পবিত্র কাবার ওপর দিয়ে কেন উড়োজাহাজ উড়ে না

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববি, ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববি, ছবি: সংগৃহীত

মক্কার মসজিদে হারাম ও মদিনার মসজিদে নববি ইসলামের পবিত্রতম স্থান। এই দুই স্থানের মর্যাদা, পবিত্রতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সেগুলোর ওপর কঠোরভাবে ‘নো-ফ্লাই জোন’ এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। নো ফ্লাই জোন ঘোষণার অর্থ হলো- সেখানে সব ধরনের উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ।

মসজিদে হারাম ইসলামের পবিত্রতম মসজিদ, যেখানে রয়েছে পবিত্র কাবা। এটি মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক। প্রতিবছর লাখ-লাখ মুসলিম এখানে হজ-ওমরা পালন করতে আসেন।

বিজ্ঞাপন

মসজিদে নববি মদিনায় অবস্থিত। এটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র মসজিদ। এখানে নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা শরিফ অবস্থিত, যা মুসলমানদের জন্য গভীর আধ্যাত্মিকতার স্থান৷

মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির ওপর দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রথম বিষয় হলো- নিরাপত্তা, শান্তি ও স্থিতি বজায় রাখা। উড়োজাহাজের শব্দ দূষণ বা কম্পন যেন ইবাদত-বন্দেগিরত মুসল্লিদের মনোযোগ নষ্ট না করে। আর এ পবিত্রতম স্থানের পবিত্রতা বজায় থাকে।

তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও বড় কারণ। সম্ভাব্য দুর্ঘটনা বা ঝুঁকি এড়ানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সেই সঙ্গে পবিত্রতা রক্ষা করা। আকাশে যেকোনো ধরনের দূষণ বা বিঘ্ন যেন পবিত্র স্থানগুলোর পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে এটাও লক্ষ্য রাখা হয় শতভাগ।

উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক রাডার ও নজরদারি ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়। পাইলট, উড়োজাহাজ সংস্থা ও এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করে এসব বিধিনিষেধ মানা হয়। কোনো উড়োজাহাজ এই এলাকায় ঢুকলে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে।

মসজিদে হারাম ও মসজিদে নববির পবিত্রতা অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য আকাশপথে কঠোর নিয়ম-কানুন মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই বিধিনিষেধ শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, বরং এটি এসব স্থানের ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্বের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক।
-ইসলামিক ইনফরমেশন অবলম্বনে