পদত্যাগ না অন্য কিছু, বিসিবি সভাপতিকে যা বললেন ফাহিম

  • স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি - সংগৃহীত

ছবি - সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে আজ বিশ্রামের দিন। ঠিক এই দিনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সরগরম মাসচারেক আগে বিসিবির পরিচালক হওয়া নাজমুল আবেদীন ফাহিমের পদত্যাগের গুঞ্জনে। দেশের অনেক ক্রিকেটার গড়ার কারিগর আজ সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এর। যদিও সেখানে সরাসরি পদত্যাগের কথা বলেননি তিনি। এবার সভাপতি ফারুক আহমেদও জানালেন, পদত্যাগ করার কথা ফাহিম বলেননি। 

ফারুক জানান, ফাহিমের সঙ্গে আজই আলাপ হয়েছে তার। সেখানে যা কথোপকথন হলো, তা তিনি কিছুক্ষণ আগেই জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ করতে চাননি। বলেছেন কাজ করা কঠিন। তার সঙ্গে এই মাত্র কথা হলো, কথা বলেই এখানে আসলাম।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে এই বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন ফাহিম। তিনি ইঙ্গিত দেন বাস্তবতা প্রত্যাশামাফিক না হলে সে কথা ভাবতে পারেন তিনি। তার কথা, ‘আমি নিশ্চিত নই। যদি কিছু জিনিস আমার প্রত্যাশামতো না হয়, সেই ক্ষেত্রে আমি সেই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করব।’

গুঞ্জন ছিল, বিসিবি সভাপতি ফারুকের সঙ্গেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেখানে ‘দুর্ব্যবহার’ করা হয়েছে তার সঙ্গে, এমন কথাও শোনা যাচ্ছিল। তবে ফাহিম বিসিবি সভাপতির সঙ্গে কোনো সমস্যার কথা সরাসরি উল্লেখ করেননি। তিনি কাজের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘যদি আমার কাজের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ হয়, তাহলে হ্যাঁ, সেই ক্ষেত্রে... ।’

বিজ্ঞাপন

কেন এমন চিন্তা করছেন সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিসিবির সামগ্রিক পরিচালনার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, ‘এটা সামগ্রিক আসলে। যদি বাস্তবতা প্রত্যাশিত না হয়, তাহলে তা অসন্তোষজনক।’ 

এ বিষয়ে ভাবনার পর্যায়েই আছেন তিনি। বিসিবি এখনো পর্যন্ত পদত্যাগের ব্যাপারে কিছু জানাননি ফাহিম। পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফাহিম বলেন, ‘না, এ কথা কিন্তু আমি বলিনি। যদি অসন্তুষ্ট হই, তাহলে আমি সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারি। এটি একটি সুযোগ যেহেতু সেই দরজা খোলা। আমাকে জোর করেই ক্ষমতায় থাকতে হবে বিষয়টা এমন নয়। যদি আমি সন্তুষ্ট না হই তবে সেই বিকল্প তো সবসময়ই আছে।’

ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন ফাহিম এনএসসি কোটার মাধ্যমে বিসিবির পরিচালক পদে নিয়োগ পান। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বেশ কয়েকজন বোর্ড সদস্য আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় বোর্ডের শূন্যস্থান পূরণে এই কোটার ব্যবহার করা হয়।