ফরিদপুরে ব্যবসায়ীদের সাথে শর্তভঙ্গ পৌর প্রশাসকের, দোকান বরাদ্দে অনিয়ম

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দোকান বরাদ্দে অনিয়ম/ছবি: সংগৃহীত

দোকান বরাদ্দে অনিয়ম/ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুর পৌরসভার প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলামের বিরুদ্ধে চুক্তি শর্ত ভঙ্গ করে নবনির্মিত পৌর মার্কেটের দোকান বরাদ্দের অভিযোগ করেছেন পুরাতন ব্যবসায়ীরা।

তাঁদের অভিযোগ, সাবেক মেয়র অমিতাভ বোসের স্বার্থ বাস্তবায়নে দোকান বরাদ্দে হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই প্রশাসক। এছাড়া পুরো ঘটনার সাথে পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী শামসুল আলম ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) তানজিলুর রহমান জড়িত রয়েছেন বলে ব্যবসায়ীরা জানান।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের কনফারেন্স কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অভিযোগ করেন পৌর সুপার মার্কেট দোকান মালিক সমিতি এবং পুরাতন ঔষধ ব্যবসায়ীরা। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ওই মার্কেটের দোকান সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সৈয়দ আলাওল হোসেন তনু।

তাঁরা জানান, ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর তৎকালীন মেয়র মাহতাব আলী মেথু এক সভায় তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ (সেক্টর)
প্রকল্পের অর্থায়নে মার্কেটটি পুনঃনির্মাণ ও আধুনিকরন করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করেন। ওই প্রস্তাবে পুরাতন ব্যবসায়ীরা তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি চুক্তিনামায় ৬টি শর্ত তুলে ধরে মিমাংসা হয়। কিন্তু বর্তমান প্রশাসক এসব শর্ত অস্বীকার করেছেন বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

লিখিত বক্তব্যে তনু তুলে ধরেন, চুক্তিপত্রের ২নং শর্ত অনুযায়ী নতুন সুপার মার্কেটে পুরাতন দোকানদার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্ব-স্ব স্থানে বরাদ্দ পাবেন। ৩নং শর্তে, পুরাতন দোকান মালিকগণ নতুন ধার্যকৃত সেলামীর ২৫% প্রদান করবেন। তনু অভিযোগ করে বলেন, কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয়, পৌর প্রশাসক আমাদের সাথে কোনো আলোচনা না করে পুরাতন দোকান মালিকদের ৭৫% সেলামীর টাকা প্রদান করতে গত ২৭ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তাতে তিনি দ্বিতীয় তলার দোকান বরাদ্দে পুর্বের বিজ্ঞপ্তি থেকে ২ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি করেন। এর আগে পৌরসভা কর্তৃক বিজ্ঞপ্তি ১২ লক্ষ টাকা উল্লেখ করা হলেও বর্তমান প্রশাসক তা ২ লক্ষ বাড়িয়ে ১৪ লক্ষ উল্লেখ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা সঠিক নিয়মে দোকান বরাদ্দের দাবি জানান। আগামী ৭দিনের মধ্যে তাঁদের দাবি না মানলে জেলার সকল ঔষধের দোকান ধর্মঘটের হুশিয়ারী দেন জেলা ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সভাপতি সৈয়দ নাজমুল হোসেন লোচন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর সুপার দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক কামরুল হাসান চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. মতিয়ার রহমান, জেলা ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট সমিতির সহ-সভাপতি আশরাফুজ্জামান দুলাল সহ ব্যবসায়ীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর প্রশাসক চৌধুরী রওশন ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী এবং নীতিমালার টু দ্যা পয়েন্ট দেখে দেখে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এর ব্যত্যয় ঘটেনি। পুরাতন ব্যবসায়ীদেরও দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া নকশা পরিবর্তন আমি আসার পুর্বেই হয়েছে, এটা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। ব্যবসায়ীরা যদি পৌরসভার কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আমাকে লিখিত অভিযোগ দেন তাহলে তদন্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’