কানাডা প্রবাসী দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী হার্ট অ্যাটাক করেছেন। দেশটির মন্ট্রিয়েলে শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানান, তার হার্ট অ্যাটাক (হৃদরোগ) হয়েছে।
জনপ্রিয় এ শিল্পীর হার্ট অ্যাটাকের খবরটি গণমাধ্যমকে জানিয়ে সংগীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী বলেন, ২৬ নভেম্বর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানতে পারেন, তার (তপন চৌধুরী) হার্টে দুটি ব্লক ধরা পড়েছে। পরদিন দুটি রিং পরানো হয়। এরপর দুদিন হাসপাতালে রাখা হয়। এখন বাসায় আছেন। বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিন ধরেই সপরিবারে কানাডায় থাকেন সংগীতশিল্পী তপন চৌধুরী। দেশের বাইরে থাকলেও নিয়মিত অংশ নেন স্টেজ শোগুলোতে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মঞ্চেও তিনি গান গেয়েছেন। কানাডার মন্ট্রিয়েলে ফিরে যাওয়ার পর শারীরিকভাবে অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সত্তরের দশকের শেষদিকে গানের জগতে পা রাখেন তপন চৌধুরী। ব্যান্ডের পাশাপাশি একটা সময় একক ক্যারিয়ারে মনোযোগী হন তিনি। অল্প ক’দিনেই গান দিয়ে শ্রোতাদের মন জয় করে নেন এই সংগীতশিল্পী। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে ‘মন শুধু মন ছুঁয়েছে’, ‘তুমি আমার প্রথম সকাল’, ‘পলাশ ফুটেছে শিমুল ফুটেছে’, ‘এই রুপালি চাঁদে’, ‘মনে করো তুমি আমি’, ‘পাথরের পৃথিবীতে কাচের হৃদয়’, ‘আজ ফিরে না গেলেই কি নয়’, ‘আকাশের সব তারা ঝরে যাবে’, ‘আমি কি বেঁচে আছি’।
বর্তমানে ইউটিউব ইন্ডিয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল, যাতে বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী নীনা গুপ্তাকে ‘আইকনিক গাঞ্জি চুড়েল’ অর্থাৎ টেকো ভূতের আদলে হাজির হতে দেখা গেছে। ভিডিওটিতে অভিনেত্রীর কমেডি দিকটি এতোটাই সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে ভক্তদের মধ্যে দারুণ উন্মাদনা দেখা যাচ্ছে।
নীনা এমনিতেই বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। কিন্তু তার এই অপ্রত্যাশিত রূপান্তর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের উচ্চস্বরে হাসতে বাধ্য করেছে।
কমেডি ভিডিওটিতে আরও দেখা যায় তিনজন সৌন্দর্য এবং লাইফস্টাইল ইনফ্লুয়েন্সার শিবশক্তি সচদেব, ঈশিতা মঙ্গল এবং সাক্ষী সিদওয়ানিকে। নীনার মজার এক্সপ্রেশনের সঙ্গে ভয়েসওভারে বলা হয়, ‘একবার তিনজন ইউটিউবারকে গাঞ্জি চুড়েল অপহরণ করেছিল।’
ইনফ্লুয়েন্সাররা টেকো ভূতের সবুজ রঙের ত্বকের জন্য নিখুঁত মেকওভার খুঁজে বের করার জন্য লড়াই করতে থাকে। তাতে তৈরি হয় দারুণ একটি মজার দৃশ্যকল্প। হেয়ার স্পা সেশন থেকে স্মোকি চোখ এবং একটি ঝকঝকে পোশাক পর্যন্ত, মেকওভার জার্নিটা দারুণ মজার। টেকো ভূত মেকওভারের মাধ্যমে উগ্র, ফ্যাশন-ফরোয়ার্ড জেন জি ডিভা হিসেবে রূপান্তরিত হয়ে ওঠে।
ভিডিওটি ইউটিউব ইন্ডিয়ার ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত ১.৫ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ পেয়েছে। মন্তব্য বিভাগটি সেলিব্রিটি এবং প্রভাবশালীদের প্রতিক্রিয়ায় ভরে গেছে।
নীনা গুপ্তার কন্যা ও ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মাসাবা গুপ্তা লিখেছেন, ‘‘আমি মারা গেছি’।
ডলি সিং (ভারতের তরুণ প্রজন্মের বিখ্যাত কমেডি কনটেন্ট ক্রিয়েটর) প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘কেউ কী ভেবেছিল নীনা জি এভাবে গাঞ্জি চুড়েল হয়ে একটি ব্র্যান্ডের প্রচারণা করবেন! এটি আইকনিক।"
