শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে শেকৃবি শিক্ষকদের ১৩ দফা দাবি

  • শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনের কাছে শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে ১৩ দফা দাবি পেশ করেছেন। অনুষদটির পাঁচটি বিভাগ ও অন্যান্য অনুষদের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ সম্মিলিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এই দাবিগুলো উপস্থাপন করেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের কনফারেন্স রুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষকদের প্রস্তাবিত দাবিগুলো হলো, শ্রেণিকক্ষে স্মার্টবোর্ড ও সিপিউ স্থাপন, গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধি, গবেষণার নিমিত্তে বিদেশ গমন সহজীকরণ, বামহাতি শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার হলে বিশেষ চেয়ার স্থাপন, কোর্স ক্রেডিট কমানো ও সিলেবাস আপডেট, দ্রুত ফল প্রকাশের ব্যবস্থা, শ্রেণিকক্ষের অকেজো মাল্টিমিডিয়া মেরামত ও প্রতিস্থাপন, শব্দ দূষণ রোধ, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা চালু, কম্পিউটার ল্যাবের আধুনিকায়ন, রিডিং রুম, প্রেয়ার রুম ও কমন রুম চালু করা,অনুষদে স্বাস্থ্যসম্মত ক্যান্টিন চালু করা।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ আবুল বাশার শিক্ষকবৃন্দকে আশ্বস্থ করে বলেন, বাজেটের সুষ্ঠু বণ্টনের মাধ্যমে আপনাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করা হবে এবং শিক্ষার পবিবেশের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. বেলাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, আমরা গ্লোবাল গ্র্যাজুয়েট তৈরি ও আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিংয়ে স্থান করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আপনারা (শিক্ষকবৃন্দ) আপনাদের গবেষণার তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আপডেট করবেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেকৃবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল লতিফ বলেন, দেশের সবগুলো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভেদে একই সিলেবাস প্রণয়ন করা দরকার। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে কথা বলেছি। এ বিষয়ে আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত প্রস্তাব পেশ করবেন। আর আপনাদের দাবিগুলো বাজেট প্রাপ্তির সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হবে। এ সময় তিনি আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে শ্রেণিকক্ষের প্রত্যাশিত সংস্কার বাস্তবায়ন করার আশ্বাস প্রদান করেন।