পরে দুদেশের সরকার প্রধান যৌথ প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে।
বিজ্ঞাপন
ব্রিফিং-এ প্রধান উপদেষ্টা বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ ইস্যুতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে পূর্ব তিমুর। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা একজন দক্ষ কূটনীতিক। তাঁর এই দক্ষতা রোহিঙ্গা ইস্যুতে কাজে লাগাতে চায় ঢাকা।
অন্যদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রশংসায় ভাসিয়ে জোসে রামোস হোর্তা বলেছেন, পৃথিবীতে সম্ভবত ড. ইউনূসই একমাত্র নেতা, যার এত যোগ্যতা আছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শতাধিক ডিগ্রি রয়েছে, যা বিস্ময়কর। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে আসা বাংলাদেশের জন্য সৌভাগ্যের বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চার দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট। হোর্তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দায় অপ্রয়োজনীয় জায়গায় প্রায় কোটি টাকা খরচ করে পরিকল্পনাহীন তিনটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সেতু তিনটির দুপাশে মাটিভরাটসহ রাস্তা না থাকায় এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসছে না। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সেতুর দুপাশে থাকা বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বর্ষার পানি আসার আগে সেতুগুলোর দুপাশে রাস্তা নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের শেষ সীমানায় থাকা তুগোলদিয়া গ্রাম ও মাঝারদিয়া ইউনিয়নের শেষ সীমানায় থাকা কুমারপট্টি গ্রামের মধ্যদিয়ে বয়ে যাওয়ায় বেদাখালী খালের ওপর ৩০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামের আলমগীর মিয়ার বাড়ির সামনের পাকা সড়কের পশ্চিম পাশে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু/কালভার্ট প্রকল্পের অধীনে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেতু দুটির দুপাশে কোন সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি।
স্থানীয় তুলোগদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিব মাতুব্বর ও বকুল মোল্যা বলেন, বেদাখালী খালের ওপর সেতুটি ৫-৬ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। তবে দুপাশে কোন রাস্তা নেই। এমনকি সেতুর গোড়ে মাটিও ভরাট করা হয়নি। খামখা একটি সেতু নির্মাণ করে রাখা হয়েছে, যা আমাদের কোনো কাজে লাগে না। সময় সেতুর দুইপাশের বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কয়েকটি গ্রামের মানুষের পারাপার হতে হয়। ছোট বাচ্চারা তো ভয়ে এই সেতু পারই হয় না। বর্ষার পানি আসার আগে সেতুটির দুপাশে রাস্তার নির্মাণের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা আজিজল শেখ বলেন, খারদিয়া গ্রামের আলমগীর মিয়ার বাড়ির সামনের সড়কের পাশে সেতুটি নির্মাণের কোনো প্রয়োজন ছিল না। শুধু শুধু সরকারের টাকা অপচয় করে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তারপর আবার সেতুর দুইপাশে কোনো রাস্তা নির্মাণ করা হয়নি। রাস্তা থাকলে মানুষ ওই সেতু পার হয়ে অন্তত মাঠে যেতে পারতো। এভাবে সরকারি টাকা নষ্ট করা ঠিক না।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে খোঁজ-খবর নিয়ে ওই সেতু দুটির দুপাশে রাস্তার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
অপরদিকে চলতি অর্থবছরে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা সদরের নগরকান্দা-মাঝারদিয়া সড়কের ছাগদী এলাকায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সেতুটির কাজ প্রায় শেষের দিকে। সড়কের পাশে থাকা খাদের ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর একপাশে পাকা সড়ক সংযুক্ত থাকলেও অপর পাশে কোনো রাস্তা নেই। আছে ফসলি জমি। এমনকি কোনো গ্রামও নেই। তাহলে কাদের চলাচলের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হচ্ছে, তা কারো জানা নেই। স্থানীয়রা বলেন, সেতুটির দুপাশে কোনো বসতি নেই। অতএব সেতুটি কারো কোনো কাজে আসবে না।
নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, সেতুটির দক্ষিণপাশে একটি কবরস্থান রয়েছে। সেখানে যাওয়ার জন্য সরকারি হালটও আছে। সেতুর নির্মাণ কাজ শেষে ওই হালটের ওপর রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
এনজিও স্বচ্ছতা দেখার আগে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো বাংলাদেশের অডিটোরিয়ামে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) আয়োজিত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পালনে ‘আওয়ার রাইটস, আওয়ার ফিউচার, রাইট নাও’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রান্তিক জনগণের মানবাধিকার রক্ষায়, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করে যাচ্ছ।
তিনি বলেন, মানবাধিকার বিষয়গুলো জনগণের অধিকার। সকল প্রকার জনগণের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এনজিও স্বচ্ছতা দেখার আগে সরকারকে স্বচ্ছ হতে হবে। ক্ষুদ্র স্বার্থ ব্যতিরেকে জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে একত্র কাজ করতে হবে। জনগণকে সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, আদিবাসী, ট্রান্সজেন্ডার, দলিত, উপকূলীয় অঞ্চলের প্রতিনিধি এবং তরুন সমাজ অংশগ্রহন কারীরা মানবাধিকার সনদ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সুপারিশ্মালা প্রস্তাব করে। যা পরবর্তীতে এমজেএফ সংকলিতভাবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে উপস্থাপন করবে।
ছিনতাই রুখতে রাজধানীতে শেষ রাতে টহল বাড়াতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ছিনতাই বেড়েছে সে কথা ঠিক, তবে ভোরবেলা ছিনতাই বেশি হচ্ছে। এজন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে ছিনতাই দমন করা যায়।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ১৬ ডিসেম্বর, ২৫ ডিসেম্বর এবং ৩১ ডিসেম্বরের নিরাপত্তা নিয়ে আজ আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি তবলীগ জামায়াতের ইজতেমা নিয়ে আলোচনা করেছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ট্রাফিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন যে অবস্থা আছে এখান থেকে আরও উন্নতি করতে হবে।
ইজতেমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী ১৮ ডিসেম্বর দুই পক্ষের সঙ্গে আবার বৈঠক হবে। এর আগেরবার যেভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবার সেভাবেই হবে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা দেশে বসে উসকানিমূলক বক্তব্যের পাশাপাশি ষড়যন্ত্র করছেন তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, গ্রেফতার অভিযান আরো কীভাবে জোরদার করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর ফল খুব দ্রুতই আপনারা দেখতে পাবেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলার কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ মাহমুদ বলেন, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি সামনে যে ইভেন্টগুলো আছে সেগুলো কীভাবে সুষ্ঠুভাবে করা যায় সেটা আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটিতে আলোচনা হয়েছে।
গ্রেফতার অভিযান কাদের লক্ষ্য করে পরিচালনা করা হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের যারা বাইরে আছেন এবং নানাভাবে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন, বিভিন্ন জায়গায় ফান্ডিং করছেন এবং মিছিল করার চেষ্টা করছেন তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।