ক্রিকেট
২য় টি–টোয়েন্টি
বাংলাদেশ–ভারত
সন্ধ্যা ৭–৩০ মিনিট, টি স্পোর্টস ও স্পোর্টস ১৮–১
মুলতান টেস্ট–৩য় দিন
পাকিস্তান–ইংল্যান্ড
সকাল ১১টা, টি স্পোর্টস ও পিটিভি স্পোর্টস
নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
দক্ষিণ আফ্রিকা–স্কটল্যান্ড
বিকেল ৪টা, নাগরিক টিভি ও স্টার স্পোর্টস ১
ভারত–শ্রীলঙ্কা
রাত ৮টা, নাগরিক টিভি ও স্টার স্পোর্টস ১
ফুটবল
নারী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
বায়ার্ন মিউনিখ–আর্সেনাল
রাত ১০–৪৫ মিনিট, ডিএজেডএন ইউটিউব চ্যানেল
বোরেঙ্গা–জুভেন্টাস
রাত ১টা, ডিএজেডএন ইউটিউব চ্যানেল
আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা খেলার কথা ভেনেজুয়েলার মাঠে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এই ম্যাচ খেলতে ভেনেজুয়েলাতে এখনও পা রাখেনি। এবার আলোচনার টেবিলে উঠে এসেছে ম্যাচটা পিছিয়ে দেওয়ার কথাও। এর কারণ হচ্ছে হারিকেন!
আর্জেন্টিনা এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচদুটোর আগে ক্যাম্প করেছে ফ্লোরিডায়। সেই ফ্লোরিডার অদূরে এবার আছড়ে পড়তে যাচ্ছে হারিকেন মিল্টন। যার কারণে ভ্রমণ সূচি ওলটপালট হয়ে গেছে দলটার।
ফ্লোরিডা থেকে ভেনেজুয়েলার মাতুরিনে আগেই চলে যাওয়ার কথা ছিল স্কালোনির দলের। তবে হারিকেন মিল্টন তাতে বাঁধ সেধেছে। ক্যাটেগরি ৫ মাত্রার এই হারিকেন আঘাত হানার কথা আছে ফ্লোরিডার ট্যাম্পা নামক স্থানে। সে কারণে পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী তাই ফ্লোরিডা থেকে দলটা ভেনেজুয়েলায় যেতে পারছে না।
সে বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্কালোনি বলেছেন, ‘ম্যাচটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে নিরাপদে থাকাটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ… দেখা যাক আমরা আগামীকাল (বুধবার) ভ্রমণ করতে পারি কি না।’
তবে বুধবার যাত্রাটাও অনিশ্চিত হয়ে আছে তাদের। যার ফলে দুশ্চিন্তায় আছেন স্কালোনি। তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো কিছু নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছি না। দুর্ভাবনা তাই থাকছেই।’
হারিকেনের কথা ভেবে মঙ্গলবারই ভেনেজুয়েলায় চলে যেতে চেয়েছিলেন স্কালোনি। তবে কর্তৃপক্ষ সে সুযোগটা দেয়নি আর্জেন্টিনাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভেনেজুয়েলারও সরাসরি ফ্লাইট নেই। ট্রানজিট নিয়ে তবেই যেতে হবে সেখানে। যার ফলে স্কালোনির ভাবনার শেষ নেই! তিনি বলেন, ‘কাজটা আমাদের জন্য কঠিন হতে চলেছে। ম্যাচের আগের দিন পৌঁছাব আমরা। যাত্রাপথে একটা বিরতিও থাকবে, কারণ আমেরিকা থেকে ভেনেজুয়েলায় সরাসরি ফ্লাইটের অনুমতি নেই।’
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংসের পথচলার শুরু থেকেই অস্কার ব্রুজন ছিলেন তাদের কোচ। দুই পক্ষের সে সম্পর্কটা গেল মৌসুমের শেষে টুটে গেছে। সে অস্কারকে এক মৌসুমের জন্য কোচ করে নিল ভারতের ক্লাব ইস্টবেঙ্গল।
গুঞ্জনটা বেশ কিছু দিন ধরেই ছিল। কার্লেস কুয়াদ্রাতকে বরখাস্ত করার পর থেকেই তার নাম জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছিল ওপার বাংলার সংবাদ মাধ্যমে। অবশেষে গত রাতে সে গুঞ্জনটাই সত্যি হলো। তাকে কোচ হিসেবে ঘোষণা দিল ইস্টবেঙ্গল।
দায়িত্ব নেওয়ার পর অস্কার বলেন, ‘আমি এই সুযোগ কাজে লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা করব। আমি ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য সম্পর্কে জানি। ইস্টবেঙ্গলের মতো একটা ঐতিহাসিক ক্লাবের কোচ হওয়া বিশাল দায়িত্বের বিষয়। ভারতের সবচেয়ে আবেগপ্রবণ ফ্যানদের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের ভক্তরা পড়ে। এই পরিবারের সদস্য হতে পেরে দারুণ লাগছে। আমরা সবাই মিলে দলের ইতিবাচক স্পিরিট ফেরানোর চেষ্টা করব। ফলাফল এনে দেওয়ার চেষ্টা করব।’
বসুন্ধরা কিংসের কোচ থাকাকালে দেশের সবকটা ট্রফি জিতেছেন। তবে মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট ছিল তার অ্যাকিলিস হিল। এবার ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে সে আফসোসটা কাটাতে চান তিনি। বললেন, ‘আইএসএলের পাশাপাশি এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগেও ভাল রেজাল্টের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী। দলের মধ্যে জেতার মানসিকতা নিয়ে আসতে চাই।’
