গ্রাহক সেজে ব্যাংকে ঢুকে ডাকাতরা, পিস্তল ঠেকায় ম্যানেজারকে
গ্রাহক সেজে রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখায় প্রবেশ করে তিন ডাকাত। পরে খেলনা পিস্তল দিয়ে ম্যানেজারকে জিম্মি করে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাত ৭টা ২০ মিনিটের দিকে ব্যাংক পরিদর্শন শেষে রূপালী ব্যাংকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের জিএম মো. ইসমাইল হোসেন শেখ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা-পয়সা খোয়া যায়নি, জনগণের কোনো আমানতও খোয়া যায়নি। আগামী রোববার থেকে ব্যাংকের এই শাখায় আবার আগের মতো লেনদেন করবেন।
রূপালী ব্যাংকের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতির ঘটনার সময় ব্যাংকে মোট ছয়জন গ্রাহক ছিলেন। তারা নিরাপদে আছেন। আর ব্যাংকের ছিলেন সাতজন অফিসার, একজন পিওন ও দুজন ফায়ার গার্ড। ব্যাংকের ভেতরে থাকা সবাই সুস্থ আছেন। ব্যাংকের সব টাকা গুণে দেখা হয়েছে এক টাকাও খোয়া যায়নি।
তিনি বলেন, অস্ত্র দিয়ে ম্যানেজারকে জিম্মি করে টাকা লুট করতে এসেছিল তিন ডাকাত। গ্রাহক সেজে তারা ব্যাংকে প্রবেশ করেছিলো।
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় আটককৃতরা হলেন- শারাফাত, শিফাত ও নিরব। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া চারটি পিস্তল আসল নয়, খেলনা বলে নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাব আল হাসান। তিনি জানান, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪টি খেলনা পিস্তল, ২টি চাকু ও একটি ড্রিল মেশিন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।
জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।