রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার যমুনা সেতু পূর্ব পাথাইলকান্দি বাজারে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে যমুনা সেতু পাথাইলকান্দি বাজার এলাকায় সেতুর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থানীয়রা বিভিন্ন ধরণের দোকানপাট বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। এতে করে বাজার এলাকায় যানজট লেগে থাকতো। তাই যানজট নিরসনে যমুনা সেতু কর্তপক্ষ (বিবিএ) এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
যমুনা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলমান। এরই অংশ হিসেবে যমুনা সেতু বাজার এলাকায় অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ভোলার মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী থেকে ২৫ জেলেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী। জব্দ করা হয়েছে ২০ কেজি ইলিশ ৪টি ট্রলার ও প্রায় ৫ হাজার মিটার জাল।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ও ভেলু মিয়া এলাকার তেঁতুলিয়া নদীতে অভিযান চালিয়ে ১২ জেলেকে আটক করে মৎস্য বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষীবাহিনী।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১১ জনকে ১০ দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সময়ে মেঘনা নদী থেকে আটক করা হয় আরও ১৩ জেলেকে। আলাদা ভ্রাম্যমাণ আদালতে এদের প্রত্যেককে ৩ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, আটককৃতদের কাছ থেকে জব্দ করা জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। আর মাছ এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে লিপি আক্তার নামে এক তরুণীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হোটেল গুলজার নামে আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ওই তরুণীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্বামী পরিচয়ে এক তরুণের সঙ্গে ওই হোটেলে উঠেন তিনি।
পুলিশের ধারণা, ওই তরুণীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাই একই কক্ষে ওই পলাতক তরুণই এখন পুলিশের টার্গেট।
নারীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাৎক্ষণিক বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সে সময় বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, এক নারীর মরদেহ পেয়ে আমাদের খবর পেয়ে ওই হোটেলে গিয়েছি। পুরো ঘটনা জেনে বিস্তারিত জানাবো।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ জানান, গতকাল (শনিবার) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরহাদ নামে এক যুবক লিপি আক্তারকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এই হোটেলে কক্ষ ভাড়া নেয়। ধারণা করা হচ্ছে ওইদিন রাত থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো এক সময়ে ওই তরুণীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করে ফরহাদ পালিয়েছে। মরদেহটি কক্ষের বাথরুমে পাওয়া গেছে। গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল এবং পেছনে মুড়িয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল।
রাঙামাটির সোনালী ব্যাংক ভবন থেকে মো. রফিকুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা গেছে, রফিকুল ইসলাম সোনালী ব্যাংক পিএলসি রাঙামাটি জেলা শহরের নিউ কোর্ট বিল্ডিং শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। তার বাড়ি রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া ইউনিয়নে। চাকরির সুবিধার্থে তিনি ব্যাংক ভবনের চতুর্থ তলার একটি রুমে থাকতেন। তিনি বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে এই শাখায় কর্মরত আছেন।
ব্যাংক কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে জানান, পারিবারিক কারণে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন রফিকুল ইসলাম। ২০৩৩ সাল পর্যন্ত তার কর্মজীবন ছিল। রোববার দুপুরে ব্যাংক থেকে চার তলায় খাবার খেতে উঠার পর তিনি আর নিচে নামেননি। ধারণা করা হচ্ছে, দুপুর ২টা থেকে ৪টার মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোনালী ব্যাংক পিএলসি রাঙামাটি নিউ কোর্ট বিল্ডিং শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শাহাদুল্লাহ বলেন, বিকালের দিকে আমরা তার মরদেহ ঝুলে থাকার খবর পাই। পরে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারকে জানানো হয়েছে।
মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার এসআই রূপক কর্মকার জানিয়েছেন, মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে রাখা হবে। সোমবার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফল কিনতে আসা ক্রেতা রাশেদুল ইসলাম বলেন, বাচ্চাদের পুষ্টির চাহিদা পূরণে ফল কিনতেই হয়। বাজারে আগুন দাম ১ কেজি কিনতে পারি না তাই ২-৩ পিস করে নেয়া। আপেল, কমলা,আঙ্গুর এগুলোতে হাত দেয়াই যায় না, তবে দেশীয় ফলের দামও অনেক বেশি। আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয় করা খুব কঠিন হয়। ফল যেন বিলাসবহুল পণ্য হয়ে গেছে।
ফলের বাড়তি দাম নিয়ে ব্যবসায়ী সুমন বলেন, আগে মালটার কার্টন ছিল ৩০০০ এখন ৪২০০ টাকা। গত সপ্তাহে লাল আঙুর বিক্রি হয়েছে ৩২০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা। চাহিদার অর্ধেক আমদানি হচ্ছে এজন্য দাম বাড়তি। ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় আমাদের বেচাকেনা অনেক কমে গেছে। ক্রেতা কম থাকায় পচনশীল ফল দোকানে মজুদ করতেই ভয় হয়।
ব্যবসায়ী জীবন বলেন, আগে চাহিদা অনুযায়ী বেশি ক্যারেট ফল মজুদ রাখতাম। এখন দাম বেশি, ক্রেতাদের চাহিদা কম, ফল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পাইকারি বাজার থেকে দাম বেশি। কাঁচামাল হওয়ায় পচে গিয়ে ফল নষ্ট হয়ে ক্ষতিও বেশি। এতে করে আমাদের বেচাকেনা কম হচ্ছে আবার লোকসান হচ্ছে।
দেশীয় ফলের আড়তদার বাচ্চু মোল্লা বলেন, আগে দৈনিক ৫০-৬০ ক্যারেট ফল বিক্রি হতো এখন বিক্রি হয় ১০-১৫ ক্যারেট। দুই-তিন মাস আগেও দৈনিক ৮-১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করে বেশ ভালো ব্যবসা হতো। বাহির দেশ থেকে ফল আসে ডিউটির দাম বাড়ার কারণে ফলের দাম বেশি। ব্যাংক থেকেও কোন সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। আমদানি কম থাকায় বাজারে অস্থিরতা। আমাদের সাথে সাথে খুচরা ব্যবসায়ীদেরও হতাশা।
দেশীয় ফলের আরড়দার ইকবাল হোসেন বলেন, এখন বাগানীদের থেকে হাতবদলের কারণে দেশীয় ফলের দাম বেশি। আমরা বাড়তি দামে কিনি এই দামে খুচরা ব্যবসায়ীরা কিনতে চায় না। বাজারে হাতবদল হলেই দাম বাড়ে, জনগণের খাদ্যের উপর বাজার মনিটরিং করলে খুবই ভালো গরীব মানুষের জন্য ভালো।