বুকের দুধ দান করে গিনেস রেকর্ডে অনন্য স্থান অ্যালিস ওগলেট্রির
ফিচার
শিশুদের জন্য বুকের দুধ দান করে পুরাতন রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েছেন টেক্সাসের অ্যালিস ওগলেট্রি নামের এক নারী।
ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি এক প্রতিবেদেন এই খবর জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবেদনে বলায় হয় , অ্যালিস ওগলেট্রি অকাল শিশুদের জন্য তিনি এবার ২৬৪৫ লিটার বুকের দুধ দান করেছেন। এর আগে ২০১৪ সালে ১৫৬ লিটার দুধ দান করে প্রথমবারের মতো রেকর্ড গড়েছিলেন এই নারী। এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিশুকে বুকের দুধ দিয়ে সাহায্য করেছেন তিনি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে আমেরিকান এই নারী বুঝতে পেরেছিল যে, স্বাভাবিকের চেয়ে তার বেশি দুধ উৎপাদন হচ্ছে। তাই ছেলের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত দুধ অপচয় হবে বিধায় তিনি এর বিকল্প ব্যবহারের জন্য হাসাপাতালে যোগাযোগ করেন। হাসপাতাল থেকেই তিনি জানতে পারেন যে, দুধ অন্যান্য শিশুদের জন্য দান করা যায়।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে অ্যালিস ওগলেট্রি জানান, মানুষকে সাহায্য করার জন্য তার একটি বড় মন আছে। সবসময় অর্থ দিয়ে সহায়তা করতে পারেন না। তাই শিশুদের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
প্রতিনিয়ত দুধ দান করার বিষয়ে তিনি আরও জানান, ‘আমি সব সময় প্রচুর পানি পান করতাম, আমি পাম্প করার জন্য আমার সময়সূচীর সাথে সামঞ্জস্য রেখেছিলাম, আমি স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েছিলাম এবং আমি আমার মতো পাম্প করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। কারণ আমি জানতাম এই পরিশ্রম কতগুলো শিশুকে সাহায্য করবে।’
অ্যালিস ওগলেট্রির এই অনুদান উত্তর টেক্সাসের মায়েদের মিল্ক ব্যাংকে সংগৃহীত হয়। মাদার্স মিল্ক ব্যাংক অব নর্থ টেক্সাসের নির্বাহী পরিচালক শাইনা স্টার্কস গিসেন ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘অ্যালিস ওগলেট্রি ভঙ্গুর শিশুদের জন্য একটি অবোধ্য পরিমাণ উদ্বৃত্ত স্তনদুগ্ধ দান করার জন্য তার অসাধারণ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে আমাদের আবারও বিস্মিত ও অনুপ্রাণিত করেছে।’
প্রশান্ত মহাসাগরের দূরবর্তী সলোমন দ্বীপপুঞ্জের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রবালের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মহাকাশ থেকে এটিকে একটি বড় আকৃতির জীবের মতো দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বৈজ্ঞানিক ও শিক্ষামূলক সংস্থা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি এই তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরা।
সংস্থাটি জানায়, বিশাল এই প্রবালটির দৈর্ঘ্য ৩২ মিটার (১০৫ ফুট) এবং প্রশস্ত ৩৪ মিটার (১১১ ফুট)। প্রবালটি প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো বলে মনে করা হচ্ছে। এটি প্রধানত বাদামী রঙয়ের। তবে এর আস্তরণ উজ্জ্বল হলুদ, নীল এবং লাল রঙে ছিটানো। এটা অনেকটা দেখতে সমুদ্রপৃষ্ঠে ঢেউয়ের মতো।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সমুদ্র এবং প্রবালজীবন জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হয়েছে। যেমন, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের ক্ষতির প্রধান কারণ হচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি। এর ফলে বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের প্রবালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সামান্য গভীর জলে এই বিশাল আকৃতির প্রবালকে গবেষকরা মরূদ্যানে সাক্ষী হওয়া 'এক আশার আলো' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
