শতাধিক বয়সে বিয়ে করে নবদম্পতির রেকর্ড

  • ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বার্নি লিটম্যান (১০০) ও মার্জোরি ফিটারম্যান (১০২) দম্পতি

বার্নি লিটম্যান (১০০) ও মার্জোরি ফিটারম্যান (১০২) দম্পতি

ভালোবাসার ‍মানুষের সঙ্গে যুগ যুগ পার করার সাধ কার না হয়! বিয়ের সময় প্রেমের প্রকাশ হিসেবে জীবনসঙ্গীকে মানুষ কতরকমই প্রতিজ্ঞা করে। ১০০ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে দেব- আরও না জানি কত কি! কিন্তু সেই জীবনসঙ্গীর দেখাই যদি পান ১০০ বছর বয়সে, তখন?

এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ফিলাডেলফিয়ায়। ১০০ বছর বয়সের বার্নি লিটম্যান বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ১০২ বছরের মার্জোরি ফিটারম্যানের সঙ্গে। এর মাধ্যমেই পৃথিবীর সবচেয়ে বয়স্ক নবদম্পতির রেকর্ড গড়লেন তারা। চলতি বছরের শুরুতে নতুনভাবে একসঙ্গে পথচলা শুরু করে। ৩ ডিসেম্বর এই দম্পতির নাম উঠেছে গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে নথিতে। তাদের দু’জনের বয়সের সমষ্টি ২০২ বছর ২৭১ দিন।

বিজ্ঞাপন

শতবর্ষী এই যুগলের প্রেম শুরু হয়েছিল ফিলাডেলফিয়ার একটি বৃদ্ধাশ্রমে। তারা দুজন কাছাকাছিই বসবাস করতেন। নয় বছর আগে তাদের একটি অনুষ্ঠানে দেখা হয় এবং শিগগিরই তারা প্রেমে পরে যান। যে অ্যাপার্টমেন্টে তাদের একসাথে যাত্রা শেুরু হয়েছিল সেখানেই তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ১৯ মে।

বার্নি এবং মার্জোরি দু’জনেই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল জীবন-যাপন করেছেন। তাদের আগের জীবনসঙ্গী মারা যাওয়ায় আগে দু’জনেই ৬ দশক সংসারজীবনে আবদ্ধ ছিলেন। যদিও পেনিসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সময় তাদের একে অপরের সঙ্গে পরিচয় ছিল। তখন তারা জানতেন না ভাগ্য তাদের দেরীতে হলেও একই পথে নিয়ে এসে একে অপরের সঙ্গী করে তুলবে।  

বিজ্ঞাপন

পেশাগতভাবে বার্নি ছিলেন একজন প্রকৌশলী। অপরদিকে মার্জোরি শিক্ষকতার পেশায় জীবন অতিবাহিত করেছেন। বিয়ের দিন বার্নির নাতনি সারাহ সিকারম্যান ইহুদি ক্রোনিক্যালকে জানান,‘পৃথিবী অসংখ্য দুঃখ আর ভয়ে পরিপূর্ণ। এরমধ্যেও, এমনকিছু করতে পারা আসলেই ভালো, যা অন্যদের জীবনে আনন্দ এনে দেয়।

রাব্বি অ্যাডাম ওহলবার্গ ছিলেন বার্নি এবং মার্জোরির বিয়ের দায়িত্বে। ফক্স নিউজের সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন , ‘আজকাল যাদের বিয়ে হয়, তাদের বেশিরভাগই কোনো ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচিয় হয়৷ আমার ব্যক্তিগতভাবে আগের পদ্ধতিগুলোই পছন্দ। একই এলাকা বা বিল্ডিংয়ে থেকে পরিচয়। তারপর একে অন্যের জীবনে আগমন এবং অবশেষে প্রেমে পড়া।’

বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে যাওয়া এবং একে অপরের জন্য খাবার-দাবার ভাগাভাগি করার মাধ্যমে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে। দুই পরিবারের উপস্থিতিতে ব্যক্তিগত আয়োজনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বার্নির ইহুদি পরিবারের ৪ প্রজন্মের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হয়। দু’জনেই হুইলচেয়ারে করে বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলেও , নতুন জীবন শুরু করার আনন্দের কোনো কমতি ছিল না বার্নি এবং মার্জোরির।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি