এবারের বই মেলায় অংশগ্রহণ করছে ৭০৮ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান
-
-
|
ছবি: বার্তা২৪.কম
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ এবছর অংশগ্রহণকারী মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি। গত বছর অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ছিল ৬৪২টি। গত বছরের তুলনায় অংশগ্রহণ বেড়েছে ৬৬টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম, একাডেমির সচিব ড. মোঃ সেলিম রেজা সহ আরও অনেকে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেল ৩টায় বইমেলা উদ্বোধন করবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস। এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য- 'জুলাই গণ-অভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ'।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, এবারের বইমেলায় মোট প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ৭০৮টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯৯টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৬০৯টি । মোট ইউনিট ১০৮৪টি।
এবার মোট প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৩৭টি, বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৩৬টি। গত বছর প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ছিল ৩৭টি।
লিটল ম্যাগাজিন চত্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্মুক্ত মঞ্চের কাছাকাছি গাছতলায়। সেখানে প্রায় ১৩০টি লিটলম্যাগকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিশুচত্বরে মোট প্রতিষ্ঠান ৭৪টি এবং ইউনিট ১২০টি।
এবার বইমেলার বিন্যাস গতবারের মতো অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে তবে কিছু আঙ্গিকগত পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশেষ করে মেট্রোরেল স্টেশন-এর অবস্থানগত কারণে গতবারের মেলার বাহির-পথ এবার একটু সরিয়ে মন্দির-গেটের কাছাকাছি স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া টিএসসি, দোয়েল চত্বর, এমআরটি বেসিং প্লান্ট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশন অংশে মোট ৪টি প্রবেশ ও বাহির-পথ থাকবে।
খাবারের স্টলগুলো ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনের সীমানা-ঘেঁষে বিন্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খাবারের স্টলগুলোকে এবার বিশেষভাবে সুবিন্যস্ত করা হয়েছে। নামাজের স্থান, ওয়াশরুমসহ অন্যান্য পরিষেবা অব্যাহত থাকবে।
শিশুচত্বর মন্দির-গেটে প্রবেশের ঠিক ডান দিকে বড়ো পরিসরে রাখা হয়েছে, যেন শিশুরা অবাধে বিচরণ করতে পারে এবং তাদের কাঙ্ক্ষিত বই সহজে সংগ্রহ করতে পারে।
বইমেলায় বাংলা একাডেমি এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে।
প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে সেমিনার এবং সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