কিছুদিন আগেই জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের সুপারস্টার নায়ক জিৎকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন বাংলাদেশের নির্মাতা রায়হান রাফী। যৌথ প্রযোজনার এই সিনেমায় দেখা যাবে বাংলাদেশি শিল্পীদেরও। গত সপ্তাহে জানা যায়, সিনেমাটির কাজ স্থগিত হয়েছে। তবে এবার সেই ‘লায়ন’ সিনেমা নিয়ে নতুন খবর জানা গেল।
গতকাল ৩০ নভেম্বর ছিল জিতের জন্মদিন। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় বাংলাদেশের পরিচালক রায়হান রাফীর ‘লায়ন’ ছবির তিনিই নায়ক। সেই খবরে সিলমোহর দিয়েছিলেন ছবিটির ভারতীয় প্রযোজক শ্যামসুন্দর দে।
শনিবার নায়কের জন্মদিনে তিনি একটি কেক উপহার দিয়েছেন। সাধারণ কেক নয়, বরং সেই কেক বহন করছে বিশেষ ইঙ্গিত। চকলেট কেকের গায়ে উজ্জ্বল এক সিংহের মুখ! মাথায় সোনালি মুকুট। প্রযোজক জানিয়েছেন, কেক দেখে দারুণ খুশি নায়ক। কেটে সঙ্গে সঙ্গে তাতে কামড় বসিয়েছেন।
আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্যামসুন্দর জানিয়েছেন সিনেমাটি নিয়ে নতুন তথ্য। তিনি বলেন, ‘বলেছিলাম, ছবিটি হচ্ছে। এই কেক তার প্রমাণ। “লায়ন”-এর জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই কেক। একা আমি নই, আজ বাংলাদেশ থেকে রায়হানও জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন জিৎদাকে।’
এই প্রযোজক আরও জানিয়েছেন, ফোনে প্রতিদিন ছবি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তাদের। ছবিতে জাহাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। সেটির কারণেই ছবিটি তৈরি হতে একটু সময় লাগছে। প্রযোজকের আশা, নতুন বছরে সব সমস্যা মিটে যাবে। তিনিও ‘লায়ন’কে শুটিং ফ্লোরে পৌঁছে দিতে পারবেন।
এদিকে, এবারের জন্মদিনটি ছিলো জিতের জন্য সত্যিই অণ্যরকম। একেবারেই বলিউড কিং শাহরুখ খানের মতো চিত্র দেখা গেলো তার জন্মদিনে। প্রচুর মানুষ জিতের বাড়ির সামনে ভিড় করে। তাদের অবাক করে মধ্যরাতে বারান্দাতে দেখা দিয়েছেন জিৎ! এক মুখ হাসি নিয়ে হাত নেড়েছেন ভক্তদের উদ্দেশে। ঠিক বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান যেভাবে তার জন্মদিনের প্রথশ প্রহর উদযাপন করেন।
সকালবেলা আলো ফুটতেই আবার বাড়ির সামনে ভক্তের ঢল। নির্দিষ্ট সময়ে সাদা-কালো শার্ট, কালো ট্রাউজার্সে বাড়ির দোতলার বারান্দা এলেন জিৎ। এবার সঙ্গী স্ত্রী মোহনা, মেয়ে নবন্যা, ছেলে রোনাভ, বাবা, ভাই।
নায়ক হাত নাড়াতেই উল্লাস শুরু। নায়কের হাতে উঠে এল মাইক্রোফোন। বললেন, ‘আমি কোনও ঈশ্বর নই যে ছেড়ে দেব, আর রাক্ষস নই যে মেরে দেব’। ‘শত্রু ১’-এর সংলাপ তার মুখে, নেপথ্যে বাজছে জিতের ‘বস’ ছবির গান। প্রিয় নায়কের দর্শনে ততক্ষণে উত্তাল ভক্তরা। তাদের সঙ্গে সেলফি তুলতেও ভুল করলেন না।
এখানেই শেষ নয়। অনুরাগীদের দেখা দিয়ে তিনি চলে গেলেন বাড়ির এক তলায়। সেখানে বড় টেবিলে সাজিয়ে রাখা নানা স্বাদের কেক। কোনওটা রেড ভেলভেট, চকোলেট, ভ্যানিলা। আবার কোনওটা ব্ল্যাকফরেস্ট। ঝড়ের গতিতে নিপুণ হাতে একের পর এক কেক কাটলেন জিৎ। সাক্ষী পরিবার এবং সেই ভক্তরা।
৪৬তম জন্মদিনের প্রথম ভাগ এভাবেই কাটিয়ে ফেলেন জিতেন্দ্র মদনানি! যিনি জন্মসূত্রে অবাঙালি হয়েও সর্বাংশে বাঙালি। তিনটি দৃশ্যের ভিডিও ইতোমধ্যেই ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। সেখানেই শাহরুখ খানের সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন সকলে।
বয়স যতই বাড়ুক কিংবা ছবি যেমনই ব্যবসাই করুক- তার অনুরাগী সংখ্যায় কিন্তু চিড় ধরেনি। এখনও বাংলা ছবির সনাতনী ধারা মেনে তিনি পুরোপুরি বিনোদনধর্মী ছবিতে নিবেদিতপ্রাণ। এভাবেই কি আগামী বছরগুলোও কাটিয়ে দেবেন তিনি? নাকি শহুরে রীতি মেনে ছবির ভাবনায় বদল আনবেন?
