এবার ত্রিপুরার হাসপাতালেও বাংলাদেশিদের চিকিৎসা না দেয়ার ঘোষণা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের পতাকা অবমাননার অভিযোগে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকার জেএন রায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরই জেরে এবার ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার একটি হাসপাতালও এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রোববার (১ ডিসেম্বর) ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতন এবং ভারতীয় পতাকার অবমাননার প্রতিবাদে ত্রিপুরার আইএলএস হাসপাতাল বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসেবা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত শনিবার (৩০ নভেম্বর) হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগরতলায় অবস্থিত আইএলএস হাসপাতালটি একটি মাল্টি-সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। হাসপাতালের চিফ অপারেটিং অফিসার গৌতম হাজারিকা বলেন, 'বাংলাদেশিদের চিকিৎসা করানো বন্ধ করা নিয়ে স্থানীয়রা যে দাবি তুলেছেন তার সঙ্গে আমরা একমত। আখাউড়া চেকপোস্ট এবং আইএলএস হাসপাতালে আমাদের হেল্প ডেস্ক আজ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।'

বিজ্ঞাপন

এর আগে বাংলাদেশিদের চিকিৎসাসেবা না দেয়ার দাবিতে স্থানীয়রা ওই হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে আইএলএস হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা না করার ঘোষণা দেয়।

সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জেএন রায় হাসপাতাল অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা করবে না বলে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

জেএন রায় হাসপাতালের কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত বলেন, 'আমরা একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছি যে আজ থেকে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত আমরা কোনো বাংলাদেশি রোগীকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করব না। ভারতের পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'

এছাড়া শুক্রবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাইরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একই দাবি জানান রাজ্যের বিজেপি নেতা ও বিধানসভার বিরোধী দলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, আমি সমগ্র ভারতবর্ষের ডাক্তার সমাজ, ব্যবসায়ী ও ভারতপ্রেমী সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশিদের বয়কট করার জন্য অনুরোধ করব। বাংলাদেশের মওলানা যদি বলতে পারে, হিন্দু নাপিতদের কাছে চুল দাঁড়ি কাটবেন না, হিন্দুদের দোকান থেকে মিষ্টি কিনবেন না, আমিও এখান থেকে ভারতপ্রেমীদের বলতে চাই, কড়া উত্তর দেওয়ার সময় এসেছে।