চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে: ফখরুল
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপি আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা ছিলো একটি জাতির মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার আকাঙ্ক্ষা। অল্প কিছু দিনে বিজয়ের আনন্দ ম্লান হয়ে গেলো। প্রতিষ্ঠা করেছিলো বাকশাল। আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা নিয়ে কি করেছিলো এই কথাগুলো বার বার বলতে হবে।
সংস্কারের কথা প্রথমে জিয়াউর রহমান বলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংস্কার সবাই চায়। বাংলাদেশে প্রথম সংস্কার দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। আধুনিক বাংলাদেশের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। পদগুণে বুদ্ধিমান তারা যখন .. ২০১৭ সালে খালেদা জিয়াই সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। যেখানে রেইনকোট ন্যাশনের কথা ছিল। ৩১ দফা যেটি দেওয়া হয়েছে সেখানে সব সংস্কারের কথা বলা আছে। এর বাইরে আর কোনো সংস্কার নেই। নির্বাচন থেকে শুরু করে সংসদ সব বিষয় আছে।
আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিরাজনীতি করে কেউ টিকে থাকতে পারবে না। তিনি বলেন, রাজনীতি যদি না থাকে তাহলে দেশ থাকবে না। রাজনীতি ছিল বলে ৪৭, ৫২,৬২,৭৯,৭১ ও সবশেষে ২০২৪ হয়েছে। মনে রাখবেন বিরাজনীতি করে বেশিদিন টিকে থাকতে কেউ পারেনি, আপনারাও পারবেন না।
স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, বর্তমানে কঠিন সময় যাচ্ছে। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের বুঝতে হবে অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার চেয়েও ভয়ংকর। আমরা কি স্বাধীনতা অর্জন করেছি কারো করদ রাজ্যে হয়ে থাকার জন্য নয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মানুষ আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, বিজয়ের কথা বলতে পারতাম না যদি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা না করতেন। নতুন প্রজন্ম অবশ্যই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তবে বলতে চাই নতুন যে পরিবর্তনের ফসল ঘরে তুলতে হবে ভাবার কারণ নাই সবাই অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে। যতদিন ভোটের অধিকার অর্জিত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। রাজপথ ছেড়ে যাবো না।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ দেশের মানুষের একটাই প্রশ্ন আমরা কেনো আমাদের অধিকার আজকেও ফিরে পেলাম না। মানুষ প্রত্যাশা করেছিলো, যে জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছে, সে লক্ষে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাবে, কিন্তু সেটা তারা পায়নি।