মৎস্য উপদেষ্টার সঙ্গে ইউকেবিসিসিআই'র প্রতিনিধি দলের বৈঠক
জাতীয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এর সঙ্গে ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই)-এর প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং দু'দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়।
বিজ্ঞাপন
এসময় যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ব্যবসায়ীদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
ইউকেবিসিসিআই -এর প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সি ফুড প্রডাক্টস, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি প্রসারে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিজ্ঞাপন
বৈঠকে ইউকেবিসিসিআই এর চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ, প্রেসিডেন্ট এম জি মওলা মিয়া, প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডেন্ট বজলুর রশিদ, বাংলাদেশ রিজিওনাল প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠি সদর উপজেলায় এক মোবাইল দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৬ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের রামপুর জোড়াপোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দোকানদারের নাম সুদেব হালদার (২৮)। তিনি বেতরা গ্রামের সুব্রত হালদারের ছেলে। স্থানীয় বাউকাঠি বাজারে তিনি একটি মোবাইলের দোকান চালাতেন।
স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাউকাঠি বাজারে সুদেবের একটি মোবাইলের দোকান আছে। গতকাল রাত ১২টার দিকে তিনি দোকান বন্ধ করে বাড়ির পথে রওনা হলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। সকালে স্থানীয় লোকজন মরদেহ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বলেন, মাথায় কোপের আঘাত দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। সুরতহাল করার পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর পুরানা পল্টনে মানিকগঞ্জ ভবনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনের মানিকগঞ্জ হাউজের ৪ তলা ভবনের ২ তলায় একটি ল'চেম্বারে সকাল ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুম কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে তিনি জানান, সকাল ৯টা ১৭ মিনিটের দিকে মানিকগঞ্জ হাউযে দ্বিতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাতের খবর আসে। ওই খবরে ঘটনাস্থলে একে একে মোট ৫টি ইউনিট পাঠানো হয়। ভবনটির দোতলায় একটি ল’ চেম্বার রয়েছে। সেখানে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ভিসা অফিস খোলা ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ বিষয় হওয়ায় কোনো দেশের স্বার্থ বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থবহ না হলে নতুন বা বিকল্প ভিসা অফিস খুলতে আগ্রহী নয় ইউরোপের দেশগুলো। বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসা কড়াকড়ি করার পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দিল্লি থেকে ভিসায় অফিস ঢাকায় স্থানান্তরে দেশগুলির দূতদের যে অনুরোধ করেছিল তা অগ্রগতির মুখ দেখছে না মূলতঃ এসব কারণেই। এতে বিপাকে পড়েছেন ইউরোপের কয়েকটি দেশে চাকরিপ্রার্থী ও শিক্ষার্থীরা।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কূটনৈতিক মিশন নেই- এমন সব দেশের ক্ষেত্রেই এই ঝামেলা হচ্ছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দিল্লির বিকল্প হিসেবে তৃতীয় কোনো দেশ থেকে ভিসাপ্রাপ্তি বা দিল্লি থেকে ঢাকায় ভিসা সেন্টার স্থানান্তরের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এ বিষয়ে ইউরোপের সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কাছ থেকে তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
ঢাকা ও দিল্লিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতেরা সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় উপস্থিত রাষ্ট্রদূতদের কাছে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সেন্টার দিল্লি থেকে সরিয়ে ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী অন্য কোনো দেশে স্থানান্তরের অনুরোধ জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস।
তিনি তাদের বলেন, ভারত বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা সীমিত করায় অনেক শিক্ষার্থী দিল্লি গিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ভিসা নিতে পারছে না। ফলে তাদের শিক্ষাজীবনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পাচ্ছে না বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের। ভিসা অফিস ঢাকায় অথবা প্রতিবেশী কোনো দেশে স্থানান্তর হলে বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই উপকৃত হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা।
বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও বুলগেরিয়ার উদাহরণ টেনে রাষ্ট্রদূতদের জানান, দেশটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশিদের জন্য তাদের ভিসা সেন্টার ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনামে স্থানান্তর করেছে। তিনি ইইউভুক্ত অন্য দেশগুলোকেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণের আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দিল্লির বিকল্প হিসেবে তৃতীয় কোনো দেশ থেকে ভিসাপ্রাপ্তি বা দিল্লি থেকে ঢাকায় ভিসা সেন্টার স্থানান্তরে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চেষ্টার পরও ইউরোপের দেশগুলো থেকে কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে রোমানিয়ার ভিসার জন্য এখন থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে অবস্থিত দেশটির দূতাবাসে আবেদন করতে পারবেন। এ ছাড়া ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও কাজাখস্তানে বুলগেরিয়ার ভিসার আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ব্যাংকক থেকে ভিসা দেওয়ার কথা জানিয়েছে কাজাখস্তান। এই তিনটি ছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু এই তিন দেশের বাইরে আর কোনো দেশ থেকে তেমন সাড়া পাচ্ছে না পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, ঢাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ইইউভুক্ত দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কিন্তু তাতে তেমন সাড়া মিলছে না। অন্যদিকে দিল্লিতে ইইউভুক্ত যেসব দেশের দূতাবাস রয়েছে, তাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেছেন সেখানকার বাংলাদেশ হাইকমিশনার ও কর্মকর্তারা। তাতেও উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যায়নি ইইউ রাষ্ট্রদূতদের কাছ থেকে।
এ ছাড়া ভিয়েনা থেকেও বাংলাদেশ মিশনের মাধ্যমে ইইউভুক্ত বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে, যাতে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে দিল্লির বিকল্প একটি উপায় বের করা যায়। সে ক্ষেত্রেও কোনো দেশের নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি বা পাওয়ার সম্ভাবনাও অত্যন্ত ক্ষীণ। কারণ, বাংলাদেশে নতুন করে কোনো দেশের ভিসা অফিস খোলা ব্যয়সাপেক্ষ ও সময়সাপেক্ষ বিষয়। কাজেই কোনো দেশের স্বার্থ বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থবহ না হলে নতুন বা বিকল্প ভিসা অফিস খুলতে আগ্রহী হবে না কোনো দেশ। এরপরও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রটি।
এদিকে বাংলাদেশি নাগরিকদের পশ্চিম ইউরোপের প্রায় সব দেশের ভিসা ঢাকা থেকেই হয়ে থাকে। আর বেশির ভাগ পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর ভিসা দিল্লি থেকে নিতে হয়। তবে ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ভারতীয় ট্যুরিস্ট ভিসা এখনো বন্ধ রয়েছে। সীমিতভাবে দেওয়া হচ্ছে জরুরি মেডিকেল ও শিক্ষার্থীদের জন্য তৃতীয় দেশের ভিসা। তবে অনেক শিক্ষার্থীই ভারতের ভিসা না পেয়ে ইউরোপে তাদের গন্তব্যের দেশে যেতে পারছেন না।
সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক ৯০ বাংলাদেশি জেলে ও নাবিক মুক্তির পর চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় পৌঁছেছেন। বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি ফিশিং ভেসেলও ফেরত এসেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পতেঙ্গার কর্ণফুলী চ্যানেলের ১৫ নম্বর ঘাটে এসে পৌঁছান তারা।
গত ৫ জানুয়ারি দুপুরে পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভারতে আটক থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে/নৌকর্মী এবং বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলেকে পারস্পরিক হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।
এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে বাংলাদেশের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় দুটি ট্রলারসহ ৭৮ জন জেলে-নাবিককে ধরে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। ঘটনার পরদিন খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সমুদ্র থেকে ট্রলারসহ তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে মালিকপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছিল।
আটক দুটি নৌযান হলো- ‘এফভি লায়লা-২’ ও ‘এফভি মেঘনা-৫’। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। আর এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।
এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি গত ২৭ নভেম্বর মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ২০ ডিসেম্বর ঘাটে ফেরার কথা ছিল। ট্রলারটিতে ৪১ জন নাবিক-জেলে রয়েছেন। এফভি মেঘনা-৫ ট্রলারটি গত ২৪ নভেম্বর সাগরে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ফিরে আসার কথা ছিল। এটিতে ৩৭ জন নাবিক-জেলে আছেন।
ভারতীয় জলসীমায় মাছ শিকারের অভিযোগ এনে ভারতীয় কোস্টগার্ড তাদের আটক করে। পরে তাদের উড়িষ্যার প্যারাদ্বীপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আদালতের মাধ্যমে অনুপ্রবেশের দায়ে কারাগারে রাখা হয়।
এছাড়া ১২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকা ‘এফভি কৌশিক’ প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ডুবে যায়। ওই নৌকায় থাকা ১২ বাংলাদেশি জেলেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করে নিয়ে যায়। পরে তাদেরও অনুপ্রবেশের দায়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে রাখা হয়।