পর্যন্ত তাকে নিজেদের দলে দেখতে আগেও স্বাচ্ছন্দবোধ করেন নাই, এখনো করবেন না।
বিশ্বাস না হলে আপনার পাশের আওয়ামীজন কে জিজ্ঞেস করে দেখেন? ছ্যাঁত করে উঠবে! আর উনার পুরোনো কিছু স্ট্যাটাস, ছবিই যদি অকাট্য প্রমাণ হয় তাহলে তার বিপরীতে গত ১৫ বছরে, বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে নিরন্তর আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমালোচনা করে উনার ফেসবুক পোষ্টও আমলে নেয়া হোক? যেগুলো নিয়ে আওয়ামী শিল্পী সমাজ থেকে শুরু করে খোদ পলাতক প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চূড়ান্ত বিরক্ত ছিলেন? অথবা আওয়ামী সরকারের আমলে দুইবার উনার সিনেমা আটকে দেয়া আমলে নেয়া হোক?
কয়েকটা ফেসবুক পোষ্ট আর একটা/দুইটা ছবি যদি কোন দলের দোসর হওয়ার, সহমত ভাই হওয়ার চুড়ান্ত যোগ্যতা হয় তাহলে গত ১৬ বছরে যেসব শিল্পী নিজেদের 'আপা'র কাছের লোক প্রমাণে, প্লট, পদ, ব্যবসা বাণিজ্য বাগানোর জন্য ভুয়া নির্বাচনী প্রচারণা থেকে শুরু করে 'আপা'র সামনে, পিছনে হাত কচলে, তৈলমর্দন করতে করতে আমাকে আর আমিমনাদের দিনরাত শূলে চড়াতেন তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। অনেক বেশি শারীরিক কষ্ট করলেন এক জীবনে, বুঝতেও পারেন নাই এর ০.১% করলেও খুশিতে খুশিতে 'আপা'র দোসর ট্যাগ খেয়ে যাতে পারতেন এখন!
ফারুকীর সংস্কৃতি উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে প্রচুর সমালোচনা। উনি সংস্কৃতির লোক তাই উনাকে এই মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বানানো। উনাকে তো অর্থ, বাণিজ্য, স্বরাষ্ট্র, আইন বা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা করা হয় নাই। উনি দেশে বিদেশে সংস্কৃতি অঙ্গনের বিখ্যাত মানুষ, জুলাই আন্দোলনেরও বহুকাল আগে থেকেই ফ্যাসিস্ট সরকারের সমালোচনায় সরব, স্পিরিটে তরুণ তাই হয়ত উনার এই নিয়োগ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই আন্দোলনের স্পিরিট, ডকুমেন্টস ধারণ করার মত কাজ উনি যদি করে দেখাতে না পারেন তাহলে আমিও উনার সমালোচনা করব। ১০০ বার করব। কিন্তু কাজটা তো করে দেখানোর সুযোগ দিতে হবে আগে? সেটাও দেয়া যাবে না কেন? শত শত ফ্যাসিস্ট সমালোচনার বাইরে উনার কয়েকটা ফেসবুক পোষ্ট বা পলক সাহেবের সাথে একটা ছবির কারণে?
ছোট মুখে বড় একটা কথা বলি তাহলে, বেয়াদবি মাফ করবেন। এই ছাত্র জনতার আন্দোলনে সম্পৃক্ত অনেককেই আমরা চিনি, জানি যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুইভাবেই জীবনের কোন না কোন সময়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিল। কেউ ইচ্ছাকৃত, কেউ অনিচ্ছাকৃত, কেউ কৌশলে আর কেউ বাধ্য হয়ে ছিল। কিন্তু আন্দোলনের স্পিরিটে ফ্যাসিস্ট তাড়াতে সবাই এক হয়ে গিয়েছিল। এই ঐক্যই ছিল আমাদের শক্তি। এখন এই ডিভাইড এণ্ড রুল পলিসি কেন? কার বা কাদের সুবিধার জন্য?
ফারুকীর কাজের সমালোচনা ১০০ বার করেন। সেটা উনার উপর অর্পিত দায়িত্ব উনি পালন করতে না পারলে করেন। যৌক্তিকভাবে করেন। কিন্তু উনি যা না, যা উনি বলেন নাই, সেটার পিছনে অযৌক্তিক সমালোচনা করে শক্তি নষ্ট কইরেন না। আমি বিশ্বাস করি, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এই মহান আন্দোলনকে ডকুমেন্টেড করার জন্য উনার সেবাবলে সর্ব্বোচ্চটাই ঢেলে দিবেন। সেই সক্ষমতা উনার এবং উনার টিমের আছে। আমি সাগ্রহে তাকিয়ে আছি উনি আমাদের কি কি উপহার দিতে পারেন সেদিকে। না পারলে তখন উনাকে গালমন্দ কইরেন।