ছাত্র-জনতা যে পরিবর্তন এনেছেন, তা টেকসই এবং স্থায়ী হতে হবে: নূর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

যেই জনাকাঙ্ক্ষা ধারণ করে ছাত্র জনতা লড়াই করে, সংগ্রাম করে এই পরিবর্তনটা এনেছেন সেই পরিবর্তনটা টেকসই এবং স্থায়ী হতে হবে বলে জানিয়েছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর।

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭ টায় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় গণ অধিকার পরিষদ।

বিজ্ঞাপন

শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নূর বলেন, আজকের এই দিনে আমরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যারা দলমত নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করে আজকে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক জাতীয় প্রোগ্রাম করেছেন। এখানে ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদ সবাই উপস্থিত ছিলেন। গত দেড় দশকে একটি ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল, সেখানে বিরোধী দল করার কারণে আমাদের ফুল দিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, নাজেহাল হতে হয়েছে। আজকে অনাড়ম্বর পরিবেশে বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারছে, বিশেষ করে এইবার যেহেতু একটা পরিবর্তিত প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে, সেখানে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে যেই জনাকাঙ্ক্ষা ধারণ করে ছাত্র জনতা লড়াই করে, সংগ্রাম করে এই পরিবর্তনটা এনেছেন সেই পরিবর্তনটা টেকসই এবং স্থায়ী হতে হবে।


এই মুহূর্তে আমরা মনে করি যে গত ৫৩ বছরে মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে একটা বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণ করা সেটা কিন্তু অতটুকু গত ১৫ বছরে আমরা সেভাবে পাইনি। যার ফলে গোটা দেশের মানুষের মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা নতুন করে বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধারণ করতে হবে, বাস্তব রূপ দিতে হবে। বিশেষ করে ছাত্র-জনতা, তরুণরা যেভাবে এই ফ্যাসিস্ট শক্তিকে রুখে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারকে বাস্তবায়ন করার জন্য আগামীতে তারা কাজ করবে আমরা সেই প্রত্যাশা করি।

বিজ্ঞাপন


তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে নির্বাচন এবং সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন দলের মতামত আছে। কিন্তু আমার মনে হয় যে আমরা যদি আজকের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করি, এদেশের কৃষক শ্রমিক সাধারণ মানুষ কেন জীবন দিয়েছে? তারা একটা বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক একটা ইনক্লুসিভ সমাজ চেয়েছিল। রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু বিভিন্ন সময়ে এটি আসলে বাস্তবায়ন করেননি নানা কারণে। আজকে যেহেতু একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে সকলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে রাজনৈতিক দলগুলো এই সরকারকে সহযোগিতা করবে। আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য যে যে সংস্কার গুলো প্রয়োজন সেগুলো সরকারকে সহযোগিতা করবেন এবং সরকার সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।