একে আজাদের নেত্বত্বে ১২ সদস্যের স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন
বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক একে আজাদ খানকে প্রধান করে ‘স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন’ গঠনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সর্বজনীন করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাবের লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন’ গঠন ও কমিশনের কার্যপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিক অধিদফরের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক লিয়াকত আলী, গাইনোকলজিস্ট অধ্যাপক ডা. সায়েবা আক্তার, শিশু স্নায়ুতন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ডা. নায়লা জামান খান, সাবেক সচিব এম এম রেজা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল) অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক, আইসিডিডিআরবি’র ডা. আজহারুল ইসলাম, স্কয়ার হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, গ্রীন লাইফ সেন্টার ফর রিউম্যাটিক কেয়ার অ্যান্ড রিসার্চের চিফ কনসালটেন্ট অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, আইসিডিডিআর,বি’র শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য বিভাগের ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং বিজ্ঞানী ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী উমায়ের আফিফ।
কমিশনের কার্যপ্রক্রিয়াতে বলা হয়েছে, কমিশন অবিলম্বে কার্যক্রম শুরু করবে এবং সংশ্লিষ্ট সব মতামত বিবেচনা করে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার দ্বারা নির্ধারিত হবে।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে যান। এরপর ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বিষয়ে সংস্কারের দাবি উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় এই কমিশন গঠন করা হলো।