পাহাড়ে দুর্গাদেবী সেজেছেন ত্রিপুরাদের পোশাক রিনাই রিসায়

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্গাদেবী সেজেছেন ত্রিপুরাদের পোষাক রিনাই রিসায়/ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্গাদেবী সেজেছেন ত্রিপুরাদের পোষাক রিনাই রিসায়/ছবি: বার্তা২৪.কম

পার্বত্য চট্টগ্রামে ভিন্ন ভাষাভাষীর লোকজনের মতো তাদের উৎসব-সংস্কৃতিগুলো অত্যন্ত বর্ণিল। পাহাড়ে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীদের সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবে ভিন্ন ধারার সংস্কৃতি ফুটে উঠে। খাগড়াছড়ি জেলা সদরের খাগড়াপুর ত্রিপুরা সম্প্রদায় অধূষিত গ্রাম।

ত্রিপুরাদের অধিকাংশ হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী। বাঙালি হিন্দুদের মতো তারাও দুর্গোৎসব পালন করেন।

বিজ্ঞাপন

বিগত কয়েকবারের মতো এবারও খাগড়াপুরের অখণ্ডমন্ডলী পূজা মন্ডপে দেবীদুর্গাসহ অন্যান্য দেব-দেবীদের পোশাক পরিচ্ছেদে ফুটে উঠেছে পাহাড়ের ঐতিহ্য। ত্রিপুরা নারীদের পরিধেয় রিনাই-রিসা এবং গয়না দিয়ে সাজানো হয়েছে। শুধু দেব-দেবী ও দেবতার পোশাকে নয়, মন্ডপের সাজসজ্জায় রয়েছে পাহাড়ের অবয়ব, প্রকৃতির ছোঁয়া। এককথায় পাহাড়ের প্রাণ, প্রকৃতি, ধর্ম বিশ্বাস, জীবন ধারা সবকিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে খাগড়াপুর পূজামন্ডপে। দেবীদুর্গার পেছনে শুভ্র কাঁশবন, পাহাড়-পর্বতের দৃশ্যপট। সবমিলে অনন্য এক চিত্রপট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যা দেখে বিমহিত হচ্ছেন দর্শনার্থী ও পূর্ণার্থীরা।

খাগড়াপুর পূজামন্ডপে আসা দেবশ্রী ভট্টাচার্য বলেন, প্রতিবছর আমি খাগড়াপুরে দুর্গাদেবীকে প্রণাম করতে আসি। আমার খুব ভালো লাগে খাগড়াপুর মন্ডপের উপস্থাপন। নিজস্ব ঐতিহ্যের সাথে দেবীদুর্গাকে সাজানোর এ কাজ এককথায় অসাধারণ।

খাগড়াপুর অখণ্ডমন্ডলী পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চামেলী ত্রিপুরা নিজে সাজসজ্জার কাজ করেছেন। সংস্কৃতিমনা চামেলী ত্রিপুরা বলেন, নিজের এলাকার দুর্গাপূজা, তাই চেয়েছি ভিন্ন কিছু করতে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সবটুকু দিয়ে। ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির মূলধারা বজায় রেখে মায়ের রূপ দিতে চেষ্টা করেছি। প্রতিমার সাথে মিলিয়ে পাহাড়, ঝরনা, কাঁশবনের বাগান তৈরি করেছি। সব মিলিয়ে প্রকৃতির অবয়ব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা।

চামেলী আরও বলেন, আমাদের বিশ্বাস, দেবী দুর্গা ত্রিপুরাদের সাজে আমাদের কাছে আসেন। ত্রিপুরাদের ঐতিহ্যবাহী সাজের পূজা আমরা প্রায় ৭-৮ বছর ধরে উদযাপন করে আসছি।

উল্লেখ, খাগড়াছড়িতে এবার ৬১ টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করা হচ্ছে।