বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ শুরু আর দুই দিন পরই। এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল কোচ হিসেবে পরিচিত সালাউদ্দিন। তার অধীনে দল পাঁচবার ফাইনালে উঠেছে এবং চারবার শিরোপা জিতেছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) নিয়ে বরাবরের মতো আলোচনায় নেই মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। থাকবেন কী করে, তিনি যে আর কোনো বিপিএল দলের কোচই নন!
সালাউদ্দিনের কাঁধে আরও বড় দায়িত্ব এখন, জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ এখন তিনি। সে কারণে এবার বিপিএলে কোচ হিসেবে কাজ করার সুযোগ নেই তার। বৃহস্পতিবার শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে সময় কাটিয়ে নীরবে চলে যান তিনি। এরপর তিনি বলেন, ‘আমি বিপিএল মিস করছি না।’
সম্প্রতি ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘যা করি, সেটায় খুশি থাকার চেষ্টা করি। জীবনে খুব বেশি আফসোস করি না। আমি চাই একটি ভালো বিপিএল হোক, যেখানে আমাদের ছেলেরা ভালো করবে। কারণ এটা আমাদের দল ও খেলোয়াড়দের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তবে বিপিএল না করতে পারাটা আমাকে একদমই তাড়িত করছে না।’
সালাউদ্দিন তার কাজে মনোযোগী থাকতেই পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যে কাজে মনোযোগী, সেটাতেই শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি। অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হই না। যদি কেউ ভালো করে, তাকে ভালো করতে দিন। এটি আমার দর্শন।’
তিনি জানান, বিপিএলের প্রতিটি ম্যাচ মাঠে দেখা সম্ভব না হলেও টিভিতে খেলা দেখার মাধ্যমে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স পর্যবেক্ষণ করবেন। ‘টিভিতে দেখলে রিপ্লে দেখার সুবিধা পাই। তবে ঢাকার ম্যাচগুলো মাঠে দেখার চেষ্টা করব। প্রয়োজন হলে ঢাকার বাইরে যাওয়ারও চেষ্টা করব। বিপিএল আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খেলোয়াড়দের বিভিন্ন পজিশনে পারফরম্যান্স দেখার বিষয়টি আমার মূল লক্ষ্য,’ বলেন সালাউদ্দিন।
খেলোয়াড়দের উন্নয়নের জন্য তিনি সবসময় প্রস্তুত। ‘যদি কোনো খেলোয়াড় আলাদাভাবে অনুশীলন করতে চায়, আমি তাকে সাহায্য করব। তবে আমি মনে করি না, এমন পরিস্থিতি আসবে,’ তিনি যোগ করেন।
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। সেই সফরে টেস্ট সিরিজ ড্র করলেও সাদা বলের ফরম্যাটে মিশ্র ফলাফল আসে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক লিটন দাস বলেছেন, ড্রেসিং রুমে সালাউদ্দিনের উপস্থিতি খেলোয়াড়দের সাহায্য করেছে।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি ছেলেদের ছোটবেলা থেকেই চিনি, যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলের উন্নয়নই আমার মূল লক্ষ্য। ব্যক্তিগত অর্জনের দিকে না তাকিয়ে আমরা দলগত সাফল্যের দিকে এগোতে চাই।’ প্রধান কোচ ফিল সিমন্সের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তিনি ইতিবাচক কোচ। খেলোয়াড়দের ওপর কিছু চাপিয়ে দেন না। তার সঙ্গে খেলোয়াড়দের যোগাযোগ খুব ভালো ছিল।’
জাতীয় দল ও বিপিএলের প্রতি একইসঙ্গে মনোযোগ রেখে সালাউদ্দিন জাতীয় ক্রিকেটের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।