পল্লবীতে ব্লেড বাবু হত্যায় জড়িত মুরাদকে গ্রেফতার
রাজধানীর পল্লবীতে চাঞ্চল্যকর মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু ওরফে ব্লেড বাবু হত্যার ঘটনা জড়িত অন্যতম আসামি মো. মুরাদ (২৭) কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) মিরপুর বিভাগ।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতভর পল্লবীর সিরামিক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, পল্লবী থানাধীন বঙ্গবন্ধু কলেজের পশ্চিম পাশের নতুন রাস্তায় গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত ও মারধরে মঞ্জুরুল ইসলাম বাবু গুরুতর আহত হয়। পরবর্তীতে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া আক্তার মিম বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ডিসি তালেবুর রহমান আরও জানান, এই হত্যাকাণ্ডের পর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ হত্যাকারীদের গ্রেফতারে কাজ শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ড সংঘটিত হওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে মধ্যে হত্যাকারীদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ডিবি-মিরপুর বিভাগ। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাতে সিরামিক রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে মুরাদকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃত মুরাদ পল্লবী এলাকার মুসা-রাজন গ্রুপের সদস্য। ভিকটিম বাবুও পল্লবীর আরেক সন্ত্রাসী মামুন গ্রুপের সদস্য। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরোধের কারণে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। পুলিশের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গ্রেফতারকৃত মুরাদ হত্যা, ডাকাতিসহ সাতটি মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
আলোচিত এই হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডিবি মিপুরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সোনাহর আলী। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে স্থানীয় আধিপত্য ও ছিনতাইকৃত আর্থিক লেনদেন নিয়ে দ্বন্দের জেরে এই ঘটনা ঘটিয়েছে মুসা-রাজন গ্রুপের সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত মুরাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।