ছুরির তৃতীয় টুকরা উদ্ধার, সাইফের নিরাপত্তা জোরদার

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাইফ আলী খান

সাইফ আলী খান

সাইফ আলী খানের ওপর হামলার মামলাকে ঘিরে প্রতিদিন নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। জানা গেছে, এ মামলার মূল অভিযুক্ত মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভাষাগত বাধার মুখে পড়তে হয়েছে মুম্বাই পুলিশকে।

এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশকে তদন্তের কাজে যথাযথ সাহায্য করছেন। শরিফুলকে সঙ্গে করে বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিল পুলিশ। সাইফের ওপর হামলার পর পটবর্ধন গার্ডেনের যে বাসস্ট্যান্ডে ঘুমিয়ে ছিলেন শরিফুল, যে হোটেল থেকে খাবার কিনে খেয়েছিলেন তিনি, এসব জায়গাসহ আরও নানান জায়গায় পুলিশের একটি দল তদন্তের স্বার্থে গিয়েছিল। জানা গেছে, বান্দ্রা পুলিশ এ মামলার এক বড় প্রমাণ ইতিমধ্যে জোগাড় করে ফেলেছে। এ ছাড়া বান্দ্রা পুলিশ সাইফ ও কারিনার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে। জানা গেছে, সাইফ ও কারিনার সঙ্গে সব সময় একজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন।

বিজ্ঞাপন
সাইফ আলী খান

১৬ জানুয়ারি ধারালো ছুরি দিয়ে সাইফ আলী খানের শরীরে ছয়বার কোপ বসিয়েছিলেন আততায়ী। হামলার সময় ছুরিটি তিন ভাগে ভেঙেছিল। এর মধ্যে একটি টুকরা ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গিয়েছিল। দ্বিতীয় টুকরাটি সাইফের শিরদাঁড়ার পাশে বিঁধে ছিল। লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সাইফের শরীর থেকে বের করেছিলেন। বান্দ্রা পুলিশ এই ছুরির তৃতীয় খণ্ডের সন্ধানে ছিল এই কদিন। অবশেষে পুলিশ ছুরির তৃতীয় টুকরাটি উদ্ধার করেছে। বান্দ্রা সরোবরের কাছে স্বামী বিবেকানন্দ রোড থেকে ছুরির তৃতীয় টুকরাটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। পশ্চিম বান্দ্রায় সাইফ-কারিনার আবাসন সৎগুরু শরণ থেকে ১ দশমিক ৪ কিলোমিটার দূরের এক নর্দমা থেকে ছুরির টুকরাটি উদ্ধার করেছে বান্দ্রা পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি জানিয়েছেন যে বান্দ্রা রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার সময় তিনি ছুরির হাতলের অংশটি বান্দ্রা সরোবরের কাছে এক নর্দমায় ফেলে দিয়েছিলেন। এখন পর্যন্ত পুলিশ এ মামলার তথ্যপ্রমাণাদি হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফিঙ্গারপ্রিন্ট, মাথার টুপি, রক্তমাখা টি–শার্ট, মুঠোফোন, ইয়ারফোন আর ছুরির তিন টুকরাসহ নানান কিছু জোগাড় করেছে।

সাইফ আলী খানের ওপর হামলার ঘটনায় এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কড়া পাহারা দিয়ে বান্দ্রা সরোবরে নিয়ে গিয়েছিল। একটি ফরেনসিক মোবাইল ভ্যান এ অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে ছিল। পুলিশ সেখানে দেড় ঘণ্টার মতো ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিফুলকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভাষাগত বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে বান্দ্রা পুলিশকে। কারণ, অভিযুক্ত ব্যক্তি পুলিশের সঙ্গে হিন্দিতে কথোপকথনের সময় প্রচুর ভারী ভিনদেশি শব্দ ব্যবহার করছেন, এর ফলে সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে পুলিশকে।

বিজ্ঞাপন

বান্দ্রা পুলিশ এ মামলার সঙ্গে জড়িত ওরলির কোলিওয়াড়ার এক সেলুনের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এক সূত্রে জানা গেছে, সাইফের ওপর হামলার পর অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম ওরলির কোলিওয়াড়ার এক সেলুনে গিয়েছিলেন চুল কাটাতে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজের পরিচয় লুকানোর জন্য চুল কেটে লুক বদল করতে চেয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের।