গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১৩০০০ শিক্ষার্থী নিহত
ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বর্বর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ২০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে।
ফিলিস্তিনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়েছে, গাজা-ইসরায়েল সংঘাতের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজার অধিকৃত পশ্চিম তীরে ১২ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও ২০ হাজার ৯৪২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা সিটিতে কমপক্ষে ১০ জনসহ ৫২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া কামাল আদওয়ান হাসপাতালে হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। হামলায় হাসপাতালের পাওয়ার জেনারেটর ধ্বংস করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস, অবরুদ্ধ কামাল আদওয়ান হাসপাতালের অবস্থাকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ্য করেছেন। তিনি নারকীয় এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগ জানিয়েছে, গাজা-ইসরায়েল সংঘাতকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত ১৩ হাজার ৫০০ জন ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা ও সদস্য আহত হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৫০০ জন দু’বার আহত হয়েছে। আহত সৈন্যদের ৩৭ শতাংশ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের আঘাতে ভুগছেন, যাদের বেশিরভাগই হাড়ে আঘাত পেয়েছে। এছাড়া, প্রায় ৫ হাজার ২০০ জন মানসিক রোগে ভুগছেন।
গাজায় বর্বর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি হামলায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬ হাজার ৯৬২ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।