একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এখন যারা ক্ষমতায় আছে তারা জোর করে ক্ষমতা গ্রহণ করে নাই। আমরা জনগণ তাদের ক্ষমতা দিয়েছি। তারা দেশটাকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। আগের মত বিনাভোটে না, রাতের ভোটে না, ডামি ভোটে না জনগণের ভোটে একটি সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যারা দায়িত্ব পাবেন, জনগণ ভোট দিবেন তারা জনগণের জন্য কাজ করবেন। দেশ থেকে দুর্নীতি অনাচার উচ্ছেদ করবেন। গরীব মানুষদের সাহায্য করবেন, সহযোগীতা করবেন যেনো নিজের পায়ে দাড়াতে পারে। কারো কাছ থেকে হাত পাততে না হয়। সে জন্য পরিবর্তন দরকার।
আল্লাহর মেহেরবানি, সেই পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা আশা করবো এই পরিবর্তন শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি কিন্তু গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারি নাই। এই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। তার কিছু প্রস্তুতি আছে, তা চলছে। আমরা আশা করবো সেই প্রস্তুতি শেষে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হবে।
বিএনপির এই জৈষ্ঠ নেতা বলেন, এই দেশটাকে তো নিঃস্ব করে দেয়া হয়েছে। আপনারা কদিন আগে দেখেছেন বিগত সরকার বছরে ১৬ হাজার কোটি ডলার বিদেশে পাচার করে দিয়েছে। আমার দেশের গরীব শ্রমিক, মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমি বা মালয়েশিয়ার জঙ্গলে কাজ করে যে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায় সেটা জনগণের কল্যানে না লাগিয়ে সেটা বাহিরে পাচার করে দিয়েছে।
চুরি ও দুর্নীতি করা তো অন্যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা (আওয়ামী লীগ) সেই অন্যায়ের পাশাপাশি এই টাকা বাহিরে পাঠানোর অন্যায়ও করেছে। দেশের মানুষের কোন কাজে আসে নাই। যদি দুর্নীতি, অনাচার কম হতো তাহলে আমার এত ভাই বোন এত কষ্ট করতো না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন গুলো ১৬ বছর লড়াই করেছি। ৭০০ এর বেশি নেতাকর্মী গুম হয়েছে। হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী খুন হয়েছে৷ লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কায়েমি মামলা দিয়ে নির্যাতন করাভয়েছে। আমরা থামি না। সেই লড়াইয়ের মাধ্যমে গত জুলাইয়ের মাসে যে অভ্যুত্থান হয়েছে তার মাধ্যমে বিশাল ক্ষমতার দাবিদার, অত্যাচার নিপিড়ন করতো, জুলুম করতো, রাজনৈতিক নেতা থেকে ফুটপাতের হকারও রেহায় পায় নাই তারা পালিয়ে গেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদের আহ্বায়ক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান বাবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষকদলের সদস্য সচিব মীর হাসান কামাল তাপস প্রমুখ।