গবেষকরা জানান, প্রবালটির রঙ ও আকার থাকা সত্ত্বেও খালি চোখে এটিকে সমুদ্রের পৃষ্ঠের নীচে এক বিশাল শিলার মতো দেখায়। এর আয়তনের কারণে প্রথমে এটিকে দেখে মনে হয়েছিলো কোনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ হতে পারে। কিন্তু যখন একদল গবেষক পানিতে ডুব দিয়ে এটির কাছে গিয়ে দেখে, তখন আবিষ্কার করে এখানে বিস্তার করেছে বিশাল এই প্রবাল।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির গবেষক ও প্রিস্টাইন সিসের প্রতিষ্ঠাতা এনরিক সানা জানান, ‘আমরা এখন মনে করি পৃথিবীতে নতুন করে অনুসন্ধান করার মতো আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। ঠিক তখনই আমরা প্রায় এক বিলিয়ন ছোট পলিপের সমন্বয়ে তৈরি হওয়া এই বিশাল প্রবালটি খুঁজে পেলাম। যা জীবন এবং রঙের সঙ্গে স্পন্দিত হচ্ছে।’
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা গাছ খুঁজে পাওয়ার মতোই, এটি একটি উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার বলেও জানান তিনি। নথি অনুযায়ী এর আগে আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় প্রবাল ছিল আমেরিকান সামোয়াতে অবস্থিত ‘বিগ মোমা’। এই প্রবাল দ্বীপটি আগের সেই রেকর্ড-ব্রেকারের চেয়ে তিনগুণ বড় এবং এর আকার প্রায় দুটি বাস্কেটবল কোর্ট বা পাঁচটি টেনিস কোর্টের সমান।
কিন্তু প্রবালটির টিকে থাকা নিয়ে শঙ্কার কারণ রয়েছে বলেও জানান এই গবেষক। তিনি বলেন, প্রবালটি দূরবর্তী অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও বৈশ্বিক উষ্ণায়নের থেকে ঝুঁকিমুক্ত নয়।
বিশালাকৃতির এই প্রবালটির সন্ধান এমন সময়ে এসেছে, যখন ২০০টি দেশের প্রতিনিধিদল জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন-কপ২৯ এ সমবেত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপের জন্যই প্রতিবছর এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে পানির নিচের জীবনের টিকে থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, পৃথিবীজুড়ে যেভাবে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, তাতে একসময় পানির নিচে থাকা এসব প্রবালগুলো পাওয়া দুষ্কর হয়ে যাবে। গতকাল (বুধবার) প্রকৃতি সংরক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন জানায়, সামুদ্রিক প্রবাল প্রজাতির ৪৪ শতাংশ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। এর মধ্যে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জ। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর কারণে অঞ্চলটি প্রবাল ঝুঁকির প্রথম সারিতে রয়েছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় সলোমন দ্বীপপুঞ্জ জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেরেমিয়া মানেলে। তিনি বলেছেন, "সমুদ্র আমাদের জীবিকা সরবরাহ করে এবং আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে অনেক অবদান রেখেছে। আমাদের বেঁচে থাকা এসব প্রবাল প্রাচীরের উপর নির্ভর করে। তাই এই প্রবাল আবিষ্কার ভবিষ্যত প্রজন্মকে রক্ষা ও টিকিয়ে রাখতে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।"