জিতের সাম্প্রতিক ছবি ‘ব্যুমেরাং’ বলছে, তিনি মধ্যপন্থী। আমজনতাকে একেবারে অস্বীকার করে ধ্রুপদী হয়ে ওঠায় বিশ্বাসী নন। সে কথা তিনি জন্মদিনেও বুঝিয়ে দিয়েছেন। নিজের ঝাঁঝালো সংলাপের পাশাপাশি তিনি অনুরাগীদের আশ্বাস দিয়েছেন, ‘একসাথে এক হয়ে এগিয়ে চলার মানে জিৎ’।
বাবা হারিয়েছেন বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের নন্দিত অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। এরই মধ্যে খবরটি অনেকেই জেনে গেছেন। নতুন খবর হলো, এই অভিনেত্রী তার বাবা জোসেফ প্রভুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এমন কিছু কথা তুলে এনেছেন, যা অনেকের অজানা।
সামান্থা বলেছেন, এক সময় বাবার সঙ্গে তার সম্পর্ক বেশ জটিল হয়ে পড়েছিল। বাবা ছিলেন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। তার চিন্তাধারা, চলাফেরা, পরিবারের সদস্যদের ওপর নজরদারি- সবকিছুই ছিল অধিকাংশ ভারতীয় বাবার মতো। যারা ভাবতেন সন্তানকে সুরক্ষা দেওয়াই তাদের প্রধান কাজ। এরপরও বেড়ে ওঠার সময়টাতে আবিষ্কার করেন, সহপাঠীদের বাবার চেয়ে কোনো একটা কারণে তিনি কিছুটা অন্যরকম। সেই পার্থক্যটা খুঁজে বের করতে পারেননি তখন। যে কোনো কাজ করলে তার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতেন সামান্থা। অন্যের অনুমোদন ও স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষাতেই কেটে যেত একেকটি দিন। বড় হওয়ার পরও তার বাবা তাকে যথেষ্ট স্বাবলম্বী মনে করতেন না।
তিনি ভাবতেন, যে কোনো কাজেই তার সাহায্যের প্রয়োজন হবে। বাবার এ ধারণা দিন দিন সামান্থাকে আরও দুর্বল করে তুলেছিল। বাবা তাকে বলতেন, ‘তুমি খুব একটা স্মার্ট নও। হবেই বা কীভাবে, ভারতীয় শিক্ষাই তোমাকে এমন করে তুলেছে।’
সামান্থা বলেন, ‘বাবার এই কথা মনের মধ্যে এমনভাবে গেঁথে গিয়েছিল যে, বিশ্বাস করা শুরু করেছিলাম, আমি সত্যিই স্মার্ট নই। যে জন্য অভিনয় জগতে পা রেখেও স্বাবলম্বী হয়ে উঠতে পারিনি। এই ধ্যান-ধারণাই জন্যই হীনমন্যতায় ভুগতাম। সিনেমা সফল হওয়ার পরও ভাবতাম, আমি সাফল্য পাওয়ার যোগ্য নই।’
সামান্থার কথায়, ‘সাফল্য দুটি কাজ করতে পারে। প্রথমত, আপনি ভাবতে পারেন, এই সাফল্যই তো আপনার প্রাপ্য ছিল। দ্বিতীয়ত, যে সাফল্য বা ভালোবাসা আপনি পাচ্ছেন, তার যোগ্যই নন আপনি। আমি দ্বিতীয়টা ভাবতাম নিজের সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, সাফল্য পাওয়ার পরেও ভয় পেতাম। ভাবতাম, এক দিন সবাই বুঝতে পারবে, আমার কোনো প্রতিভা নেই। আমি স্মার্ট নই। তাই নিজেকে কাজ ও চেহারার দিক থেকে উন্নততর করতে উঠেপড়ে লেগেছিলাম।’
এদিকে বাবা হারানোর শোকে সামান্থা যখন কাতর, ঠিক তখনই বিয়ের বাদ্য বাজতে শুরু করেছে এই অভিনেত্রীর সাবেক স্বামী অভিনেতা নাগা চৈতন্যের বাড়িতে। আগামী ৪ ডিসেম্বর অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে তাদের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা সাফা কবিরের প্রেম ভালোবাসা নিয়ে খুব একটা চর্চা হয় না। তবে এই অভিনেত্রী এবার নিজেই গণমাধ্যমে বললেন, তার জীবনের ভালোবাসার অবস্থা খুব ভালো।
