মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার সময় ধলা রেলওয়ে স্টেশনের এক কিলোমিটার দূরবর্তী স্থানে রেললাইনের জোড়ায় বেঁকে ভেঙে যায়।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় গফরগাঁও স্টেশনে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ও ধলা স্টেশনে মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকা পড়ে। খবর পেয়ে গফরগাঁও থেকে উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) এর কার্যালয় থেকে রেলওয়ে কর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ভাঙা লাইনটি মেরামত করেন। পরে সাড়ে ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গফরগাঁও স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল হারুন বলেন, লাইন ভাঙা থাকায় গফরগাঁও স্টেশনে মহুয়া কমিউটার ও ধলা স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস আটকা পরে। এতে প্রায় ১ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
ঢাকাগামী বুড়িমারী ও লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন দুইটি সরাসরি বুড়িমারী থেকে চালুর দাবিতে রেলপথ ও সড়ক পথ অবরোধ করেছে হাতীবান্ধা উপজেলার সচেতন জনগন। এতে ৩টি ট্রেনসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে হাতীবান্ধা রেলস্টেশনে রেলপথ ও বন্দরে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন সচেতন জনগন।
জানা গেছে, লালমনিহাটে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বুড়িমারী-ঢাকা রেলরুটে চলতি বছরে ১২ মার্চ বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে আন্তঃনগর ট্রেন ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’। উদ্বোধনী দিনের পর থেকে বুড়িমারী আসেনি বহুল কাংখিত এ ট্রেন। উদ্বোধনের ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে ঢাকা রুটের ট্রেনটি চলাচল করেনি। উদ্বোধনের পর থেকেই লালমনিরহাট রেলস্টেশন থেকে ঢাকার রুটে চলাচল করে। পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী রেল স্টেশন থেকে ঢাকা রুটের ট্রেনটি চলাচলের জন্য অত্র এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি। সেই দাবি পুরনে আন্তঃনগর ট্রেন বুড়িমারী এক্সপ্রেস নাম পেলেও বুড়িমারী ষ্টেশন থেকে যাতায়ত করছে না।
এছাড়াও বিগত বিএনপি জামায়াতের ক্ষমতায় লালমনিরহাট জেলা শহর থেকে ঢাকাগামি আন্তঃনগর লালমনি এক্সপ্রেস চালু হয়। সেটিও জেলা শহর থেকে যাত্রা করছে। ফলে ট্রেন দু'টি লালমনিরহাট জেলাবাসীর জন্য হলেও সদর উপজেলা ব্যাতিত বাকী ৪ উপজেলা এবং বুড়িমারী স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী ও ইমিগ্রেশনের যাত্রীরা সুবিধা বঞ্চিত রয়েছে। এসব যাত্রীকে এ দুই ট্রেনে যাতায়ত করতে প্রায় একশত কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।
দাবি পূরণের জন্য অবস্থান, স্মারকলিপি ও মানববন্ধনসহ নানান কর্মসুচি পালন করেছে স্থানীয় জনগন। প্রশাসন ও রেলভবন শুধুই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। কার্যত কোন সুফল পায়নি চার উপজেলার মানুষ। তাই তাদের দাবি আদায়ে মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট বুড়িমারী রেলরুটের হাতীবান্ধা ষ্টেশনে রেলপথ অবরোধ করেন। এতে বুড়িমারী থেকে ছেড়ে আসা কমিউটার ট্রেনটি হাতীবান্ধা রেলষ্টেশনে, বুড়িমারী গামি আন্তঃনগর করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি কালীগঞ্জের কাকিনা ষ্টেশনে ও একই পথে আদিতমারী ষ্টেশনে অপর একটি কমিউটার ট্রেন আটকা পড়ে।
একই দাবিতে বিকেলে হাতীবান্ধা উপজেলার বন্দর এলাকায় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ফলে উভয় পাশে প্রায় দেড় কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসড়কে শুয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। ফলশ্রুতি ঢাকার সাথে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলা।
হাতীবান্ধা সচেতন জনগনের এর পক্ষে ফিরজ হোসেন বলেন, বুড়িমারী নামে নামকরণ হলেও বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যায় না। বুড়িমারী ও হাতীবান্ধা মানুষের দাবি খুব দ্রুত ট্রেন দুইটি বুড়িমারী রেলস্টেশন থেকে সরাসরি ঢাকা রুটের চলাচলের ব্যবস্থা করা।