অস্ট্রেলিয়ায় পেঙ্গুইনের বসবাস নতুন কিছু নয়। কিন্তু দেশটিতে সম্প্রতি একটি পেঙ্গুইন নিয়ে চলছে আলোচনা, যা আবার বিরল এক ঘটনার জন্ম দিয়েছে। প্রথমবারের মতো সম্রাট প্রজাতির এক পেঙ্গুইনের দেখা মিলেছে দক্ষিণ-পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ডেনমার্ক শহরের একটি পর্যটন সমুদ্র সৈকতে। এ পর্যন্ত ঠিকাছে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হচ্ছে এই প্রজাতির পেঙ্গুইনের বসবাস অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে। সেখান থেকে প্রায় ২ হাজার ২০০ মাইল (৩ হাজার ৫৪০ কিলোমিটার) পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে অস্ট্রেলিয়ায়। এমন ঘটনায় অবাক হয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরাও।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
স্কাই নিউজ জানায়, গত ১ নভেম্বর এই প্রজাতির পেঙ্গুইনের দেখা পাওয়া যায়। এটি অপুষ্টিজনিত একটি সম্রাট পেঙ্গুইন। পেঙ্গুইনের প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওজন থাকে সম্রাট প্রজাতির। এদের উচ্চতা এক মিটারের একটু বেশি হয়। আর ওজন হয় ৪০ থেকে ৪৫ কেজি পর্যন্ত। কিন্ত এক মিটার উচ্চতার এই পেঙ্গুইনটির ওজন ছিল ২৩ কেজি।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার গবেষক বেলিন্ডা ক্যানেলের মতে, সম্রাট হল বৃহত্তম পেঙ্গুইন প্রজাতি। এই প্রজাতির পেঙ্গুইন এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায়নি।
তিনি বলেছেন, কেন এতো দীর্ঘ যাত্রা করে এটি এসেছে তার কোনও ধারণা নেই, যদিও এর আগে কিছু সম্রাটকে নিউজিল্যান্ডে দেখা গেছে।
ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার জীববৈচিত্র্য ও সংরক্ষণ বিভাগ জানিয়েছে, সামুদ্রিক পাখি পুনর্বাসনকারী ক্যারল বিডুলফ পেঙ্গুইনটির যত্ন নিচ্ছেন। এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া উষ্ণ হওয়ায় জলবায়ুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ঠাণ্ডা পানির স্প্রে করা হচ্ছে।
মালিনীছড়া চা-বাগান (সিলেট) থেকে: হযরত শাহ জালাল (রহ.), হযরত শাহ পরান (রহ.) এবং ৩৬০ জন পূর্ণাত্মা আউলিয়ার স্মৃতিধন্য পবিত্রভূমি সিলেটের সঙ্গে জড়িয়ে আরও অনেকের নাম: শ্রী চৈতন্য দেব, হাসন রাজা, রাধা রমন, শাহ আব্দুল করিম। পাহাড়, নদী, হাওর-এ পরিপূর্ণ চা উৎপাদনে বিশ্বের অন্যতম এ স্থানটি 'একটি কুড়ি দুটি পাতার দেশ' নামেও সমধিক পরিচিত।
ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা দেশের যে কোনও জায়গা থেকে বৃহত্তর সিলেটে প্রবেশের পর পরই অনুভব করা যায় চা বাগানের সবুজ আলিঙ্গন। অফুরন্ত বাতাসে মিশে থাকে চায়ের সৌরভ। দুটি পাতার একটি কুঁড়ির দেশ সিলেট চায়ের সঙ্গে এভাবেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।
চায়ের সুবাদে সিলেটের সুনাম ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী। বর্ষার মৌসুমের শুরু থেকে শীত মৌসুমের আগ পর্যন্ত সিলেটের চাবাগানগুলোয় চলে চা-পাতা তোলা। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পালা করে চা-পাতা তোলার কাজে ব্যস্ত থাকেন নারী-পুরুষ চা-শ্রমিকেরা। পাতা তোলা শেষে তা লাইন ধরে জমা দেন শ্রমিকেরা। ওজন শেষে চা-পাতা স্তূপ করে রাখা হয় চা তৈরির জন্য। সেগুলো প্রসেস করার পর চলে আসে চট্টগ্রামের টি বোর্ড-এ। তারপর অকশনের মাধ্যমে পৌঁছে যায় ব্যবসায়ীদের হাত হয়ে দেশে-বিদেশের চা-প্রেমীদের পেয়ালায়।
