হঠাৎ করে রাজবাড়ীতে পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ। তেল সরবরাহ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে যানবাহন চালকেরা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ী নতুন বাজারের কাজী ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক দুর্জয়।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার পর থেকে রাজবাড়ীতে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই সকল পেট্রোল পাম্পগুলো থেকে গ্রাহক পর্যায়ে তেল দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজমকে গত রোববার দুপুরে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর থেকে কর্মবিরতি পালন করছে সংগঠনটি। তিনটি ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ থাকায় যশোর-খুলনাসহ ১৫টি জেলায় সরবরাহও বন্ধ রয়েছে।
শ্রমিক নেতাকে গ্রেফতারের পর তিনদিন ধরে চলা এ ধর্মঘটে দু’দিন তেমন কোনো সংকট না হলেও গতকাল ২৮ জানুয়ারি সকাল থেকে পাম্পগুলো গ্রাহকদের জ্বালানি তেল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। অনেক স্থানে পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। খুলনা বিভাগীয় ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজমকে গতকালও তাকে না ছাড়াই দুপুরের পর রাজবাড়ীতে ধর্মঘট শুরু হয়।
রাজবাড়ী নতুন বাজার এলাকার কাজী ফিলিং স্টেশন, শ্রীপুর বাস টার্মিনাল এলাকার পলাশ পাম্প ও রাজবাড়ী ফিলিং স্টেশনে সামনে বাঁশ ও মোটা দড়ি দিয়ে পাম্পের প্রবেশমুখ ঘিরে রেখেছে। পাম্প বন্ধ থাকায় যানবাহন চালকেরা ও মোটর সাইকেল চালকেরা তেল নিতে এসে পাম্প থেকে হতাশ হয়ে ফেরত যাচ্ছেন।
মোটর সাইকেলে তেল নিতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে এসে দেখি তেল দিচ্ছে না। কোন ঘোষণা ছাড়াই পাম্পগুলো ধর্মঘট পালন করছে। এখন আমরা তেল পাবো কোথায়। আমার মোটর সাইকেল নিয়ে দূরে যেতে হবে কাজে।
আরেক মোটরযান চালক সুজন বলেন, তেল নিতে এসে দেখি পাম্প বন্ধ। দেশে কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না। গাড়িতে তেল নাই এখন ঠেলে নিতে হবে। আমরা সাধারণ জনগণ এখন বিপদে পড়েছি।
রাজবাড়ী নতুন বাজারের কাজী ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক দুর্জয় জানান, গত রোববার দুপুরের পর থেকে তেলের কোন গাড়ি আসেনি। আমাদের গাড়ি খুলনা গিয়ে বসে আছে। তেলেরও সংকট রয়েছে। তারপর খুলনা থেকে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধর্মঘট পালনের কথা জানানো হয়। আমরা বিকেল থেকে পেট্রল পাম্প বন্ধ করেছি। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকবে।
এ বিষয়ে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। খুলনার একটি ঝামেলার কারণে পেট্রোল পাম্পগুলো ধর্মঘট ডেকেছে। আমি খুলনার জেলা প্রশাসকের সাথেও কথা বলেছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য আমরা কাজ করছি।