বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধে ভারত-বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থল সীমান্ত পেট্রাপোলে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিজেপি।
তবে সীমান্তে ভারত সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় তাদের এ পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে কোনও বিক্ষোভকারীদের ঘেষতে দেয়া হয়নি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী ছাড়াও রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকেও সীমান্ত জুড়ে নেয়া হয়েছিল বাড়তি সতর্কাবস্থা।
এর আগে দেশে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে মুক্তি না দিলে সোমবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে আমদানি, রফতানি, বাংলাদেশিদের ভিসা ও চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিবে বলে গত বুধবার হুমকি দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরের পর পেট্রাপোল এলাকায় কয়েক’শ বিজেপি সমর্থকরা মঞ্চ বানিয়ে সভা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজেপি নেতা ও রাজ্যটির বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে শূন্য রেখায় বিক্ষোভ করে অপ্রতিকর ঘটনার চেষ্টা করে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, পেট্রাপোল সীমান্তে সকাল থেকে সভা, সমাবেশ চলছে জানতে পেরেছি। তবে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এমন কোনো নির্দেশনা দেয়নি যে পাসপোঁর্টধারী যাতায়াত বন্ধ রাখবে। ফলে যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও দুই দেশের মধ্যে যাত্রী চলাচল এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক রয়েছে।
ভারত ফেরত পাসপোর্টধারী শাহাবুদ্দীন জানান, কিছু বাংলাদেশ বিরোধী মানুষ পশ্চিমবঙ্গের বনগা শহরে মাইকিং করে বাংলাদেশিদের হোটেলে থাকা বন্ধ করতে হোটেল মালিকদের চাপ প্রয়োগ করছে। এতে সাধারণ বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক ছড়ালে অনেকে দেশে ফিরে এসেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাঁধা সৃষ্টি করা হয়নি। ফলে পাসপোর্টধারীরা সেখানে অবস্থানে সহযোগীতা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতি দেশদ্রোহীতার অপরাধে গ্রেফতার করা হয় ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। এরপর থেকে তার মুক্তির দাবির আন্দোলন শুরু করে হিন্দুরা। তার মুক্তির দাবিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বেশকিছু সংগঠন বাংলাদেশিদের ভিসা, চিকিৎসা সেবা ও দুই দেশের মধ্যে আমদানি,রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করতে ভারত সরকারকে চাপ প্রয়োগ করছে। তবে এখনও পর্যন্ত ভারত-বাংলা রাষ্ট্রিয় সম্পর্ক্য অটুট থাকায় স্বাভাবিক রয়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও যাতায়াত ব্যবস্থা।