মিস কন্ডাক্ট উইথ প্লেয়ার্স। অনমুতি না নিয়ে অনুমোদনহীন ভাবে ছুটি কাটানো। এই দুই শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ছাঁটাই করেছে বিসিবি। কোচ হিসেবে পারফরমেন্সের বিষয়টি এক্ষেত্রে মোটেও অন্য কোনো গণনায় আনা হয়নি।
কোচের ছাঁটাই প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে মুলত এই দুটি কারণই বেরিয়ে এসেছে। ফারুক বলেন, ‘গত বিশ্বকাপ চলাকালে কোচ আমাদের একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। ধাক্কা দেন তাকে। আপনারা জানেন আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী এসব ঘটনা গর্হিত কাজ। আইসিসিও এসব বিষয়ে কোনো মতোই সহ্য করে না। একজন সাবেক খেলোয়াড় হিসেবে আমাকেও এই বিষয়টা পীড়িত করেছে। আমি সেই খেলোয়াড়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। সরাসরি তাকে ডেকে এনেছি। তার বক্তব্য শুনেছি। আমার মনে হয়েছে এভাবে চলতে পারে না। এটা গ্রস মিস কন্ডাক্ট। তাছাড়া কোচ ছুটি ছাটাও নিয়েছেন তার ইচ্ছে মাফিক। যখন ইচ্ছে হয়েছে যেন তেনভাবে মেইল করে ছুটির বিষয় জানিয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে যে নিয়ম কানুন রয়েছে তার কিছুই মানেননি তিনি। চাকরির শর্ত হিসেবে সেই শর্তও ভঙ্গ করেছেন তিনি।’
বিসিবি সভাপতির দ্বায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসের মধ্যে ফারুক আহমেদ এই দুই অভিযোগে কোচকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো কোচের সঙ্গে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের এখন পর্যন্ত কোনো বৈঠক কথাবার্তাও হয়নি। কোচকে তার শোকজ নোটিস পৌঁছে দিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন সুজন।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। কোচের পদ থেকে ছাঁটাই এবং তার বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ সম্পর্কে এখন তিনি কি জবাব দেন- সেই ইনিংসের অপেক্ষায় ক্রিকেট!
যশোরের হামিদপুরে অবস্থিত শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি দেশের ফুটবল প্রতিভা গড়ে তোলার মডেল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যশোর জেলার এই প্রতিষ্ঠানটি শুধু ফুটবল প্রশিক্ষণের জন্য একটি কেন্দ্র নয়, বরং নতুন প্রজন্মের খেলোয়াড়দের মানসিক, শারীরিক ও সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে।
যশোরের প্রখ্যাত ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক শামস-উল-হুদার স্মৃতিকে স্মরণ করে ২০১১ সালের ১৪ মে রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যাল ও জাহেদী ফাউন্ডেশনের কর্ণধার মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে, একাডেমি থেকে ১৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় দলসহ বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে অংশগ্রহণ করেছেন। ইংল্যান্ড, কাতার, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল ও মায়ানমারের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।
শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফুটবল প্রতিভা বিকাশের জন্য সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক তরুণ আছেন যাদের ফুটবলের প্রতি প্রবল আগ্রহ এবং প্রতিভা থাকলেও, তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ সীমিত। একাডেমী সেই সুযোগ তৈরি করতে চায়, যেখানে এসব তরুণ প্রতিভা সঠিক প্রশিক্ষণ এবং নির্দেশনার মাধ্যমে দেশের ফুটবলে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। একাডেমির মূল লক্ষ্য তরুণদের দক্ষ খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলা এবং তাদের আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা।
৬০ বিঘা জমির উপর অবস্থিত শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমিটিতে আছে দুইটি আন্তর্জাতিক মানের সবুজ মাঠ। নির্মাণাধীন আছে আরও দুটি মাঠ, সাথে বাড়ানো হবে আরও ২০ বিঘা জমি। সপ্তাহে ছয় দিন এখানে শিক্ষার্থীরা ফুটবলের আধুনিক প্রশিক্ষণ নিতে পারে। একাডেমীতে তিন জন প্রশিক্ষিত কোচ সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ দেন। তাদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে শিক্ষার্থীরা হয়ে উঠছেন ভবিষ্যতের ফুটবলার । বর্তমানে ৪০ জন শিক্ষার্থীর আবাসনের ব্যবস্থা থাকলেও একাডেমীটি আরও ২৪০ জন শিক্ষার্থীর আবাসনের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট “ভাষা সৈনিক মুসা মিয়া ভবন” নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
