যুক্তরাষ্ট্রের গুয়েনতানামো বে কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনির মুক্তি
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে বিচারবিহীন ১১ জন ইয়েমেনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে এখনো সেখানে ১৫ জন বন্দি রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত গুয়ানতানামো বে কারাগার থেকে ১১ ইয়েমেনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিচারবিহীন এ ১১ বন্দিকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই শুধু জঙ্গি সন্দেহে দুই দশকেরও বেশি সময় আটকে রাখা হয়েছিল। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় পর মুক্তি পাওয়া ১১ ইয়েমেনি বন্দিদের মধ্যে রয়েছেন শরকাওয়ি আল-হাজ, যিনি দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে বন্দি ছিলেন এবং বন্দি অবস্থায় তিনি বারবার অনশন করেছিলেন। যার জন্য তাকে বেশ কয়েকবার হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয়েছিলেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর বলেছে, ১১ ইয়েমেনির মুক্তির ঘোষণার পাশাপাশি একজন বন্দিকে তিউনিসিয়ায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। তাদের এই মুক্তির ফলে কারাগারটিতে এখন মাত্র ১৫ জন বন্দি রয়েছে।
এদিকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো স্বাগত জানালেও, গুয়ানতানামো কারাগার এখনও যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার ইতিহাসে একটি কালো দাগ হিসেবে বিবেচিত।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর আল-কায়েদার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের 'সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ' শুরু হয়। সেই সময় সন্দেহভাজনদের আটক রাখতে গঠন করে গুয়ানতানামো কারাগার।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস (সিসিআর) জানিয়েছে, ২০০১ সালের সন্ত্রাসী হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ গুয়ানতানামো কারাগার প্রতিষ্ঠা করেন। কারাগারটি মূলত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের আটকে রাখার জন্য তৈরি করা হয়, বর্তমানে কারাগারে বন্দি সংখ্যা ১৫ হলেও এক সময় প্রায় ৮০০ বন্দি আটক ছিল।