‘ভারতের সঙ্গে ন্যায্য ও অধিকারের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করতে হবে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের সঙ্গে ন্যায্য ও অধিকারের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করতে হবে, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারতের সঙ্গে ন্যায্য ও অধিকারের ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করতে হবে, ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারতের সঙ্গে ন্যায্য এবং অধিকারের ভিত্তিতে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতারা।

তারা বলেন, আমাদের দেশের ৫৪ টি নদীর পানির উৎস ভারতে। তারপরও আমরা কেন পানি পাই না? কেন তিস্তা সমস্যার সমাধান হয় না? কেন আমাদের পানির জন্য হাহাকার করতে হয়? এসব সমস্যার সমাধান কেন হয় না। ভারতের সঙ্গে ঝুলে থাকা অসংখ্য সমস্যা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ভারতে বাংলাদেশের দূতাবাসে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাকারীদের শাস্তি দাও, উভয় দেশের জনগণের ঐক্য গড়ে তোল, সামপ্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা কর’ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, আগরতলায় যেটা ঘটেছে, এটা কোন কূটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে? একটা দেশে আরেকটা দেশের যে দূতাবাস থাকে সেটিকে রক্ষার ১০০ শতাংশ দায়িত্ব সরকারের। তারা (ভারত) ফেল করেছে। অনতিবিলম্বে আগরতলার ঘটনার অপরাধীদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও এবং সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলা বন্ধ করো।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অনেক সমস্যা ঝুলে আছে। সীমান্ত হত্যা করে ভারত বলত দুর্বৃত্তরা এটা করেছে। আর আমাদের দেশের আগের সরকার তাদের সুরে কথা বলতো। আমাদের সঙ্গে তারা (ভারত) অসম বাণিজ্য করেছে। সুন্দরবনে তারা ফ্রেন্ডশিপ কোম্পানির নামে রামপাল প্রজেক্ট করেছে। ফ্রেন্ডশিপের নামে যে কোম্পানিগুলো করা হচ্ছে, এটা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিরস্থায়ীভাবে শত্রুতা তৈরি হবে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেছেন, আপনি বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর কথা বলেছেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই। বাংলাদেশের জনগণ মমতার এই বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়েছে। এই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানাই।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেছেন, আমাদেরকে ধৈর্যের সঙ্গে সবকিছু মোকাবিলা করতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করতে হবে। সাম্প্রতিক দাঙ্গা এবং সাম্প্রদায়িক হামলার যেকোনো সম্ভাব্য ঘটনাকে প্রতিহত করতে হবে।

বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার বলেছেন, ভারতের পত্রিকা এবং মিড়িয়াগুলোতে ভুয়া, মিথ্যা এবং পরিকল্পিত তথ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করছে। এই কল্পিত কাহিনী টিকবে না।

বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।