পটুয়াখালীর লোন্দা মাদ্রাসার বেহাল দশা
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা দাখিল মাদ্রাসার দীর্ঘ অর্ধশতকের অবহেলা চরম আকার ধারণ করেছে। শিক্ষার্থীরা জরাজীর্ণ কক্ষে পাঠ গ্রহণ করছে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নেই, আর ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের অবস্থা আরও শোচনীয়।
১৯৮০ সালে ধানখালী ইউনিয়নের লোন্দা গ্রামে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও শিক্ষার পরিবেশ নেই বললেই চলে। ১৪ জন শিক্ষক থাকলেও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাবে শিক্ষাদান কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমালে মাদ্রাসার দুটি টিনশেড ঘরের একটি কিছুটা মেরামত করা হলেও অন্যটি ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে। ২০০২ সালে নির্মিত পাকা ভবনটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। গভীর নলকূপ না থাকায় শিক্ষার্থীদের দূর থেকে পানি আনতে হয়। বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি বা ল্যাব রুম নেই, ফলে আধুনিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান মীম অভিযোগ করেন, বিশুদ্ধ পানির জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়। মুনিয়া নামের আরেক শিক্ষার্থী জানান, বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হয়ে আসার সময় প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহরাব আকন বলেন, ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বন্যায় ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মাদ্রাসার সুপার মো. আ. গফফার জানান, দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান খান বলেন, সমস্যাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।