সবজিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও বেড়েছে ব্রয়লারের দাম

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ৪ মাসে মূল্যস্ফীতির লাগাম যেনো কোনভাবে নিম্নগামী হচ্ছে না। প্রথম দুই মাস কিছুটা কমার প্রবণতা দেখা গেলেও এখন আবার তা ঊর্ধ্বমুখী। তাও আগের থেকে কিছুটা স্বস্তিতে ফিরেছে সবজির বাজার কিন্তু বেড়েছে ব্রয়লার মুরগীর দাম। 

বিজ্ঞাপন

সবশেষ দেয়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) নভেম্বর মাসের তথ্যে দেখা যায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে প্রায় ১৪ শতাংশে উঠেছে। যার প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায়ও।   

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুর ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেত কাচাঁবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিন মিরপুর ইব্রাহিমপুর ও কচুক্ষেত বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ফুলকপি ৪০-৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, শালগম ৬৫-৭০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শিম ৬০-১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ টাকা, টমেটো ১৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা, কাচা টমেটো ৬০ টাকা, সাইজভেদে লাউ ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী ছিলো মাংসের বাজার। দাম বেড়েছে ব্রয়লার ও সোনালির। গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি প্রায় ১০ টাকা বেড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। এসময় ব্রয়লার মুরগির প্রতি কেজি ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩১০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০-৫৩০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা ও ডিম ডজন প্রতি ১৪৫-১৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।  


এছাড়াও নতুন আলু কেজি প্রতি ১১০ টাকা, পুরাতন আলু ৭৫-৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৯০-১২০ টাকা, আদা ১২০ টাকা ও রসুন ২৪০-২৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।

শীত চলে আসছে, বাজারে শীতকালীন সবজিও আসছে তারপরও দাম বেশি কেন জানতে চাইলে সবজি বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, দাম এখন অনেকটায় কমে আসছে। আগে শিম বিক্রি করতাম ২০০ টাকা কেজি এখন ৬০ টাকায়ও পাওয়া যাচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম কিছুটা বেশি কারণ উৎপাদন খরচও বাড়ছে ক্ষেতের মালিকের। তবে এখন দাম কমই সবজির।

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করা রাজিব বেপারি বলেন, সবজির দাম তো কম এখন। তবে আমাদের স্বস্তি নাই। একটার দাম কমলে আরেকটা বেড়ে যায়। এখন সবজির দাম কমছে কিন্তু আলুর দাম বেশি। আবার শুনতেছি সয়াবিন তেলও নাকি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে আমাদের জন্য তো ঘুরে একই। একটার দাম কম দিচ্ছি আবার অন্য জিনিস বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়। খরচ তো আর কমে না।