এনআইডির তথ্য বিক্রি: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এনআইডির তথ্য বিক্রি: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এনআইডির তথ্য বিক্রি: জয়-পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পাশাপাশি সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এ মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে ডিএমপির কাফরুল থানায় এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি সাইবার নিরাপত্তা আইনে এ মামলা করেন।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা।

তিনি জানান, সজীব ওয়াজেদ জয় ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে এবং ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সজীব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘবদ্ধ চক্রের মাধ্যমে জনগণের জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বিক্রি করেছেন।

জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসার অনুমতি দেন অভিযুক্তরা। যে তথ্য দেশ ও দেশের বাইরের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয়। তৃতীয়পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। তথ্য বিক্রির প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও আনা হয় এ মামলায়।

মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে-

ডাটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরিফ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহাবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশন) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় সাবেক সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মু. আশরাফ হোসেন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. রাকিবুল হাসান এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া আরও আসামি করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের (জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের সাবেক সিস্টেম অ্যানালিস্ট অলিউল হাসান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক (বৈধ ও সঠিকতা যাচাইকরণ) মুহা. সরওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) মো. আব্দুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (চলতি দায়িত্বে), (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ সেবা) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মোহাম্মদ মহিদুর রহমান খান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার মো. সিদ্দীকুর রহমান।