দক্ষিণের সুইং স্টেটে ব্যস্ত দিন কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের
ভোটের আর মোটে তিন দিন বাকি আছে যুক্তরাষ্ট্রে। ৬০ তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণা ব্যটলগ্রাউন্ডগুলোতে তাদের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। শনিবার দিনের প্রথম অংশে ট্রাম্প ছিলেন নর্থ ক্যারোলিনায়। আর কমলা হ্যারিস পার করেছেন জর্জিয়ায়।
পরে দিনের পরের ভাগে নর্থ ক্যারোলিনায়ও ছুটে যান কমলা হ্যারিস। সব মিলিয়ে দিনভর ছিলো ঠাসা কর্মসূচি। ক্যাম্পেইন ছাড়াও জাতীয় আন্তর্জাতিক পরামর্শকদের ব্রিফিং নেওয়া, ফোন কল অব্যহত রাখা নিয়মিত ভাবেই চলছে। এর বাইরেও চলছে সভা ও সাক্ষাৎকার। প্রত্যাশা একটাই যে করেই হোক হারাতে হবে প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
ওদিকে একই ধরনের মনোভাব নিয়ে লড়ে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তারও চেষ্টা একটাই যে করেই হোক জিততেই হবে।
দুই পক্ষের ক্যাম্পেইনে জোর দেওয়ার ফলটাও কারো চেয়ে কেউ কম পাচ্ছেন না। এ যেনো এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে এরই মধ্যে নীল দেয়াল আরও কিছুটা স্ফীত হয়েছে। মিশিগান ও উইসকনসিনে সামান্য হলেও এগিয়ে রয়েছেন হ্যারিস। কিন্তু পেনসিলভানিয়ায় এখনো দুই পক্ষই সমানে সমান।
মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনকে নিয়ে ম্যারিস্ট এর জরিপে দেখা যাচ্ছে- মিশিগানে হ্যারিস ৫১ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ। উইসকনসিনে হ্যারিস ৫০ শতাংশ ও ট্রাম্প ৪৮ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটারদের সমর্থনে রয়েছেন। আর পেনসিলভানিয়ায় দুই পক্ষই ৪৮ শতাংশ জনপ্রিয়তায় রয়েছেন।
- হত্যার হুমকি দিয়ে বিতর্কে ট্রাম্প, কঠোর সমালোচনা কমলার
- আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রে ট্রাম্প, প্রসঙ্গে বাংলাদেশ
- উইসকনে টক্কর ট্রাম্প-কমলার, নীল দেয়াল সামান্য স্ফীত
- ডিসিতে কমলা হ্যারিস, পেনসিলভানিয়া ছুটলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
- কটুকাটব্যের স্বরূপে ট্রাম্প! কড়া কথা বলতে ছাড়ছেন না কমলা
- ভোট শেষ হলে যেন ঘুম না ভাঙে, আহ্বান কমলার, ট্রাম্পামেনিয়াকের ডাক হাল্কের
পেনসিলভানিয়ায় ছয়টি জরিপ হয়েছে চলতি সপ্তায়। তার সবক'টিতেই দেখা গেছে মার্জিন এরর। ফলে কারো পক্ষেই স্পষ্ট করে কিছু বলা যায় নি। এখানে কেউ কারো থেকেই এগিয়ে নেই, আবার পিছিয়েও নেই। কেবল সুইং স্টেটেই নয়, সারাদেশেই দুই পক্ষের অবস্থান সমানে সমান। গত কয়েক দিন ধরে জাতীয় জরিপগুলো দুই পক্ষকেই রাখে ৪৭ শতাংশ জনপ্রিয়তায়। শুক্র ও শনিবারে সামান্য ব্যবধানে কমলা হ্যারিসকে এগিয়ে থাকতে দেখা যায়।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এ থেকে খুশি হবার এখনই কিছু নেই। পেনসিলভেনিয়ার দিকেই চোখ ফেলে রাখতে হবে সকলকে। এর অন্যতম কারণ এটি একটি বড় অঙ্গরাজ্য। এর রয়েছে ১৯টি ইলেক্টোরাল কলেজ। সবমিলিয়ে এই রাজ্যের ইলেক্টোরাল ভোট যে পক্ষে যাবে, সে পক্ষই জিতবে এমন একটা কথা বলছেন প্রায় সকলেই। তবে উল্লেখ করতেই হয় ২০১৬ ও ২০২০ দুই ভোটেই পেনসিলভেনিয়ার ইলেক্টোরাল কলেজের সমর্থন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে ছিলো।
তবে কেবল দুই প্রার্থীই নয়, তাদের পক্ষেও চলছে অন্যদের ক্যাম্পেইন। কমলা হ্যারিসের পক্ষ মাঠে সক্রিয় রয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি বারাক ওবামা ও মিশেল ওবামা। শনিবার মিশেল ওবামা ক্যাম্পেইন চালান পেনসিলভানিয়ায়। এই দিন আরেক দফা আক্রমন করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। "কন ম্যান" উপাধি দিয়ে তিনি বলেছেন, ট্রাম্প নিজেই দেশের জন্য একজন সাক্ষাৎ বিপদ।
ট্রাম্প তার শনিবারের ক্যাম্পেইনে জানিয়েছেন, নির্বাচিত হলে তিনি চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিট আর বাড়াবেন। বর্তমান সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২৬ সাল থেকে এই ক্রেডিট বর্তমান ২০০০ ডলার থেকে কমিয়ে ১০০০ ডলার করার কথা হয়েছে। কিন্তু সিএনএন এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি এই ক্রেডিট ২০০০ ডলারেই রাখার পক্ষে।