পাত্তাই পেল না ঢাকা, হেসে-খেলে রেকর্ড গড়ে জয় বরিশালের
মাত্র ৭৪ রানের চ্যালেঞ্জ! জয়টা তো হাতের মুঠোয় নিয়েই মাঠে নেমে ছিল ফরচুন বরিশাল। শুধু দেখার ছিল তামিম ইকবালের দল কতো তাড়াতাড়ি ঢাকা ক্যাপিটালসের রান টপকে যায়। চটজলদিই লক্ষ্যে পা রাখে বরিশাল।
রীতিমতো ফুঁ দিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসকে উড়িয়ে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ৯ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে তারা, ৮১ বল হাতে রেখেই! বিপিএলে এটিই বেশি বল বাকি থাকতে জয়। ২০১৭ সালের আসরে সিলেট সিক্সার্সের ১০২ রানের লক্ষ্য ৭৩ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলেছিল ঢাকা ডায়নামাইটস।
ঢাকাকে হারিয়ে ১১ ম্যাচে ৯ জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার হয়েছে তামিম ইকবালরা। অন্যদিকে এ হারে প্লে-অফে ওঠার সামান্য যে সম্ভাবনাটুকু ছিল তাও শেষ হয়ে গেল ঢাকার।
টস হেরে আজ বুধবার ব্যাট করতে নেমে ১৫.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৭৩ রানে থামে ঢাকা ক্যাপিটালস। জবাবে ৭৪ রানের লক্ষ্যে তাড়ায় নেমে ৬.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে নোঙর করে তামিম ইকবালের বরিশাল।
মিরপুরের চেনা উইকেটে যেনো রান তুলতে ভুলেই গেলেন লিটন দাসরা। দলের ওপেনিং থেকে শুরু করে শেষপর্যন্ত কেউই নিজের ইনিংসকে ২০ রান অব্দি নিয়ে যেতে পারলেন না। শেষপর্যন্ত মাত্র ১৫.৩ ওভারে সবকটি উইকেট বিলীন করে দিয়ে ৭৩ রান তুলে মাঠ ছাড়ে দলটি।
ঢাকার হয়ে সবোর্চ্চ ১৫ (১১) রানের ইনিংস খেলেন লঙ্কান খেলোয়াড় থিসারা পেরারা। অন্য ম্যাচে জ্বলে উঠা লিটনও আজ নিষ্প্রভ ছিলেন। মাত্র ১০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ১০ রানে ফেরেন রন্সফোর্ড বিটন। বরিশালের হয়ে মোহাম্মদ নবি ছিলেন দুর্দান্ত। ৪ ওভারে ৯ রানে নেন ৩ উইকেট।ফাহিম আশরাফ ২.৩ ওভারে ১৫ রানে তুলে
জবাবে ৭৪ রানের লক্ষ্যে মাঠে নামা তামিম ইকবাল-তাওহিদ হৃদয়ের ওপেনিং জুটিতে ২১ রান তুলে বরিশাল। ২য় ওভারের শুরুতে মুস্তাফিজের বলে ১৫ (৯) রান করে তাওহিদ হৃদয় সাজঘরে ফিরলে দলের হাল ধরেন ১৬ বলে ৩৭ রানের জড়ো ইনিংস খেলা ডাভিড মালান। শেষ পর্যন্ত ১ উইকেট হারিয়ে তামিম-মিলান অপরাজিত জুটিতে ৬.৩ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় তামিমরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৫.৩ ওভারে ৭৩/১০ (থিসারা ১৫, লিটন ১০; নবী ৩/৯)
ফরচুন বরিশাল: ৬.৩ ওভারে ৭৭/১ (মালান ৩৭(১৬)* তামিম ২১(১৪)*
ফল: ফরচুন বরিশাল ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ডাবিড মালান