উৎসবমুখর আয়োজনে শেষ হয়েছে কুমারীপূজা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

উৎসবমুখর পরিবেশে মহাঅষ্টমীতে কুমারীরূপে দেবী দুর্গার আরাধনা করলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মহাষ্টমীর পাশাপাশি অন্যতম ছিল কুমারীপূজা। ঢাকার রামকৃষ্ণ মিশনে এ পূজা আয়োজন করা হয়। এক কন্যাশিশুকে মাতৃরূপে পূজা করা হয়।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ১১টা ১০ নিনিটে রাজধানী ঢাকার গোপীবাগে রামকৃষ্ণ মিশন মঠে হাজার হাজার পুণ্যার্থী উপস্থিতিতে কুমারীপূজা সম্পূর্ণ হয়।

বিজ্ঞাপন

পূজা মণ্ডপে ঢাকের বাদ্য, কাঁসারঘণ্টা, শঙ্খের আওয়াজ আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হয় পুরো প্রাঙ্গণ। অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস-এই পাঁচ উপকরণে দেওয়া হয় কুমারী মায়ের পূজা। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে এই পূজা। অর্ঘ্য প্রদানের পর দেবীর গলায় পরানো হয়েছে পুষ্পমাল্য। পুষ্পাঞ্জলি এবং প্রসাদ বিতরণ হয়।

পূজার কার্যক্রম শেষে কুমারী মায়ের নাম জানান রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ। তিনি বলেন, এ বছর কুমারী মা হয়েছেন শঙ্গীকাতা ভট্রাচার্জ দূর্ঘা। বয়স ৮। দূর্গা পূজার পঞ্চম তিথিতে তার জন্ম।

পূজার আগে কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন লাল শাড়ি, গয়না, পায়ে আলতা, ফুলের মালা এবং অলংকারে সাজানো হয় দেবীরূপে। পদ্মফুল হাতে দেবী পূজার আসনে বসার পর মন্ত্রপাঠ আর স্তুতিতে তার বন্দনা করা হয়।

হিন্দু ধর্মাবলম্ব্দের মতে বয়স অনুযায়ী কুমারীদের ভিন্ন ভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। ১ বছর বয়সী কন্যাকে সন্ধ্যা, ২ বছর বয়সী কন্যাকে সরস্বতী, ৩ বছর বয়সী কন্যাকে ত্রিধামূর্তি, ৪ বছর বয়সী কন্যাকে কালিকা, ৫ বছর বয়সী কন্যাকে সুভগা, ৬ বছর বয়সী কন্যাকে উমা, ৭ বছর বয়সী কন্যাকে মালিনী, ৮ বছর বয়সী কন্যাকে কুব্জিকা, ৯ বছর বয়সী কন্যাকে কালসন্দর্ভা, ১০ বছর বয়সী কন্যাকে অপরাজিতা, ১১ বছর বয়সী কন্যাকে রুদ্রানী, ১২ বছর বয়সী কন্যাকে ভৈরবী, ১৩ বছর বয়সী কন্যাকে মহালক্ষ্মী, ১৪ বছর বয়সী কন্যাকে পীঠনায়িকা, ১৫ বছর বয়সী কন্যাকে ক্ষেত্রজ্ঞা এবং ১৬ বছর বয়সী কন্যাকে অন্নদা বা অম্বিকা বলা হয়।