সিলেটের চা বাগানগুলোর প্রতি পর্যটকদের রয়েছে আলাদা আকর্ষণ। ভ্রমণে এসে কয়েক ঘণ্টা চা বাগানে কাটানোর অভিজ্ঞতা অন্যরকম। চা বাগানে প্রকৃতি অনেক বেশি খুলে দেয় নিজেকে। সেখানে সকাল হয় সমতলের চেয়ে আগে। ভোরের প্রথম সূর্যালোক বিস্তীর্ণ বাগানের চায়ের পাতায় পাতায় বিচ্ছুরিত হয়ে এক অলৌকিক সকালের সন্ধান দেয়। অপরাহ্ণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে বাগানে অভূতপূর্ব আলো-ছায়ার বর্ণালীতে। চা বাগানের মায়াবী দোলা সিলেট ভ্রমণের উজ্জ্বলতম অধ্যায়।
তিন বছর মেয়েকে লালন-পালন করার পর নিজের এবং স্ত্রীর চেহারার সঙ্গে মেয়ের সাদৃশ্য না থাকায় বাবার পরিচয় নিয়ে মনে সন্দেহ তৈরি হয়। সেই সন্দেহ দূর করতে তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সেই পরীক্ষায় বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। জানতে পারেন তিনি পালিত মেয়েটির জৈবিক পিতা নন। ঘটনাটি ঘটেছে ভিয়েতনামে।
তার মনে এই সন্দেহ তৈরি হয় যখন মেয়েটির স্কুলে একই তারিখে জন্ম নেওয়া আরেকটি মেয়ের সঙ্গে তার দেখা হয়।
ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা না হলেও স্ত্রী ও মেয়েরটির নাম প্রকাশ করা হয়েছে। গণমাধ্যমটি স্ত্রীর নাম হং ও মেয়েটির নাম ল্যান বলে প্রকাশ করেছে।
চীনা গণমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্যের সন্ধান মিলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ল্যান যখন কিশোর বয়সে ক্রমশ সুন্দর হয়ে বেড়ে ওঠে, তখন সে লক্ষ্য করে মেয়েটি তার কিংবা স্ত্রীর চেহারার সঙ্গে কোন মিল নেই। এই সন্দেহই তাকে ডিএনএ পরীক্ষা করতে প্ররোচিত করে।
এই ঘটনা তাকে বিচলিত করে তোলে। প্রায়ই মাতাল হয়ে বাড়ি আসতো। একরাতে তিনি মাতাল হয়ে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে সব খুলে বলে ডিএনএ পরীক্ষার কথা জানান। কিন্তু তার স্ত্রী এটি করতে অস্বীকৃতি জানালে তাকেও অবিশ্বাস করতে শুরু করেন। পরবর্তীতে সে নিজের সিদ্ধান্তে অটুট থেকে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন মেয়েটি তার জৈবিক কন্যা নয়।
কিন্তু তার স্ত্রী হং এই বিষয়টি মানতে না পেরে বাড়ি ছেড়ে মেয়েকে নিয়ে উত্তরের রাজধানী শহর হ্যানয়ে চলে যান। এর প্রভাবে মেয়েটির স্কুল পরিবর্তন করতে হয়। পরে সেখানে গিয়ে স্কুলের তার এক সহপাঠীর সঙ্গে পরিচয়ের মাধ্যমে জানতে পারে তারা দুজন একই তারিখে একই হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তাদের দুজনের পরিচয় হয় তার বন্ধুর মায়ের আয়োজিত একটি যৌথ জন্মদিনের পার্টিতে। সেই পার্টিতে ল্যানের বন্ধুর মা তাকে দেখে খুব হতবাক হয়েছিলেন, কারণ মেয়েটির সঙ্গে তার ছোটবেলার স্বভাবের একটি আকর্ষণীয় মিল ছিল।
পরে মেয়েটির পরিবারের অনুরোধে হং একটি ডিএনএ পরীক্ষায় সম্মত হন। যাতে উঠে আসে ল্যান তার বন্ধুর মায়ের মেয়ে। জন্মের সময় হাসপাতালের কর্মীদের দ্বারা দুজন আলাদা হয়ে গেছে বলেও জানায় গণমাধ্যমটি।
এখন দুই পরিবার নিয়মিত একসাথে সময় কাটায় এবং সঠিক সময়ে মেয়েদের কাছে সত্য প্রকাশ করার জন্য একমত হয়েছে।
তবে তারা হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না তা প্রকাশ করা হয়নি।
এই খবর প্রকাশ হলে সেখানে একজন মন্তব্য করে লিখেন, “চিকিৎসা কর্মীরা একটি হাস্যকর ভুল করেছে। সৌভাগ্যক্রমে, সত্য অবশেষে বেরিয়ে এলো। অন্যথায়, ওই নারীকে সারাজীবন মিথ্যা আপসোস নিয়ে থাকতে হতো।”