অংশীজনের সাথে পরার্মশ না করে গত সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারী করে ৬৫ টি পণ্য ও সেবার উপর মূল্য সংযোজন কর ও শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে অন্যায্য এবং অদূরদর্শী দাবি করেছে এবি পার্টি। এ সময় দলটি আরোপিত কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান নেতারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, যে সময় আওয়ামী লুটেরাদের ধ্বংস করে দেয়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আয়োজন চলছে, সে সময়ে মধ্য ও নিম্নবিত্ত স্বল্প আয়ের নাগরিকদের ওপর এ ধরনের পরোক্ষ করের বোঝা চাপিয়ে দেয়া ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পরিপন্থী। একই সময়ে টিসিবির ট্রাকে পরিচালিত নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কমদামে পণ্য বিক্রি বন্ধ করার সিদ্ধান্তকেও আত্মঘাতি বলে মনে করে এবি পার্টি।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভ্যাট বৃদ্ধি ও শুল্ক ব্যবস্থাপনা নিয়ে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)'র সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
বক্তব্যে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, এবি পার্টি মনে করে জনগণকে কষ্ট দিয়ে বাজেটের ঘাটতি মেটানো আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ, এর ঋণ পাবার জন্য সরকারের ব্যয় সংকোচন করা বেশী জরুরি। এক্ষেত্রে সরকারের সাইজ কমানো, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিলাসী সুযোগ সুবিধা কর্তন, অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প বাতিল বা কমানোর উদ্যোগ নেয়া দরকার। পাশাপাশি রাষ্ট্রকে তার বাৎসরিক খরচ মেটানোর জন্য শুধুমাত্র প্রত্যক্ষ করের ওপর জোড় দেবার তাগিদ দেন এবি পার্টির নেতৃবৃন্দ। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের আয় বাড়ানোর জন্য প্রত্যক্ষ করের ক্ষেত্র ও পরিধি বাড়ানো জরুরি।
ভ্যাট বাতিলের দাবি জানিয়ে এবি পার্টি'র চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আওয়ামী লীগের লুটেরাদের মতো আচরণ আপনারা দেশের গরিব মানুষের সাথে করবেন না। যেভাবে দিনকে দিন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে তার উপর আবার নতুন করে ভ্যাট আরোপ করা হচ্ছে তাতে জনগণের জীবন দূর্বিষহ হয়ে উঠবে।
আমরা আওয়ামী লীগকেও বলেছি লুটপাট বন্ধ করেন, জনগণের জীবন সহজ করেন নইলে এই লুটপাটতন্ত্র ধ্বসে পরবে। আপনাদেরকেও সাবধান করছি, গরীব মানুষ মোড়ে মোড়ে এখন গাড়ির দরজায় টোকা দিচ্ছে। বেশী ক্ষতিগ্রস্থ করলে তারা কলার ধরে গাড়ি কেড়ে নেবে। দয়া করে জনগণের জীবন যাত্রা সহজ করার উপায় বের করুন বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এবি যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমাদ বারকাজ নাসির, উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, দক্ষিণের সাংগঠিন সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন মাহমুদ, আমেনা বেগম, নারী নত্রী হাজরা মেহজাবিন, যুবনেতা শিবলু, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি সহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।