লাউডস্পিকারে আজান নিষিদ্ধ করল ইসরায়েল

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তর ইসরায়েলের বন্দর শহর একরের আল জাজার মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

উত্তর ইসরায়েলের বন্দর শহর একরের আল জাজার মসজিদ, ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের মসজিদে লাউডস্পিকারে আজান দেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গিভি দেশটির মসজিদগুলোতে লাউডস্পিকারে আজান না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ এ সংবাদ নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইসরায়েলের পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, মসজিদগুলোকে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে আজান সম্প্রচার করা থেকে নিষেধ করতে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে দেশটি। নতুন নীতিমালায় পুলিশ মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে এবং লাউডস্পিকারের সরঞ্জাম ব্যবহার করা হলে তা বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। যে মসজিদগুলো নামাজের আজান প্রচার করছে, নীতিমালায় তাদের জরিমানার কথা বলা আছে।

এক এক্স পোস্টে ইতামার বেন গিভি লিখেছেন, ‘তিনি নীতিটি চালু করতে গর্বিত। মসজিদ থেকে অযৌক্তিক শব্দের অবসান ঘটাবে, যা ইসরায়েলের বাসিন্দাদের জন্য একটি বিপদ হয়ে উঠেছে।’

বিজ্ঞাপন

লেবার এম কে গিলাদ করিভসহ ইসরায়েলের বিরোধী দলের সদস্যরা এই নীতির নিন্দা করেছেন। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘বেন গিভি ইসরায়েলকে বিপদে ফেলছেন। তার উগ্রচিন্তা নিরাপত্তার জন্য ভীষণ হুমকি।’

এ ঘটনায় দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক নিহাল আওয়াদ এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানান।

তিনি বলেন, আসলে মসজিদ, চার্চ, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং ধর্মীয় গ্রন্থের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা ইসরায়েলের দীর্ঘদিনের পরিকল্পিত ‘ফিলিস্তিনি সংস্কৃতি মুছে ফেলা প্রকল্পেরই’ অংশ।

তিনি আরও বলেন, ইসলাম ও খ্রিস্টবাদের বিরুদ্ধে জায়নবাদীদের যুদ্ধংদেহী মনোভাবই মূলত গাজায় চালানো গণহত্যার অন্যতম প্রেরণা।

এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি সরকারকে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করার প্রতি সমর্থন দিয়েছেন।

তিনি ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো এই গণহত্যা বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে একত্রে পদক্ষেপ নেয়ারও আহ্বান জানান।