৭ মাসে হাফেজ হওয়ায় সংবর্ধনা পেল মাদরাসা ছাত্রী

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

৭ মাসে হাফেজ হওয়ায় সংবর্ধনা পেল মাদরাসা ছাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

৭ মাসে হাফেজ হওয়ায় সংবর্ধনা পেল মাদরাসা ছাত্রী, ছবি: সংগৃহীত

মাত্র ৭ মাসে কোরআনে কারিমের হাফেজ হওয়া মাদরাসা ছাত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

সংবর্ধিত কোরআনের হাফেজ আনিশা পঞ্চগড় সদর উপজেলার টুনিরহাট ঘটবর তালিমুল কোরআন বালিকা মাদরাসার শিক্ষার্থী। সে চাকলাহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রামের আলিউর রহমানের মেয়ে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে সংবর্ধনা ও আনুষ্ঠানিক বিদায় দেয় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। সুসজ্জিত প্রাইভেটকারে বসিয়ে মোটরসাইকেল বহরের মাধ্যমে তাকে পৌঁছে দেওয়া হয় বাড়িতে। ফুলেল শুভেচ্ছা জানান স্থানীয় মুসুল্লি ও এলাকাবাসী।

জানা গেছে, গত ৭ মাস আগে মাদরাসার হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় ১৩ বছর বয়সি আনিশা আক্তার। এরই মধ্যে অর্জন করে কোরআন মাজিদের হাফেজ হওয়ার কৃতিত্ব। তার এই কৃতিত্বে সংবর্ধনা দিয়েছে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি তোফায়েল প্রধান, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা-পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি আবু সাইদ, স্থানীয় ছাত্র শিবির নেতা মুন্না ইসলাম প্রমুখ।

মেয়ের কৃতিত্বে আনন্দিত বাবা আলিউর রহমান বলেন, মেয়েকে কোরআনের হাফেজ বানানোর আশা ছিলো। আল্লাহতায়ালা আমার আশা পূরণ করেছেন। আমি চাই, আমার মেয়ে পূর্ণ আলেম হোক, ভালো মানুষ হোক।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক হাফেজ মো. মনিরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, মাদরাসাটি ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। আনিশা আক্তারই মাদরাসার প্রথম হাফেজ। আমাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে সবার দোয়া চাই।

কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান বলেন, মাত্র ৭ মাসে পুরো কোরআন মুখস্ত করা কেবল প্রখর মেধাবী শিক্ষার্থীর পক্ষেই সম্ভব। তবে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের অবদানও অনস্বীকার্য। আমি মনে করি, খুব অল্প সময়ের মধ্যে মাদরাসাটি এই সাফল্য দেখিয়েছে। মাদরাসার সার্বিক বিষয়ে আমার সুদৃষ্টি সবসময় থাকবে।