প্রত্যেক জেলায় রাজনীতির প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে: মির্জা ফখরুল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

প্রত্যেক জেলায় রাজনীতির প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সদস্য নবায়নের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের অনেক বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আমরা ও আমাদের নেতাকর্মীরা কেন জানি রাজনীতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। গতকাল আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী ছিল। সেখানে কর্মীরা আসছিল। তারা একটা পতাকা নিয়ে মিছিল নিয়ে আসছে এটা কোন রাজনীতি না। প্রত্যক জেলায় রাজনীতির প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে। কিভাবে বক্তব্য দিতে হবে কিভাবে স্লোগান দিবে কিভাবে সভা সঞ্চালনা করবে এইগুলো জানতে হবে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সভা করার সময় প্রত্যকের নাম বলতে হবে এটা কোন অর্থ হতে পারেনা। এটা সময় ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছু না। এইগুলো বাদ সত্যিকারের অর্থে একটা রাজনৈতিক দল করা প্রয়োজন। এখানে অনেকগুলো ভালো কথা এসেছে-আমাদের সত্যিকারের একটি আদর্শিক রাজনৈতিক দল হতে হবে-এখন যে প্রতিযোগিতা আসছে সেখানে স্লোগান দেওয়ার প্রতিযোগিতা নয়- মেধা ও বুদ্ধির প্রতিযোগিতা দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া ও টকশোতে কে কত ভালো কথা বলতে পারেন যুক্তি খন্ডন করতে পারেন সে প্রতিযোগিতা দিতে হবে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। শুধু স্লোগান দিয়ে সামনে যুদ্ধে জয় হওয়া সম্ভব না।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ইতিপূর্বে আমরা সদস্যপদ ও নবায়ন কর্মসূচি করেছি। এই বিষয়টা চলমান প্রক্রিয়া। কিছুদিন পর সদস্য পদ নবায়ন করা উচিত বলে আমরা মনে করি। এইজন্য এবার আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নির্দেশ দিয়েছে সদস্যপদ নবায়ন করছি। এই কাজটা মূলত দফতরের কাজ। এই বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা হলো- বইগুলো প্রত্যকটা জেলা উপজেলা-থানা-ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে যাবে। এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এই কাজটা করা হলে একমাসের মধ্যে আমরা তৃণমূলে পৌঁছে যাব। আমাদের সদস্য যারা আছেন তারা যদি না জানেন সদস্যপদ নবায়ন হচ্ছে তা হলে হবে না।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে আমার একটি মতামত আছে যেটা শুনতে ভাল লাগবেনা। আগে যেটা হয়েছে আমাদের যারা আগ্রহী এমপি পদপ্রার্থী ছিলো তারা সবগুলো কিনে নিয়ে গেছে। এটা যেন না হয়। সেটা যেন সাংগঠনিকভাবে যায়।