হাতীবান্ধা পাটগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য প্রায়ত জয়নাল আবেদিন সরকারের ছেলে শাহিদুজ্জামান কোয়েল, কমরেড শওকত হোসেন, সচেতন জনগণের পক্ষে ফিরজ হোসেন, নিশাত ফারুক, সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সাজু,সচেতন মহলের পক্ষে শামসুল আলম খান বুলেট, বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তাওহী, মহসিনসহ অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার আব্দুস সালাম বলেন, রেল ও সড়ক পথ অবরোধকারীদের সাথে আমরাও একমত। তবে রেক সল্পতা ও ট্রেনের যাত্রা শুরু শেষ ষ্টেশনে কিছু অনুষঙ্গতা প্রয়োজন। যা বাজেট সল্পতার কারনে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাদের দাবির বিষয়টি ঊর্দ্ধতন মহলকে অবগত করা হচ্ছে। তবে অবরোধকারীরা আর কিছু দিন সময় দিলে তাদের দাবি পুরন করা সম্ভব হবে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসম্বের) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে তিনি একথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ, তফসিল সব বিষয়ে নির্বাচন কমিশন জানাবে।তবে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে ধরে নেওয়া যায় ২০২৬ সালের ৩০ জুন বা কাছাকাছি সময়ে নির্বাচন হবে।
অপর এক প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কতটা সংস্কার হবে তা জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে কমিশন সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে। ঐক্যমত্যে কমিশন ছোট দল, বড় দল নয়, সমাজের প্রতিটি অংশীজনের মতামতকে গুরুত্ব দেবে।
শিশির ভেজা ভোরে লতানো গাছের দিকে তাকালে চোখ জুড়ে যাবে গোলাপি রঙের ফুল ও সবুজ সতেজ শিমে। মাঠের পর মাঠে মাচাংয়ে শোভা পাচ্ছে ফুল ও শিম। শীতের শুরু হতে না হতেই ক্ষেত থেকে শিম তুলে বাজারে বিক্রি করছেন চাষিরা। প্রচলিত শিম থেকে ব্যতিক্রম হওয়া বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে সিলেটের গোয়ালগাদ্দা শিমের। ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি লম্বা ও ২ থেকে ৩ ইঞ্চি প্রস্থের গোয়ালগাদ্দা শিম খেতে সুস্বাদু। দেশের গন্ডি পেরিয়ে রফতানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। কৃষকরা আঞ্চলিক বাজারে নিয়ে এলে পাইকাররা সেখান থেকে ক্রয় করে বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন।
কৃষকরা বলছেন-সঠিক সময়ে সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলে আরও বেশি শিম উৎপাদন সম্ভব। পাইকারি বাজারে শিমের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না। কৃষি অধিদফতরের বিপণন বিভাগ থেকে মূল্য নির্ধারণ করলে বাজারে ন্যায্যমূল্যে শিম বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে দাবি চাষিদের।
জানা যায়, ভাদ্র মাসের শেষের দিকে গোয়ালগাদ্দা শিমের বীজ রোপণ করা। পরে সার সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগের মাধ্যমে পরিচর্যা করে চারা গাছ একটু বড় হলে মাচাং তৈরি করে তিন মাসের মধ্যেই বিক্রি করার মতো হয়ে যায় শিম। অল্প সময়ে স্বল্প পুঁজি লাভজনক হওয়াতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বিশেষ এ জাতের শিমের চাষ হয়ে থাকে। তবে বেশি চাষ হয় গোলাপগঞ্জ উপজেলা।
শুধু এ বছর গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৭৪২ হেক্টর জমিতে শিম চাষ হয়েছে। স্থানীয় পুরকায়স্থ বাজার, চৌধুরী বাজার ও রাখালগঞ্জ বাজারে কৃষকেরা পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে শিম বিক্রি করেন। সেখান থেকে পাইকাররা সরাসরি শিম সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে শিম প্রক্রিয়াজাত করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করে থাকেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সিলেট তথ্যমতে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সিলেট জেলায় ৪ হাজার ৩৯০ হেক্টর জমিতে গোয়ালগাদ্দা শিম চাষ হয়। উৎপাদন হয় ৫০ হাজার ৪৮৫ মেট্রিক টন। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ৪ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে ৪৮ হাজার ৮৩৬ মেট্রিক টন শিম উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার মিরদারচক গ্রামের শিম চাষি বিকাশ মালাকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, তিন-চার মাস কষ্ট করে শিম চাষ করে বাজারে নিয়ে গিয়ে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায় না। কারণ বাজারে পাইকাররা সিন্ডিকেট তৈরি করে। আমাদের কাছ থেকে ৪০-৫০ টাকা কেজি ধরে কিনে নিয়ে গেলে ৭০-৮০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করেন। দিন-রাত অনেক কষ্ট করতে হয়।
লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের মুল্লা টিকর গ্রামের জয়নুল হক। কয়েক বছর আগে দেশে ফিরেছেন তিনি। এ বছর ৩৩ শতক জায়গায় গোয়ালগাদ্দা শিম চাষ করেছেন।
তিনি বলেন, ২০-২৫ ধরে আমরা শিম চাষ করে আসছি। গোয়ালগাদ্দা শিম ১০-১৫ বছর ধরে চাষ করে আসছি। চলতি বছর বৃষ্টির কারণে ফলন কম উৎপাদন হয়েছে। লাভ কিছু হবে। একেবারে লস হবে না।
একই এলাকার আব্দুছ ছামাদ। ৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। সেখান থেকে ২০ বছর আগে দেশে ফিরে আসেন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন ধরনের শিম চাষ করে থাকেন।
আব্দুছ ছামাদ বলেন, যে পরিমাণ খরচাপাতি করেছি সে তুলনায় বাজার মূল্য অনেক কম। আমাদের এখানকার শিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। সরকার থেকে সমান্য সার ও বীজ পেয়েছি। তাও সেটা অনেক দেরিতে দেয়া হয়। সরকার থেকে শিমের একটি নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করে দিলে ভালো হয়। যদি পাইকারি ও খুচরা বাজারে শিমের দাম নির্ধারণ করা হয় তাহলে আমরা শিম চাষিরা লাভবান হবো।
রাখালগঞ্জ বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী রাসেল আহমদ বলেন, বাজারে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। আমরা এই বাজার থেকে শিম সংগ্রহ করে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেই। আগে থেকে অনেক সুযোগ-সুবিধা ভালো হয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে রফতানি হওয়ায় গোয়ালগাদ্দা শিমের চাহিদা বাজারে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, যদি সিলেট থেকে শিমগুলো বাইরের দেশে রফতানি করা যেতো তাহলে কৃষকের পাশাপাশি আমরাও লাভবান হতাম। কিন্তু আমাদের এখানে প্যাকিং হাউস না থাকায় রফতানি করা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বেশি ঢাকায় ঢাকা থেকে অন্যান্য দেশে রফতানি করতে হয়। গোয়ালগাদ্দা শিম মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের বিভিন্ন রফতানি হয়ে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, সিলেটের উপপরিচালক খায়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, সিলেট অঞ্চলের কৃষকরা আগে গোয়ালগাদ্দা চাষ করতেন না। আমরা সবসময় কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ ও উদ্যোগের ফলে এ শিম নিয়ে তাদের উৎসাহ অনেকে বেড়েছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও বৃষ্টির কারণে এ বছর আবাদ কম হয়েছে। গোয়ালগাদ্দা শিম বেশ সম্ভাবনাময় এটি ইউরোপসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে। সিলেট থেকে সরাসরি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিম রফতানি করতে সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তাছাড়া কৃষকদের মধ্যে সঠিক সময়ে সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে।
রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে ছিনতাইকারী চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডিবি ওয়ারী-বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ কামরুজ্জামান ওরফে কামরুল ওরফে কাব্বু (২৪)। এসময় তার হেফাজত থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি ধারালো চাকু, একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। মঙ্গলবার ভোরে কদমতলীর পূর্ব ধোলাইপাড়ের দনিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কদমতলীর পূর্ব ধোলাইপাড়ের দনিয়া রোড়ের পালস্ বিশেষায়িত হাসপাতালের সামনে তিনজন দুষ্কৃতকারী অস্ত্রসহ ছিনতাই করার অবস্থান করার তথ্য পায় ডিবি-ওয়ারী। তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর সময় মো. কামরুজ্জামান ওরফে কাব্বুকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়া, তার সাথে থাকা দুইজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত ও পলাতকদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত কাব্বু জানায়, তারা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন থেকে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সুইস গিয়ার (চাকু) ও চাপাতি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাধারন মানুষের কাছ ছিনতাই করে আসছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।