রাজধানীর আদাবরে ছিনতাইকারী চক্রের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুসজ্জায় এক যুবক। একই এলাকায় মোবাইল ছিনিয়ে নিতে কোপ দিয়ে হাতের আঙুল ফেলে দিয়েছে ছিনতাই চক্রের সদস্যরা।
শনিবার (৪ জানুয়ারী) রাত ১০টায় আদাবরের শ্যামলী হাউজিং ২য় প্রকল্প এলাকার ১ নম্বর রোডে এ ঘটনা ঘটে।
ছিনতাইকারীদের হামলায় আহতরা হলেন মামুন হোসেন (৩৩) ও মাসুদ (২০)।
জানা যায়, শনিবার রাত দশটায় ১২ বছর বয়সী শিশু সন্তানের জন্য পিঠা আনতে যায় আহত মামুন। এ সময় দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ১০-১২ জনের একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা এসে প্রথমে হাতে থাকা মোবাইল ফোন টান দেয়। মোবাইল ফোন দিতে না চাওয়ায় ৮-১০ জন মিলে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথার বাটি,হাত, কাঁধ, কোমর ও পায়ের হাঁটুতে বিশ থেকে পঁচিশ টা কোপ দেয়। এলোপাতাড়ি কুপিয় ছিনতাইকারী চক্রটি ভুক্তভোগীর মোবাইল ফোন নিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে চলে যায়।
একই সময় মাসুদ নামে আরেক ভূক্তভোগীকে কুপিয়ে হাতের আঙ্গুল ফেলে দিয়ে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। এসব ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা সবাই কবজি কাটা গ্রুপ আনোয়ার এর হয়ে পুরো এলাকায় ছিনতাই করে। তাদের ভয়ে ভুক্তভোগীরা কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। কেউ মুখ খুললেই তার ওপর নেমে আসে ভয়াবহ হামলা। এ ঘটনাগুলোকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার একেবারে নিষ্ক্রিয় থাকায় জীবন শঙ্কায় অনেক ভুক্তভোগী মামলা করতে চান না।
ছিনতাইকারীর হামলায় মৃত্যুসজ্জায় পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামুন হোসেনের স্ত্রী তানিয়া আক্তার জানান, আমার স্বামী গতকাল ডিউটি শেষে বাসায় এসে ঘুমায়৷ রাত দশটায় ঘুম থেকে ওঠে আমাদের মেয়ের জন্য পিঠা আনতে বাহিরে যায়। এ সময় হাতে করে স্মার্টফোন নিয়ে যায়। এ স্মার্ট ফোনটি নেওয়ার জন্য ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আমার স্বামীকে কুপিয়ে এখন মৃত্যুসজ্জায় পাঠিয়ে দিয়েছে। ছিনতাইকারীদের কোপে আমার স্বামীর মাথার বাটি ভেঙ্গে গেছে। ডাক্তার বলেছে আরেকটু হলে মাথার মগজে আঘাত লেগে মারা যেতো। এছাড়াও, তার হাতের কবজি,কাঁধে,পিঠে এবং পায়ের হাঁটুর বাটি কুপিয়ে কেটে ফেলেছে।
এ বিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া বলেন , গতকাল ঘটনার পরপর আমাদের টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এছাড়াও, আমাদের টিম হাসপাতালে গিয়ে ভূক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি। আমরা কিশোর গ্যাং ছিনতাইকারর চক্রটি ধরতে যৌথ অভিযান চালানোর কথা ভাবছি।