আবাসন ব্যবস্থা, জিমনেশিয়াম, মসজিদ, ক্যান্টিন এবং মৌলিক চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে তৈরি করা এ ভবনটি উদ্বোধন হবে খুব শীঘ্রই । আবাসিক শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার, পোশাক এবং অন্যান্য সুবিধা পায়, যা দেশের অন্য কোনো ফুটবল একাডেমীতে বিরল। প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা দুটি জার্সি, প্যান্ট, ট্র্যাকস্যুট এবং স্কুল/কলেজ ইউনিফর্ম পেয়ে থাকে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহণ ভাতা ও স্কুল ফি একাডেমী বহন করে। একাডেমির খেলোয়াড়দের খেলার পাশাপাশি শিক্ষার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের পার্শ্ববর্তী স্কুল ও কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা ফুটবলের পাশাপাশি শিক্ষার ক্ষেত্রেও এগিয়ে যেতে পারে।
একাডেমিটি প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ১০০০-১২০০ জন তরুণ ফুটবল খেলোয়াড় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করে। সাত দিনের কঠোর পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর চূড়ান্তভাবে ১৫ জনকে একাডেমী তে ভর্তি করা হয়। খেলোয়াড়দের বয়সের ভিত্তিতে তিনটি গ্রুপে ভাগ করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে তারা নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারে।
একাডেমি থেকে ইতোমধ্যে ১৬ জন খেলোয়াড় বাংলাদেশ জাতীয় দল এবং বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারা ইংল্যান্ড, কাতার, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল ও মায়ানমারে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে একাডেমীর ছাত্র মিনহাজুল করিম স্বাধীন নামে আর্জেন্টিনার একটি স্বনামধন্য ক্লাবে খেলার আমন্ত্রণ পান যা এই একাডেমীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মানকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছে। বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগে ১৯ জন এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে ১৮ জন খেলোয়াড় এই একাডেমী থেকে উঠে এসেছে।
একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (মহুল) এবং একাডেমির পরিচালনা পর্ষদের লক্ষ্য ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে কাজ করা এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও এর কার্যক্রম বিস্তৃত করা। নতুন মাঠ নির্মাণ, আন্তর্জাতিক কোচিং স্টাফ নিয়োগ এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি এই পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করা এবং দেশের ফুটবল মানচিত্রে একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা একাডেমীর অন্যতম লক্ষ্য।
চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আউট। ফিল সিমন্স ইন।
বাংলাদেশের নতুন হেড কোচ হিসেবে আপাতত সাড়ে পাঁচ মাসের জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কোচ ফিল সিমন্স। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার লম্বা সময় ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় ছিলেন। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে খেলেছেন। আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ হিসেবেও বিশ্বকাপে ছিলেন। ২০১৬ সালের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল তার কোচিংয়ে। দু’দফায় তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ছিলেন।
বাংলাদেশে এর আগেও কোচ হিসেবে চাকরির দরখাস্ত দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সে দফায় তার দরখাস্ত মঞ্জুর করেনি বিসিবি। তখন সময়টা ছিল নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডের। তবে ফারুক আহমেদের বোর্ডে বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে নতুন ক্যারিয়ার শুরু হচ্ছে ফিল সিমন্সের।