চলতি আইএসএল মৌসুমের শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। বসুন্ধরা কিংসের কোচ হিসেবে সফল ছিলেন অস্কার। ভারতীয় ফুটবলে তার বিচরণ অবশ্য তারও আগে থেকে ছিল তার। গোয়া স্পোর্টিং ক্লাব দিয়ে ভারতে পা দেন তিনি। এরপর মুম্বাই সিটি এফসি এবং মুম্বাই এফসিতেও ছিলেন কোচ হিসেবে। তবে আইএসএলে এবারই প্রথম কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে তার।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নতুন ঘরোয়া মৌসুম শুরুর তোড়জোড় এখনই শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক নেই, বিশেষ করে ভেন্যু সমস্যা বেশ করে ভোগাচ্ছে পেশাদার লিগ কর্তৃপক্ষকে। যার ফলে নতুন ফুটবল মৌসুম আরও এক মাস পিছিয়ে নভেম্বরে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
প্রথমে জানানো হয়েছিল এবার অক্টোবরের শুরুতেই মৌসুম শুরু হবে। তখন তারিখটা দেওয়া হয়েছিল ৪ অক্টোবর। তবে এরপর এক দফা পিছিয়ে ১১ অক্টোবর নিয়ে যাওয়া হয় মৌসুম শুরুর তারিখ।
গত মঙ্গলবার পেশাদার লিগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা ছিল। তা শেষেও সংবাদ মাধ্যমকে পরিষ্কার কোনো তারিখ জানানো হয়নি এবার। জানানো হয়েছে নভেম্বরের ‘শেষ দিকে’ শুরু হবে এই মৌসুম।
লিগ কমিটির প্রধান ইমরুল হাসান বলেন, ‘বাফুফের প্রফেশনাল লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত ভেন্যুগুলোকে আমরা আসন্ন মৌসুমের জন্য মনোনীত করেছিলাম, সেগুলোর বেশ কয়েকটি এখনও প্রস্তুত হয়নি।’
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা প্রস্তুত। তবে ঢাকার বাইরের স্টেডিয়ামগুলো এখনও প্রস্তুত হয়নি। বিশেষ করে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে খেলা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে অনেকেই আপত্তি তুলেছেন। যার ফলে এই মাঠে খেলা নিয়ে আছে ধোঁয়াশা।
সবকিছুর মিশেলেই এখন লিগটা যাচ্ছে পিছিয়ে। ইমরুল বলেন, ‘যেহেতু মাঠগুলো এখনও খেলার উপযোগী অবস্থায় আসেনি, তাই ক্লাবগুলোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনা করে এই মৌসুমে যেটা ১১ অক্টোবর শুরুর কথা ছিল, সেটা নভেম্বরের শেষ দিকে শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর মধ্যে আশা করছি, ক্লাবগুলো ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে মিলে সবগুলো ভেন্যু প্রস্তুত করে ফেলতে পারব।’
প্রথম ম্যাচে গোয়ালিয়র থেকে বিশাল হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। এখন দল আছে খাদের কিনারে। এখন যে কোনো ম্যাচে হার মানেই সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া। আজ দিল্লিতে সিরিজটা জিইয়ে রাখার সে চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
ভারত সফরে এখন পর্যন্ত প্রত্যেকটা ম্যাচই হেরেছে দল। এর মধ্যেও দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামটা বাংলাদেশকে খানিকটা সুখস্মৃতি দিচ্ছে। ভারতের মাটিতে ভারতকে হারানোর একমাত্র স্মৃতি যে এই মাঠেই! ২০১৯ সালে এই মাঠেই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হারিয়েছিল ভারতকে।
তবে সে সুখস্মৃতি সাম্প্রতিক ইতিহাসে চোখ রাখলে উবে যাওয়ার যোগাড় হয়। এবারের আইপিএলে সেটা দেখা গেছে, শেষ কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও দেখা গেছে তাই। শেষ কিছু দিনে এই মাঠ ভারতের সবচেয়ে রানপ্রসবা মাঠগুলোর একটা।
এবারের আইপিএলে এই মাঠে পাঁচ ম্যাচ হয়েছে। তার ১০ ইনিংসের ৮টাতেই দলগুলো তুলেছে ২০০র বেশি রান। সেখানে অবশ্য আইপিএলের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়ম ছিল। তবে তার পরও এই মাঠ যে রানপ্রসবা, সে সত্যটাকে অস্বীকার করার উপায় একটুও নেই। তাই আজও নিদেনপক্ষে ২০০ রানের আশা এই মাঠ থেকে করাই যাচ্ছে।
এখানেই বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের সমস্যাটা। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল আগের ম্যাচেই বেরিয়ে এসেছিল। নিখাদ ব্যাটিং উইকেটে দল অলআউট হয়েছিল মোটে ১২৭ রান তুলে। তারপর তো অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত দলের ব্যাটিং নিয়ে বলেওছিলেন, ‘আমরা দেশের মাটিতে ১৪০-১৫০ রানের উইকেটে খেলে অভ্যস্ত, তাই ১৮০ রান কিভাবে করতে হয়, তা আমরা জানি না।’
আজ সেখানে রীতিমতো ২০০ রানের উইকেটে দলকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন উইকেটে আধুনিক টি-টোয়েন্টির যুগের প্রায় প্রত্যেকটা দলের সঙ্গে বাংলাদেশের পার্থক্য বেড়ে যায় লাফিয়ে। সে উইকেটেই বাংলাদেশের সিরিজ বাঁচানোর লড়াই আজ। দলের সামনে যে কঠিন এক পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে, তা আর বলতে।