তবে পরেই যা বললেন তাতে মুখরোচক গল্প আর তৈরি হলো না! সাফা বলেন, ‘পরিবার, বন্ধুদের নিয়ে খুব ভালো আছি। দিনকালও ভালোই কাটছে। ভালোবাসা কিন্তু নানারূপে আসতে পারে। কখনো বন্ধুর রূপে আসতে পারে। কখনো পারিবারের ভালোবাসার মানুষ থাকতে পছন্দ করে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভালোবাসার কথা বললে, জীবনসঙ্গীর কথা সামনে আসে। সে ক্ষেত্রে বলব, আমার পার্টনার হওয়ার মতো কেউ এখনো আসেনি। জীবনসঙ্গী যখন আসবে, তখন সবাই জানতে পারবেন।’
আমি প্রেমে আছি, ভালোবাসায় আছি, তবে সেটা শুধুই কাজের-এমন উল্লেখ করে সাফা কবির বলেন, ‘আমার মনে হয়, আমি আমার কাজের প্রেমে আছি। কাজের ভালোবাসায় আছি। সব শিল্পী এ ধরনের কথাই বলেন। তাই শুনতেও একরকম ক্লিশে শোনাতে পারে। অনেকে হয়তো ভাবতেও পারেন, এটা বলার জন্য বলছি। মোটেও তা নয়, আমি মন থেকে বলতে চাই, আমি সত্যিই আমার পেশাকে খুব ভালোবাসি। এই পেশার প্রেমে আমি ডুবে আছি। কাজের মধ্যে আমি এত বেশি ব্যস্ত থাকি, তাই আলাদাভাবে জীবনসঙ্গী নিয়ে ভাবব যে ..., অবশ্যই জীবনসঙ্গী থাকা মানুষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমিও একদিন বিয়ে করব। করতে চাই।’
বিয়ে করতে চাইলেও আপাতত এ বিষয়ে কোনো ভাবনা নেই সাফা কবিরের। বললেন, ‘সত্যিই আমি কিন্তু বিয়েতে এখন ফোকাসড নই। এ জন্য হয়তো আমার তাড়াহুড়োও নেই, এখনই বিয়ে করতে হবে। আমার পরিবারের পক্ষ থেকেও এ নিয়ে কোনো চাপাচাপি নেই। সত্যিই বলতে, যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয়, তখন মনে হয়, আমার তো বিয়ে করা উচিত। কারণ, বিয়ে নিয়ে প্রশ্নটা প্রায়ই শুনতে হয়। এটা ছাড়া বিশ্বাস করেন, আমার বিয়ে নিয়ে কিছু মনে হয় না।’
তবে সাফার ব্যক্তিজীবনে প্রেমিক না থাকলেও তিনি এখন বেশ ব্যস্ত ভালোবাসার গল্প নিয়েই। খোলাশা করে বলা যাক, ভালোবাসা দিবসের আর বাকি আড়াই মাস। দিবসটি ঘিরে তারকাদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে গেছে এরইমধ্যে। ছোট পর্দার তারকাদের নাটকের শুটিংয়ের ব্যস্ততা কাটছে বেশি। সময়ের ব্যস্ত তারকা সাফা কবির এরই মধ্যে দুটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে টানা আরও কয়েকটি নাটকের শুটিং করবেন। ভিন্ন ভিন্ন গল্পের নাটকের শুটিং করছেন বলে জানালেন তিনি।
সাফা বলেন, ‘দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দেওয়ার ইচ্ছা থেকে ব্যতিক্রমী গল্পের কাজ করছি। সামনের ভালোবাসা দিবসের দিকে তাই তাকিয়ে আছি। ভালোবাসা দিবসে শুটিংয়ের কথা বলার পাশাপাশি ভালোবাসা নিয়ে নিজের ভাবনার কথাও বললেন। জানালেন, তিনি প্রেমে আছেন, ভালোবাসায়ও আছেন, তবে...।