গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৩০
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলা অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮৪ জন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী-শিশুসহ অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও ৮৪ জন।
প্যালেস্টাইন এনজিও নেটওয়ার্কের পরিচালক আমজাদ শাওয়া বলেছেন, শীতকাল ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে গাজায় মানবিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।
গাজা শহরের উত্তরে কামাল আদওয়ান হাসপাতালকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে শতাধিক রোগী মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি ক্যাম্পে হামলায় হামাসের এক সিনিয়র সদস্যকে হত্যা করেছে, যেখানে আরও কমপক্ষে ২০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৬১২ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৫ হাজার ৮৩৪ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।