নুতন কোচের নিয়োগ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ জানাচ্ছিলেন, ‘ফিল সিমন্স দু’দফায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ছিলেন। আয়ারল্যান্ড এবং জিম্বাবুয়ের কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কোচ হিসেবে তার ট্র্যাক রেকর্ড খুবই ভালো। অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও কোচ হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। সবশেষ পাকিস্তানের একটি দলের হয়ে তিনি কাজ করছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ ক্রিকেটেও একটি দলের কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মাত্রই সেই টুর্নামেন্ট শেষ করেছেন। তার কোচিং ক্যারিয়ার বেশ সমৃদ্ধ। তবে তাকে আমরা অর্ন্তবর্তীকালিন সময়ের জন্য নিয়োগ দিয়েছি। লম্বা সময়ের জন্য না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্তই তার সঙ্গে আমাদের এই চুক্তি থাকছে।’
২০০২ সালে ফিল সিমন্স তার খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসরে যান। ইনজুরির জন্য তাকে আগেভাগে মাঠের ক্রিকেট থেকে সরে যেতে হয়। তখনই সিদ্ধান্ত নেন কোচিং পেশায় নিয়োজিত হয়ে তিনি ক্রিকেট মাঠে থাকবেন। তার কোচিং ক্যারিয়ার প্রথমে শুরু হয় জিম্বাবুয়ের হারাতে একটি ক্রিকেট একাডেমিতে। পরে তিনি জিম্বাবুয়ের হেড কোচ হিসেবেও দায়িত্ব পান। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ডের কোচ হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন তিনি। আয়ারল্যান্ডের কোচ হিসেবে তিনি ২২৪ টি ওয়ানডেতে দায়িত্ব পালন করেন।
বিশ্বের আর কোনো কোচ এত বেশি আর্ন্তজাতিক ম্যাচে হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেননি। ২০১৫ সালের মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের কোচ হিসেবে যোগ দেন সিমন্স। তার কোচিংয়ে ২০১৬ সালে টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এখন পর্যন্ত আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্টে সেটাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বশেষ সাফল্য। ২০১৭ সালে আফগানিস্তানের হেড কোচের চাকরিতে যোগ দেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। ২০১৯ সালের অক্টোবরে দ্বিতীয় দফায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ হন তিনি। ২০২২ সালের টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তারপর থেকে ফ্র্যাঞ্জাইজি ক্রিকেটে কোচের দায়িত্ব নিয়ে সময় কাটছিল তার। আর ২০২৪ এর ১৫ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের হেড কোচ হিসেবে নতুন পথচলা শুরু হলো ফিল সিমন্সের।
মোহাম্মদ সিরাজের দায়িত্ব আরও বাড়ল। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা এই পেসার এখন তেলেঙ্গানা পুলিশের কর্মকর্তা। ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) পদে যোগ দিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খোদ তেলেঙ্গানা পুলিশ। তাদের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে সিরাজের নিয়োগের খবর জানিয়েছে তারা।
পোস্টে বলা হয়েছে, ‘তার অসাধারণ ক্রিকেট সাফল্য এবং রাজ্যের প্রতি গভীর প্রতিশ্রুতির স্বীকৃতিস্বরূপ মোহাম্মদ সিরাজকে তেলেঙ্গানা পুলিশের ডিএসপি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। নতুন এই দায়িত্বের মাধ্যমে সিরাজ তাঁর ক্যারিয়ারকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এবং অনেক মানুষকে অনুপ্রাণিত করবেন।’
গত জুলাইয়ে ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেভানাথ রেড্ডি সিরাজকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির ফলস্বরূপ, ১১ অক্টোবর সিরাজ তেলেঙ্গানা পুলিশের উচ্চপদে নিয়োগ পেলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাকে হায়দরাবাদে বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেওয়ার ঘোষণাও করেছিলেন।
এই মুহূর্তে সিরাজ বিশ্রামে আছেন। তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের স্কোয়াডে ছিলেন, কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য সিরাজ আবার দলে ফিরেছেন।