চিন্ময়কাণ্ডে পুলিশের ওপর হামলা, ৮ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড
চট্টগ্রাম আদালতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুরকে ঘিরে পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মামলায় ৮ জন আসামিকে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মাধ্যমে আসামিদের বিকেলে পৌনে চারটার দিকে হাজত খানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে প্রবেশ মুখে থেকে আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতের প্রবেশ মুখে পুলিশের বাধা থাকলেও একাধিক যুবক আদালত ভবনে চলে যায়। এছাড়াও আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ ও ইসকন নিষিদ্ধ দাবি করে নানা ধরনের স্লোগান দেন।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন, পার্থ চক্রবর্তী, অপূর্ব শীল, উজ্জ্বল দাস প্রকাশ জনি দাস, অপু চন্দ্র সাহা, নিলয় দাশ, ধ্রুব দাশ, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো.নুরু।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দীন বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৮ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত আসামিদের উপস্থিতি শুনানি শেষে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৭ নভেম্বর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশের ওপর হামলা ঘটনায় মামলায় ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করে পুলিশ মামলা করা হয়।
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় কুপিয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। তিনি লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।