সিরিয়াকে আর কখনই ভাগ হতে দেবে না তুরস্ক: এরদোগান
বিদ্রোহীদের আন্দোলনের মুখে বাশার আল আসাদের পতনের পরপরই দেশটিতে বিমান হামলা বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েল। ইতিমধ্যে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। এ পরস্থিতিতে গত মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান সিরিয়াকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হুঁশয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
তিনি বলেছেন, আমরা সিরিয়াকে আবারও বিভক্ত হতে দিতে পারি না। সিরিয়ার ভূখণ্ড থেকে আইএসআইএল এবং ওয়াইপিজি সহ সমস্ত সন্ত্রাসী সংগঠনকে নির্মূল করব।
তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, সিরিয়াকে আর কখনই ভেঙে ফেলতে দেওয়া হবে না। কেউ যদি সিরীয় ভূখণ্ডের অখণ্ডতা নিয়ে আপস করতে চায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তুরস্ক। সিরিয়ার জনগণের স্বাধীনতা, নতুন প্রশাসনের স্থিতিশীলতা এবং সিরীয় ভূমির অখণ্ডতার ওপর যে কোনও ধরনের আক্রমণ হলে আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো।
ছয় দশকের পুরানো বাথ শাসনের পতনের পর একটি নতুন, সমৃদ্ধ এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যত সিরিয়া এবং এর জনগণের জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানান এরদোগান। একইসঙ্গে এই নতুন যুগ থেকে উপকৃত হওয়ার জন্য সিরিয়ার জনগণের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এছাড়া সিরিয়ার জন্য আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং রাজনৈতিক ঐক্য ধরে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এই ঐক্য বিনষ্টে দেশে সন্ত্রাসী সংগঠনের কোনো স্থান নেই বলেও হুঁশিয়ারি দেন এরদোয়ান।
এক বিবৃতিতে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার জনগণ বহু বছর ধরে যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার আকাঙ্ক্ষা করে আসছে, বর্তমানে তা অর্জনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কিন্তু মর্মান্তিক বিষয় হলো স্পর্শকাতর এই সময়ে ইসরায়েল আবারও তার দখলদার মানসিকতা প্রদর্শন করছে।
এর আগে সিরিয়ার ‘আঞ্চলিক অখণ্ডতার’ প্রতি তুরস্কের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গোলান মালভূমিতে জাতিসংঘের নির্ধারিত বাফার জোন এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রবেশের নিন্দা জানায় তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।