ফেনীতে বন্যার্তদের সেবা: সম্মাননা পেল ৬০ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মাননা পেল ৬০ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন/ছবি: সংগৃহীত

সম্মাননা পেল ৬০ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন/ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর ভয়াবহ বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আর্তমানবতার সেবায় বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ ৬০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে সম্মাননা দিয়েছে ফেনীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সমূহের সম্মিলিত প্ল্যাটফর্ম জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার।

শনিবার (২ নভেম্বর) জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রক্তদান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।

বিজ্ঞাপন

স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের সদস্য ওসমান গনি রাসেলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান, ফেনীর ট্রাফিক পরিদর্শক শওকত আহমেদ, ফ্রি মোশানের প্রতিষ্ঠাতা ও জনপ্রিয় ইউটিউবার ফিরোজ হাসান, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা কাজী রিয়াজ রহমান।

জেলা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক নিশাত আদনানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ডিবিসি নিউজের ফেনী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, সিনিয়র সাংবাদিক আসাদুজ্জামান দারা, সংগঠক ইমন উল হক, দৈনিক ফেনীর সম্পাদক আরিফুল আমিন রিজভী, যমুনা টিভির স্টাফ রিপোর্টার আরএম আরিফুর রহমান, ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুর উল্লাহ কায়সার, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেনীর সমন্বয়ক মুহাইমিন তাজিম ও বদরুদ্দোজা নোবেল প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে জাতীয় রক্তদান দিবসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, রক্তদান কর্মসূচীসহ নানা আয়োজনে দিনটি উদযাপন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবার। বর্ণাঢ্য র‍্যালিটি শহরের ট্রাংক রোড, প্রেসক্লাব, মডেল থানা রোড ঘুরে শহীদ মিনারে সমবেত হয়। এসময় "বিনামুল্যে রক্তদান কর্মসূচি', 'ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন' ও সচেতন মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় যে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল ওই সময় বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে স্বেচ্ছাসেবকরা আরেকটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেনীবাসীর পাশে থাকার কারণে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক অংশে কমে এসেছিল। প্রাণহানির ঘটনাও তুলনামূলক কম হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের এ অনন্য ভূমিকার কথা ফেনীর মানুষ সব সময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণে রাখবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, স্বেচ্ছাসেবকরা বয়সে তরুণ। এখনও পড়াশোনার মধ্যেই আছে, এরমধ্যেই তারা ভালো কাজের সাথে যুক্ত রেখেছে নিজেকে। স্বেচ্ছাসেবকরা রক্তদানের বেলায় ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষের প্রাণ বাঁচায়। বন্যার সময় ফেনীর স্বেচ্ছাসেবকরাসহ সারাদেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা এসে যেভাবে কাজ করেছে তা প্রশংসনীয়।