সিরিয়ার আলেপ্পোতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ হামলায় তিন শতাধিক বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আলেপ্পো নগরীর অর্ধেকের বেশি এলাকার দখলে নেওয়া বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতে তাদের বিমান বাহিনী বিদ্রোহীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই হামলা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের স্থবির হয়ে থাকা পরিস্থিতিকে নতুন করে উত্তপ্ত করে তুলেছে। ২০২০ সাল থেকে রণক্ষেত্র অনেকটাই স্থিতিশীল ছিল।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া। সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম অতীতে দেশটিতে নুসরা ফ্রন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল। এই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, তুরস্ক এবং অন্যান্য দেশ। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে অনেকটা আকস্মিক হামলা চালায় আলেপ্পো নগরীতে। এরপর থেকে গোষ্ঠীটি তাদের হামলা সিরিয়ার অন্যান্য শহরেও জোরদার করেছে।
হায়াত তাহরির আল-শামের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের যোদ্ধারা আলেপ্পো বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে। বিদ্রোহী এই গোষ্ঠীর দু’টি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, বিদ্রোহীরা ইদলিব প্রদেশের মারাত আল নুমান শহর দখল করেছেন। ওই শহরের পুরো এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে গেছে।
সিরিয়ার সামরিক কমান্ড জানিয়েছে, বিদ্রোহীরা একাধিক দিক থেকে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে। এর ফলে সেনাবাহিনী তাদের অবস্থান নতুন করে বিন্যস্ত করতে বাধ্য হয়েছে। আলেপ্পো শহরে বিদ্রোহীদের আক্রমণ প্রতিহত করতে সিরিয়ার বিমান বাহিনী এবং রাশিয়া বিদ্রোহীদের অবস্থানে একাধিক বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলায় ৩ শতাধিক বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া।
মূলত বাশার আল-আসাদের সরকার রাশিয়া ও ইরানের সমর্থনে টিকে রয়েছে, অন্যদিকে তুরস্ক বিদ্রোহীদের কিছু অংশকে সমর্থন দিচ্ছে। এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে। গাজা ও লেবাননে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতির পাশাপাশি এই সংঘাত আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতাকে বাড়িয়ে তুলেছে।